ও আমায় ভালোবাসেনি...‘দুঃখবিলাস’ গানটা কেন লিখেছিলেন লিংকন
Published: 14th, February 2025 GMT
শুরুটা সব সময় সহজ হয় না। অর্থহীন, ক্রিপ্টিক ফেইট, আর্টসেল, নেমেসিস, শিরোনামহীন—প্রায় প্রতিটি ব্যান্ডের ঝুলিতেই আছে আনন্দ–বেদনার গল্প। জনপ্রিয় এসব ব্যান্ড যাত্রা শুরু করে নব্বই থেকে শূন্য দশকে। গান দিয়ে এই সময়ে ব্যান্ডগুলোকে যেমন নিজেদের পরিচয় উপস্থাপন করতে হয়েছে, তেমনিভাবে শ্রোতা তৈরির দিকেও মনোনিবেশ করতে হয়েছে। এদিক থেকে বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাসে নব্বইয়ের দশক খুব গুরুত্বপূর্ণ।
এ ক্ষেত্রে ‘মিক্সড অ্যালবাম’–এর কথাও উল্লেখ করা জরুরি। ‘মিক্সড অ্যালবাম’ বা ‘মিশ্র অ্যালবাম’ হচ্ছে অনেকগুলো ব্যান্ডের সম্মিলিত অ্যালবাম। ওই সময়ে নিজস্ব অ্যালবাম বের করার আগে ব্যান্ডগুলো এক হয়ে ‘মিক্সড অ্যালবাম’ বের করত। এক অ্যালবামে বেশ কয়েকটি ব্যান্ডের গান পাওয়ায় শ্রোতারাও আকৃষ্ট হতেন।
আর্টসেলের প্রথম গান ‘অদেখা স্বর্গ’ও তাঁরা করেছিলেন মিক্সড অ্যালবাম ‘ছাড়পত্রে’র (২০০১) জন্য। তারপর তরুণদের মুখে মুখে ফেরা ‘তোমরা কেউ কি দিতে পারো প্রেমিকার ভালোবাসা?’ গানটিও ছিল মিক্সড অ্যালবাম ‘অনুশীলন’–এ (২০০২)।
এই গান লেখার পাশাপাশি গেয়েছেন লিংকন নিজেই.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
তিন চিকিৎসকের স্মরণসভা: আদর্শ ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার কথা বললেন আলোচকেরা
দেশের স্বাস্থ্য খাতের তিন উজ্জ্বল নক্ষত্র প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাস, শুভাগত চৌধুরী ও টি এ চৌধুরী মানুষের কল্যাণের জন্য এবং জনগণের কথা চিন্তা করে কাজ করেছেন। তাঁদের আদর্শ ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
আজ শুক্রবার ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে এই তিন চিকিৎসককে নিয়ে এক স্মরণসভায় এসব কথা উঠে আসে। বিশিষ্ট স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞ টি এ চৌধুরী (এ এইচ এম তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী), বিশিষ্ট লেখক ও চিকিৎসক শুভাগত চৌধুরী এবং রাজশাহী ক্যানসার হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও রোটারিয়ান প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাসকে নিয়ে এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। এই তিন চিকিৎসকই মৃত্যুবরণ করেছেন।
অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টার ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরাম। সহযোগিতায় ছিল ওয়ার্ল্ড ক্যানসার সোসাইটি। সভায় চিকিৎসক ও তাঁদের শুভানুধ্যায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
এই তিন গুণী চিকিৎসকের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে জানিয়ে জনস্বাস্থ্যবিদ আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ‘তাঁরা তিনজনই শিক্ষক, পরামর্শক ও দেশের রত্ন। তাঁদের যে অসমাপ্ত কাজ রয়েছে, সেগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তাঁরা লিখতেন। অপ্রকাশিত ও ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা লেখাগুলো একত্র করে তা সামনে আনতে হবে। তাহলেই তাঁদের স্মরণ করা হবে এবং চিন্তাগুলো সবার মাঝে থাকবে।’
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য ও অধ্যাপক হালিদা হানুম আখতার বলেন, ‘যেকোনো সমস্যায় তাঁদের কাছ থেকে পরামর্শ পাওয়া যেত। তাঁদের কাজ থেকে শিখতে হবে, কীভাবে তরুণদের উৎসাহিত করতে হয়। তাঁরা হারিয়ে যাননি, তাঁদের নিজেদের কাজের ভেতরে ধারণ করতে হবে।’
টি এ চৌধুরী সম্পর্কে বলতে গিয়ে অধ্যাপক সারিয়া তাসনিম বলেন, ‘তিনি গুরুজনেরও গুরু ছিলেন। তাঁর মতো এমন কর্মঠ ও অর্থবহ জীবন সবাই পায় না। তাঁকে স্মরণ করার পাশাপাশি তাঁর আদর্শ মেনে চলার চেষ্টা করতে হবে।’
শুভাগত চৌধুরীর স্ত্রী কামনা চৌধুরী বলেন, ‘এই তিনজনই সবার মাঝে বেঁচে থাকবেন।’ প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাসের মেয়ে ইপ্সিতা বিশ্বাসও সবার কাজের মাধ্যমেই তাঁর বাবা বেঁচে থাকবেন বলে জানান।
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালিয়েটিভ কেয়ার ইউনিটের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই মানুষগুলো অনেক বড় মাপের মানুষ ছিলেন। তাঁরা আমাদের আরেকটু বড় হতে অনুপ্রেরণা দেন।’
অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কবি মোহন রায়হান, ওয়ার্ল্ড ক্যানসার সোসাইটি বাংলাদেশের সভাপতি সৈয়দ হুমায়ুন কবির প্রমুখ।