গাজীপুরের টঙ্গীতে আগুন লেগে ঝুটের ১৭টি দোকান পুড়ে গেছে। আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে টঙ্গী মিলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে টঙ্গী ও উত্তরা ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

টঙ্গী ফায়ার স্টেশন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় সারি বেঁধে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় অসংখ্য ঝুটের দোকান। এর মধ্যেই আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে একটি দোকান থেকে হঠাৎ ধোঁয়া উঠতে থাকে। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যে চারপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে ঝুটের দোকানি ও স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুন ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে প্রথমে টঙ্গী ফায়ার স্টেশনের ৪ ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এরপর তাদের সঙ্গে যোগ দেয় উত্তরা ফায়ার স্টেশনের আরও তিনটি ইউনিট। সাতটি ইউনিটের প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিভে যায়।

টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন অফিসার শাহিন আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগুন লাগার খবর পাই ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে। এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ শুরু করার ৩৫ মিনিটের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নির্বাপণে সক্ষম হই। আগুনে ঝুটের ১৭টি দোকান পুড়েছে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউন ট

এছাড়াও পড়ুন:

নিখোঁজ সন্তানের খোঁজ চান মা-বাবা

গাজীপুরে একটি ইটভাটায় কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ হন মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের কোলচুরি গ্রামের ১৯ বছর বয়সী যুবক বাদল সরদার। এরপর ১৯ দিন অতিবাহিত হলেও সন্তানের কোন খোঁজ পাননি মা-বাবা। ছেলেকে খুঁজে পেতে এখন তারা বিভিন্ন স্থানে ছুটে বেড়াচ্ছেন।

নিখোঁজ বাদল সরদার মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের কোলচুরি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এনাজুল সরদার ও মাজেদা বেগম দম্পতির বড় ছেলে। 

পরিবার জানায়, গত বছরের ১৫ অক্টোবর বাড়ি থেকে বাদল সরদার ঢাকায় যায়। সেখানে ফুফুর বাসায় থেকেই রাজমিস্ত্রির যোগাল হিসেবে কাজ করতেন তিনি। তিন মাস কাজ করার পর বন্ধুর মাধ্যমে গাজীপুরের একটি ইট ভাটায় কাজে যোগ দেন। যেখানে থেকে পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগযোগ হতো বাদলের। গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার পর থেকে বাদলের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর বাদলের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ হয়নি পরিবারের। 

পরিবারের লোকজন গাজীপুরের ওই ইট ভাটায় গিয়েও বাদলের কোনো খোঁজ পাননি। পরে তারা গাজীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।  

নিখোঁজ বাদলের মা মাজেদা বেগম বলেন, “গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতেও মোবাইলে ছেলের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সে ইট ভাটায় কাজ করে যে এক মাসের টাকা পেয়েছে, সেই টাকা পরের দিন পাঠানোর কথা বলেছে। এরপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাচ্ছি। পাগলের মতো অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাইনি। এখন যদি সংবাদটি প্রচার হলে সবার নজরে আসে। আমি আমার ছেলেকে ফিরে পেতে চাই।’

বাদলের বাবা এনাজুল সরদার বলেন, “আমার ছেলে কোথায় আছে, কেমন আছে কিছুেই জানি না। আমি আমার ছেলের সন্ধান চাই। ফিরে পেতে চাই আমার সন্তানকে।”

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইংলিশের সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড গড়া জয়
  • ইংলিস-ঝড়ে ৪ ঘণ্টাও টিকল না ইংলিশদের রেকর্ড
  • ‘বড় ভাই আমি পাঁচ মিনিটের মধ্যে আসছি...’
  • ৫ হত্যার ১৫ বছর পর একই স্থানে ৩ জনকে গুলি করে হত্যা 
  • আদালতের ভেতরে ঢুকে গ্যাংস্টারকে গুলি করে হত্যা
  • আশির দশকের বিয়ে ‘তেলাই থেকে ঘুরানি’
  • কুয়েতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
  • আফগানিস্তানকে ৩১৬ রানের টার্গেট দিলো দ. আফ্রিকা
  • আইসিসির মঞ্চে অভিষেক সেঞ্চুরিতে ভাস্বর রিকেলটন
  • নিখোঁজ সন্তানের খোঁজ চান মা-বাবা