গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে ইজতেমা মাঠে বড় জামাতে অনুষ্ঠিত হলো তৃতীয় ধাপের ইজতেমার জুমার জামাজ। এ ধাপে অংশ নিচ্ছেন ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা। আজ বেলা পৌনে দুইটার দিকে সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে ইউসুফ বিন সাদের ইমামতিতে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে তাবলিগ জামাতের মুসল্লি ছাড়াও রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকার অসংখ্য মুসল্লি অংশ নেন।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার আসরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে মাওলানা সাদের অনুসারীদের ইজতেমা শুরু হয়। আজ ভোরে ফজরের নামাজের পর মাওলানা সাত্তারের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইজতেমার প্রথম দিনের আনুষ্ঠানিকতা। এরপর ধাপে ধাপে চলে বয়ান।

তাবলিগ জামাতের মুসল্লিতে ভরে যায় ইজতেমা মাঠ। এর মধ্যে ইজতেমার জামাতের সঙ্গে জুমার নামাজ পড়তে আজ বেলা ১১টা থেকেই বিক্ষিপ্তভাবে ইজতেমা মাঠের দিকে আসতে থাকেন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকার সাধারণ মুসল্লিরা। পরে বড় জামাতে তাঁরা নামাজ আদায় করেন। নামাজ শুরু হয় বেলা ১টা ৪৬ মিনিটে। শেষ হয় ১টা ৫৪ মিনিটে।

সরেজমিনে দেখা যায়, জুমার নামাজে অংশ নিতে সকাল থেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে মুসল্লিরা আসতে থাকেন ইজতেমা মাঠের দিকে। ইজতেমা মাঠের ভেতরে থাকা মুসল্লিরাও নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এর মধ্যেই বেলা ১টা ৪৬ মিনিটে মাইকে ভেসে আসে নামাজের একামত। মুহূর্তেই বন্ধ হয়ে যায় সব ছোটাছুটি। যে যেখানে ছিলেন, বিছানা পেতে দাঁড়িয়ে পড়েন নামাজে। তবে এবার মাঠের ভেতর জায়গা ফাঁকা থাকায় আশপাশের সড়কে মুসল্লিদের তেমন ভিড় ছিল না।

ইজতেমা মাঠের ভেতর মূল বয়ান মঞ্চের পাশে নামাজ পড়েন গাজীপুরের মিরের বাজার এলাকার বাসিন্দা ইয়ানূর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল ইজতেমা মাঠের ভেতরে বড় জামাতে জুমার নামাজ পড়ব। আজ সেই আশা পূরণ হলো। এখন ভালো লাগছে।’

তাবলিগ জামাতের বিবদমান বিরোধের কারণে এবারই প্রথম তিন ধাপে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে গত ৩১ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুই ধাপে ইজতেমা পালন করেন বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা। এরপর তৃতীয় ধাপে গতকাল বিকেল থেকে শুরু হয় সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের ইজতেমা। এ ইজতেমা চলবে আগামী রোববার পর্যন্ত।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বড় জ ম ত র অন স র অন ষ ঠ ত র ইজত ম ইজত ম র

এছাড়াও পড়ুন:

নিখোঁজ সন্তানের খোঁজ চান মা-বাবা

গাজীপুরে একটি ইটভাটায় কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ হন মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের কোলচুরি গ্রামের ১৯ বছর বয়সী যুবক বাদল সরদার। এরপর ১৯ দিন অতিবাহিত হলেও সন্তানের কোন খোঁজ পাননি মা-বাবা। ছেলেকে খুঁজে পেতে এখন তারা বিভিন্ন স্থানে ছুটে বেড়াচ্ছেন।

নিখোঁজ বাদল সরদার মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের কোলচুরি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এনাজুল সরদার ও মাজেদা বেগম দম্পতির বড় ছেলে। 

পরিবার জানায়, গত বছরের ১৫ অক্টোবর বাড়ি থেকে বাদল সরদার ঢাকায় যায়। সেখানে ফুফুর বাসায় থেকেই রাজমিস্ত্রির যোগাল হিসেবে কাজ করতেন তিনি। তিন মাস কাজ করার পর বন্ধুর মাধ্যমে গাজীপুরের একটি ইট ভাটায় কাজে যোগ দেন। যেখানে থেকে পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগযোগ হতো বাদলের। গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার পর থেকে বাদলের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর বাদলের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি পরিবারের। 

পরিবারের লোকজন গাজীপুরের ওই ইট ভাটায় গিয়েও বাদলের কোনো খোঁজ পাননি। পরে তারা গাজীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।  

নিখোঁজ বাদলের মা মাজেদা বেগম বলেন, “গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতেও মোবাইলে ছেলের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সে ইট ভাটায় কাজ করে যে এক মাসের টাকা পেয়েছে, সেই টাকা পরের দিন পাঠানোর কথা বলেছে। এরপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাচ্ছি। পাগলের মতো অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাইনি। এখন যদি সংবাদটি প্রচার হলে সবার নজরে আসে। আমি আমার ছেলেকে ফিরে পেতে চাই।’

বাদলের বাবা এনাজুল সরদার বলেন, “আমার ছেলে কোথায় আছে, কেমন আছে কিছুেই জানি না। আমি আমার ছেলের সন্ধান চাই। ফিরে পেতে চাই আমার সন্তানকে।”

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইংলিশের সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড গড়া জয়
  • ইংলিস-ঝড়ে ৪ ঘণ্টাও টিকল না ইংলিশদের রেকর্ড
  • ‘বড় ভাই আমি পাঁচ মিনিটের মধ্যে আসছি...’
  • ৫ হত্যার ১৫ বছর পর একই স্থানে ৩ জনকে গুলি করে হত্যা 
  • আদালতের ভেতরে ঢুকে গ্যাংস্টারকে গুলি করে হত্যা
  • আশির দশকের বিয়ে ‘তেলাই থেকে ঘুরানি’
  • কুয়েতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
  • আফগানিস্তানকে ৩১৬ রানের টার্গেট দিলো দ. আফ্রিকা
  • আইসিসির মঞ্চে অভিষেক সেঞ্চুরিতে ভাস্বর রিকেলটন
  • নিখোঁজ সন্তানের খোঁজ চান মা-বাবা