শিরোপা জয়ের সমীকরণটা সহজ ছিল। কেবল একটি জয় প্রয়োজন। সেটা ব্রাজিল পেলেও যেমন হতো, আর্জেন্টিনা পেলেও। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সেই ম্যাচে কেউ জিতেনি। ১-১ গোলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। তাতে এগিয়ে থাকা ব্রাজিলের শিরোপা জয়ের অপেক্ষা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে আর্জেন্টিনারও। এখন দক্ষিণ আমেরিকার অঞ্চলের ‘অনূর্ধ্ব-২০ যুব ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৫’ এর শিরোপা কে জিতবে সেটা জানতে অপেক্ষা করতে হবে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) ফাইনাল রাউন্ডের শেষ ম্যাচে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ চিলি। একই দিন অপর ম্যাচে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ প্যারাগুয়ে। এই ম্যাচে যারা বড় ব্যবধানে জিতবে তাদের শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা বেশি থাকবে।

এ পর্যন্ত চার ম্যাচ খেলে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা উভয় দলই তিনটি জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট করে সংগ্রহ করেছে। তবে ব্রাজিল গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে। আর্জেন্টিনা রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।

আরো পড়ুন:

৬ গোল খাওয়া ব্রাজিল এখন আর্জেন্টিনার ওপরে 

আর্জেন্টিনা ম্যাচের দুঃস্বপ্ন ভুলে জয়ের ধারায় ব্রাজিল

এদিন ব্রাজিলের বিপক্ষে শুরুতে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৪০ মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে ১০ নম্বর জার্সিধারী ক্লাউদিও এচেভেরিকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পেনাল্টি থেকে এচেভেরি গোল করে এগিয়ে নেন দলকে। তার গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।

বিরতির পর ৭৮ মিনিটে সমতা ফেরায় ব্রাজিল। এ সময় ডি বক্সের বেশ খানিকটা সামনে থেকে রায়ানকে উদ্দেশ্য করে বল বাড়িয়ে দেন সেরোতে। তার ডিফেন্স চেড়া পাস বক্সের মধ্যে ঢুকে ডানদিকে নিয়ন্ত্রণ নেন রায়ান। এরপর কোনাকুনি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ান। তাতে ম্যাচে ফেরে সমতা। আর এই সমতা নিয়ে শেষ হয় ম্যাচ। তাতে অপেক্ষা বাড়ে উভয়ের।

শেষ ম্যাচে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ চিলি অবশ্য এখনও কোনো জয় পায়নি। চার ম্যাচে মাঠে নেমে কেবল একটিতে ড্র করেছে। ঝুলিতে সংগ্রহ মাত্র ১ পয়েন্ট। পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে তাদের অবস্থান। অন্যদিকে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ প্যারাগুয়ে চার ম্যাচের দুটিতে জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে টেবিলের চতুর্থ স্থানে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল আর জ ন ট ন আর জ ন ট ন র

এছাড়াও পড়ুন:

কানাডা ইমিগ্রেশনে নতুন দিগন্ত: ফ্রেঞ্চ ভাষা জানলেই মিলছে বাড়তি সুযোগ

২০২৫ সালের শুরু থেকে কানাডা সরকারের এক্সপ্রেস এন্ট্রি প্রোগ্রামে ফ্রেঞ্চভাষী আবেদনকারীদের প্রতি অগ্রাধিকার বাড়ানো হয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৩৫ হাজার ৫৮৮ জন আবেদনকারীকে ITA (Invitation to Apply) প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষ আবেদনকারীদের জন্য তিনটি পৃথক ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ১৮ হাজার ৫০০ জন আবেদনকারী আমন্ত্রণ পেয়েছেন।

এতে এটা স্পষ্ট হয় যে কানাডা বর্তমানে দ্বিভাষিক (ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ) সমাজকে আরও শক্তিশালী করতে চাইছে এবং ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষ ব্যক্তিদের স্থায়ী বসবাসের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে।

কেন এই অগ্রাধিকার ফ্রেঞ্চ ভাষাভাষীদের জন্য?

