নাটোর আইনজীবী সমিতি: সভাপতি-সম্পাদকসহ ১০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
Published: 14th, February 2025 GMT
নাটোর জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিএনপি সমর্থিত ১০ প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তবে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আগামী বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
আইনজীবী সমিতির নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, এবার আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির নির্বাচনে ১১টি পদে ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সীমা ছিল গতকাল বেলা ২টা পর্যন্ত। এর আগে দুজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় বৃদ্ধির জন্য আবেদন করেন। আবেদন মঞ্জুর করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য আরও এক ঘণ্টা সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশন সভাপতি, সম্পাদকসহ ১০ পদপ্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। তাঁরা সবাই বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে দুজন প্রার্থী থাকায় আগামী বৃহস্পতিবার শুধু ওই পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
সভাপতি পদে রুহুল আমিন তালুকদার, সিনিয়র সহসভাপতি এস এম লুৎফর রহমান, সহসভাপতি রফিক আহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক, কোষাধ্যক্ষ মোখলেসুর রহমান, পাঠাগার সম্পাদক সুদীপ্ত সাওন, নিরীক্ষণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সাঈদুল ইসলাম, আপ্যায়ন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান প্রামাণিক ও মহিলা সম্পাদিকা পদে দিনাই তাছরিন নির্বাচিত হয়েছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
মডেল মেঘনা আলমের আটকাদেশ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
মডেল মেঘনা আলমকে পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তার, কারণ উল্লেখ না করে গ্রেপ্তার, ২৪ ঘন্টার বেশি গোয়েন্দা কার্যালয়ে হেফজতে রাখা প্রশ্নে রুলে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে মেঘনা আলমকে দেওয়া আটাকাদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।
একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন। মেঘনা আলমকে আটকের প্রক্রিয়া ও আটকাদেশের বৈধতা নিয়ে তার বাবা বদরুল আলম রিট আবেদন দায়ের করেন।
গত ৯ এপ্রিল রাতে মডেল মেঘনা আলমকে রাজধানীর বসুন্ধরার বাসা থেকে আটক করে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী, পর দিন ১০ এপ্রিল রাতে আদালত তাঁকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার আদেশ দেন। তিনি কারাগারে আছেন।
সুনির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে মেঘনা আলমের আটকের ঘটনা নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। অপরাধে জড়ালে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার না করে তাঁকে কেন বিশেষ ক্ষমতা আইনের বিতর্কিত ‘প্রিভেন্টিভ ডিটেনশন’ বা প্রতিরোধমূলক আটক করা হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এমন প্রেক্ষাপটে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) পদ থেকে রেজাউল করিম মল্লিককে গতকাল শনিবার সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ দিকে মেঘনা আলমকে যে প্রক্রিয়ায় আটক করা হয়েছে, তা সঠিক হয়নি বলে আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। এর আগে মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার ও আটকাদেশের বৈধতা নিয়ে মেঘনার বাবা আজ রিটটি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী কাজী জাহেদ ইকবাল ও প্রিয়া আহসান চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ও জামিলা মমতাজ।
রুলে পরোয়ানা ছাড়া বাসা থেকে মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার, কারণ না জানিয়ে গ্রেপ্তার, ডিবি কার্যালয়ে ২৪ ঘণ্টার বেশি হেফাজতে রাখা ও আইনজীবীর সুযোগ না দেওয়া কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিশেষ ক্ষমতা আইনে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে দেওয়া আটকাদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান,ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।