Samakal:
2025-04-19@13:04:02 GMT

ছেলের হাতে খুন হলেন মা

Published: 14th, February 2025 GMT

ছেলের হাতে খুন হলেন মা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামে নাসিমা আক্তার নামে এক নারী খুন হয়েছেন। শয়ন কক্ষের বিছানাতে তার রক্তাক্ত লাশ পড়েছিল। আজ শুক্রবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নাসিমাকে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও চেহাইট দিয়ে খুন করা হয়। তার ছেলে সিয়াম এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার মাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন নাসিমার ছেলে সিয়াম।

খুন হওয়া নাসিমা আক্তার আনন্দপুর গ্রামের মিজান মোল্লার স্ত্রী। তার মরদেহ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার মুসা মিয়া জানান, ওই নারীর স্বামী আজ শুক্রবার ভোরে নামাজ পড়তে মসজিদে যান। ফিরে এসে দেখেন বিছানাতেই নাসিমা আক্তারের লাশ পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। 

ইউপি মেম্বার আরও বলেন, পরে জানা যায়, ছেলে সিয়াম তার মাকে হত্যা করেছে। সিয়াম মানসিক প্রতিবন্ধী। তিনি প্রায়ই বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতেন। তাকে বারবার ফিরিয়ে আনার ক্ষোভ থেকে মাকে হত্যা করে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।

আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

ছমিউদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য়

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই যোদ্ধা এমদাদের ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি

জুলাই যোদ্ধা সাইফুদ্দীন মোহাম্মদ এমদাদের ওপর হওয়া হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। শনিবার বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি বিভাগের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নিজে এমন দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে এমদাদ বলেন, গত ১৩ এপ্রিল রাজধানীর পন্টন মোড়ে অবস্থিত চট্টগ্রাম সমিতির অফিসের মধ্যে আমার ওপর হামলা করা হয়। হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম সমিতির আমন্ত্রণে পহেলা বৈশাখ প্রস্তুতি বৈঠকে অংশগ্রহণ নিতে রাজধানীর পল্টনে চট্টগ্রাম সমিতির অফিসে গিয়েছিলাম। জুলাই আন্দোলনে অবদান ছিল, একারণেই তারা আমাকে ডেকেছিলেন। সেখানে মিটিং শেষে রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে যখন বের হয়ে আসবো তখন চট্টগ্রাম বিল্ডার্সের মালিক নাসির চৌধুরীর নেতৃত্বে আমরা ওপর হামলা করা হয়। এই হামলায় ১০ থেকে ১২ জন অংশ নেন। তাদের হাতে লোহার রড, লাঠি, চাপাতি, ধারালো অস্ত্র ছিল। প্রথমে পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সভা আয়োজনের সভাপতি এম এ হাশেম রাজুর ওপর আক্রমণ করে। তারপর আমার ওপর লোহার রড নিয়ে আক্রমণ করে। হামলার পর থেকে আমি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি। এই ঘটনায় শাহবাগ থাকায় মামলা করেছি।’

মামলার এজাহারে মো. নাসির উদ্দিনসহ নয় জনকে আসমি করা হয়েছে। অন্যরা হলেন- চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক উজ্জল মল্লিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন হিরু, সমিতির সাবেক নির্বাচন কমিশনার জকরিয়া, সাবেক কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ফরিদুল আলম, হোটেল গ্রান্ড তাজ মালিক মুনসুর আলম চৌধুরী, মোস্তফা ইকবাল চৌধুরী মুকুল, মো. গিয়াস উদ্দিন,ব্যবসায়ী মো. শফিকুর রহমান।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালিদ মনসুর সমকালকে বলেন, এমদাদের ওপরে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, জুলাই গণঅভ্যুত্থান আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে সাইফুদ্দীন মোহাম্মদ এমদাদ একটা চোখ হারিয়েছেন এবং একটি পা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