প্রতি বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ এবং চারুকলা বিভাগ বসন্তবরণ উদযাপন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেও এ বছর কোনো বিভাগের আয়োজনে বসন্ত বরণ উদযাপন অনুষ্ঠিত হয়নি। 

এদিকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন প্রেমবঞ্চিত সংঘের সদস্যরা। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই বিক্ষোভ হয়। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ‘তুমি কে, আমি কে বঞ্চিত, বঞ্চিত’, এমন নানা স্লোগান দেন অংশগ্রহণকারীরা। 

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সংগঠনটির সদস্যরা বলেন, এই কর্মসূচি ৯ বছর ধরে পালিত আসছে। সমাজে প্রেম ও ভালোবাসার অভাব পরিলক্ষিত। অবশ্যই আমরা প্রেমের বিরুদ্ধে না, তবে পবিত্র প্রেমের নামে এই বৈষম্য চাই না। আমরা চাই সমতা। এজন্য ভালোবাসা দিবসে এই কর্মসূচি। 

সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন প্রেমবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি পরিবহন মার্কেট থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম পাড়া এলাকায় মেয়েদের সকল হল ঘুরে সেন্টার লাইব্রেরি ও পারিস রোড হয়ে বুদ্ধিজীবী চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। 


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বসন ত উৎসব

এছাড়াও পড়ুন:

গুলশান সোসাইটির আয়োজনে দুদিনের ভাষা উৎসব শুরু কাল

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে গুলশান সোসাইটি লিটফেস্টের আদলে আয়োজন করেছে ‘গুলশান সোসাইটি ভাষা উৎসব ২০২৫’। দুই দিনব্যাপী এ উৎসব গুলশান লেকপার্কে শুরু হবে আগামীকাল ২১ ফেব্রুয়ারি।

ভাষাগত বৈচিত্র্যকে সম্মান জানাতে আয়োজিত এই উৎসবে থাকবে প্যানেল আলোচনা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং বিভিন্ন ভাষায় অধিবেশন, যেখানে বাংলা, ইংরেজি এবং বাংলাদেশের অন্যান্য ভাষার গুরুত্ব ও বৈচিত্র্য তুলে ধরা হবে। দুই দিনের এই আয়োজনে ১৫টির বেশি সুপরিকল্পিত অধিবেশনে অংশ নেবেন খ্যাতিমান সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, চিন্তক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলবে।

লিটফেস্টের আদলে সাজানো এ আয়োজনে শিমুল মুস্তাফা ও ডালিয়া আহমেদের আবৃত্তি, সায়ানের গান, মো. নাজিম উদ্দিনের ‘দ্য ভিঞ্চি ক্লাব’ নিয়ে বুক টক, তাসনীম খলিলের সঙ্গে আনফিল্টার্ড কথোপকথন, ওয়ার্দা ও এফ মাইনরের নানাভাষী গান, চন্দ্রশেখর সাহার জামদানির ভাষা নিয়ে আলোচনা, জয়িতার পাঠগীতি এবং আরও অনেক আড্ডা-গান চলবে দুদিন।

উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে থাকবে একটি স্বল্প পরিসরের বইমেলা, যেখানে সমৃদ্ধ সাহিত্যকর্মের সমাহার থাকবে। একটি ফুডকোর্টে থাকবে নানা রকম মুখরোচক খাবার; এবং অংশগ্রহণমূলক বিভিন্ন সৃজনশীল কার্যক্রম। গুলশান সোসাইটি শহীদ দিবস উপলক্ষে পার্কের ভেতরে একটি অস্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপন করেছে, যেখানে নাগরিকেরা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন।

এই ভাষা উৎসবটি ভাষার সৌন্দর্যকে উদ্‌যাপনের পাশাপাশি বাংলাদেশি ঐতিহ্য ও বহুভাষিকতার গুরুত্বকে আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করার এক অনন্য সুযোগ তৈরি করবে বলে মনে করেন আয়োজকেরা।

এই আয়োজনে সহযোগী হিসেবে আছে প্রধান পৃষ্ঠপোষক: ইস্টার্ণ ব্যাংক লিমিটেড; চিকিৎসা সহায়তা: অ্যাসেন্ট হেলথ; ইন্টারনেট পার্টনার: রেড ডাটা; ফুডকোর্ট পার্টনার: পাঠাও ফুডস; স্ট্রিট আর্ট পার্টনার: অ্যাকোয়া পেইন্টস/এলিট স্টিল; এবং ইভেন্ট পার্টনার: যাত্রিক প্রোডাকশনস।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কক্সবাজার সৈকতে কাল শুরু হচ্ছে ২১ জাতিগোষ্ঠীর উৎসব
  • শুরু হলো সিনে ক্যারাভান চলচ্চিত্র উৎসব
  • গুলশান সোসাইটির আয়োজনে দুদিনের ভাষা উৎসব শুরু কাল
  • শেকৃবিতে শিবিরের প্রকাশনা উৎসব বন্ধের নির্দেশ
  • তারুণ্যের উৎসব ম্যারাথনে দ্বিতীয় হাবিপ্রবির শিক্ষার্থী
  • মেহজাবীনের সিনেমা দিয়ে পর্দা নামছে আমার ভাষার চলচ্চিত্র উৎসবের 
  • মবাক্রান্ত সংস্কৃতি: সরকার দর্শক হয়েই থাকবে?
  • এবার হোঁচট খেলে আর উঠে দাঁড়াতে পারব না: মাহফুজ আলম
  • পলো হাতে মাছ ধরতে দলে দলে শৌখিন শিকারিরা গোমতীতে, মাছ পেলেই হইহুল্লোড়
  • এবার হোঁচট খেলে আর উঠে দাঁড়াতে পারব না: উপদেষ্টা মাহফুজ