কানাডা একটি দ্বিভাষিক দেশ। ইংরেজির পাশাপাশি ফ্রেঞ্চও সরকারি ভাষা। বিশেষ করে কুইবেক প্রদেশসহ পূর্বাঞ্চলের অনেক এলাকায় ফ্রেঞ্চ হলো প্রথম ভাষা। স্থানীয় অর্থনীতি, শিক্ষা ও সামাজিক খাতে ফ্রেঞ্চভাষীদের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এ কারণে কানাডা সরকার চায় যেন অভিবাসীরা শুধু ইংরেজিভাষী না হয়ে ফ্রেঞ্চ ভাষায়ও দক্ষ হন।

ভাষা জানলে বাংলাদেশিদের জন্য বড় সুযোগ

বাংলাদেশে শিক্ষার্থী ও তরুণ পেশাজীবীদের জন্য এখনই সুবর্ণ সুযোগ—ফ্রেঞ্চ শেখার মাধ্যমে কানাডায় স্থায়ী বসবাসের রাস্তা সহজ করে নেওয়া। তুলনামূলক কম CRS (Comprehensive Ranking System) স্কোরে কানাডায় যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষরা।

আরও পড়ুনএসএসসি পরীক্ষা ২০২৫-এর রুটিন, কোন পরীক্ষা কবে২০ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশে কোথায় শেখা যায় ফ্রেঞ্চ ভাষা?

ফ্রেঞ্চ শেখার জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের খোঁজ পাওয়া যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:

1. Alliance Française de Dhaka

অবস্থান: ধানমন্ডি ও গুলশান

ওয়েবসাইট: www.afdhaka.org

ফ্রেঞ্চ ভাষা শেখানোর জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান।

2. Institute of Modern Languages (IML), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

এখানে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি ফ্রেঞ্চ কোর্স রয়েছে।

3. Online Platforms:

Duolingo (বিনা মূল্যে)

Babbel, Coursera, Udemy (সার্টিফিকেটসহ কোর্স)

ফ্রেঞ্চ শেখা কতটা কঠিন সময়সাপেক্ষ?

বাংলাদেশিদের জন্য এই ভাষা শেখা হয়তো একটু কঠিন হতে পারে। সাধারণভাবে, একজন শিক্ষার্থী যদি প্রতিদিন ২-৩ ঘণ্টা সময় দেন, তাহলে ৬ মাসের মধ্যে একটি ভালো বেসিক লেভেল অর্জন করা সম্ভব। উচ্চতর দক্ষতা অর্জনে সময় লাগতে পারে ১ থেকে দেড় বছর, তবে এর বিনিময়ে কানাডার মতো দেশের স্থায়ী বসবাসের সুযোগ এক অনন্য প্রাপ্তি।

শেষ কথা

বর্তমান বিশ্বে শুধু ডিগ্রিই নয়, ভাষাদক্ষতাও হয়ে উঠেছে অভিবাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। কানাডার মতো দেশে ফ্রেঞ্চ শেখার মাধ্যমে বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীরা সহজেই গড়তে পারেন তাঁদের ভবিষ্যৎ। শুধু দরকার একটু আগ্রহ, নিয়মিত চর্চা এবং সঠিক দিকনির্দেশনা।

আরও পড়ুনমাদ্রাসা ও কারিগরির শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা পাবেন অনুদান, আবেদনের সময় আরও ১০ দিন১৪ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৮ এপ্রিল ২০২৫)
  • জাতীয় পর্যায়ে আয়োজিত হতে যাচ্ছে ‘এআই অলিম্পিয়াড ২০২৫’
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের বিজ্ঞান ও মানবিক শাখার পরীক্ষার ফল প্রকাশ
  • বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে মাস্টার্সের সুযোগ
  • চুয়াডাঙ্গাবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ৩৯
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৭ এপ্রিল ২০২৫)
  • যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে শিক্ষার্থীরা কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করছেন, কারণ কী
  • পুলিশ স্টাফ কলেজে ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স
  • প্রথম প্রান্তিকে চীনের প্রবৃদ্ধি ৫.৪%
  • কানাডা ইমিগ্রেশনে নতুন দিগন্ত: ফ্রেঞ্চ ভাষা জানলেই মিলছে বাড়তি সুযোগ