ভালোবাসা মানে আমার কাছে বিশ্বাস, সম্মান আর বন্ধুত্ব: বুবলী
Published: 14th, February 2025 GMT
আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। যদিও অনেকেই ভালোবাসা শব্দটিকে এই একটি দিনের মধ্যে বন্দি করতে নারাজ। অনেকে আবার বলে ভালোবাসার জন্য একটি দিন বিশেষভাবে উদযাপন করাটা গুরুত্বপূর্ণই মনে করেন। সব মিলিয়েই আজ ভালোবাসার দিন, ভালোবাসা উদযাপন করার দিন।
এই ভালোবাসা একেকজনের কাছে একেক রকমভাবে সংজ্ঞায়িত হয়ে থাকে। এই যেমন চিত্রনায়িকা বুবলীর কাছে ভালো মানে হচ্ছে বিশ্বাস সম্মান আর বন্ধুত্ব।
ভালোবাসা দিবস সম্পর্কে জানতে চাইলে বুবলী বলেন, ‘ভালোবাসা মানে আমার কাছে বিশ্বাস, সম্মান আর বন্ধুত্ব। সেটি যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রেই হোক। বাবা-মা, ভাইবোন, স্বামী-স্ত্রী যে কারো ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। ভালোবাসা দিবস আলাদা করে পালন করলেও আমার মনে হয়, কাছের মানুষদের জন্য প্রতিদিন ভালোবাসার দিন। আর আমার কাছের যারা, পরিবারের যারা, তাদের তো ভালোবাসিই। তবে আমার স্পেশাল ভালোবাসা শুধু সন্তানের জন্য।’
এই নায়িকা আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় মানুষের আচার-আচরণ খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা তো মানুষ, শেষ পর্যন্ত আমাদের মাটিতেই মিশে যেতে হবে। তাই আমাদের উচিত এমন কাজ বা আচরণ না করা যাতে অন্যরা কষ্ট পায়।’
বুবলী বলেন, ‘আমরা সবাই নিজেদের মতো। কিন্তু আমরা কোথায় যেন ইদানীং প্রশংসা করা ভুলে যাচ্ছি। মানুষের প্রশংসা করাও ভালো আচরণেরই বহিঃপ্রকাশ।’
এদিকে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে বুবলীর দুই সিনেমা ‘জংলি’ ও ‘পিনিক’। সিনেমা দুটিতে তার বিপরীতে রয়েছেন সিয়াম আহমেদ ও আদর আজাদ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চ ত রন য় ক
এছাড়াও পড়ুন:
লেডি বাইকার এশার টার্গেট ছিল বিত্তশালীর স্ত্রী-মেয়ে: পুলিশ
আলোচিত লেডি বাইকার এশা। যার পুরো নাম ইরিন জাহান এশা। তিনি ও তার চক্রের প্রধান টার্গেট ছিল বিত্তবান ও প্রভাবশালী পরিবারের মেয়ে বা স্ত্রী। তাদের মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে নিজ আয়ত্বে এনে পরিবারের কাছ থেকে বড় অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করতেন এই চক্রের সদস্যরা। পুলিশের প্রাথমিক অনুসন্ধানে এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
এক তরুণীকে নির্যাতনের অভিযোগে রবিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে গ্রেপ্তার লেডি বাইকার এশাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। লেডি বাইকার এশা ছাড়াও তার ভাই মো. খালিদ হাসানকে (৩৮) গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলা করেছেন।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান বলেন, “বাইকার এশা একটি মেয়েকে বিভিন্ন সময়ে মাদক সেবন করাতেন। গত শনিবার দিবাগত রাতে অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই মেয়ের পরিবার তাকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় এশাসহ কয়েকজন অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে মেয়েটিকে টানাহেঁচড়া করেন। একপর্যায়ে ওই মেয়েটি আঘাত পান। পরে শিববাড়ি মোড় এলাকায় ছাত্র-জনতা এবং নৌবাহিনীর দায়িত্বরত একটি টিম তাদের উদ্ধার করে এবং এশাকে আটক করে। সাহরির সময় এশাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রবিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
আরো পড়ুন:
হিলিতে তেলের লরি খাদে পড়ে নিহত ২
চট্টগ্রামে কোটি টাকার বিদেশি সিগারেট জব্দ, আটক ২
তিনি আরো বলেন, “প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে জানা গেছে, এশাসহ তার চক্রের সদস্যরা প্রফেশনালভাবে প্রভাবশালীর মেয়ে বা স্ত্রীকে টার্গেট করে। তাদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে তাদের মাদক সেবনসহ অনৈতিক কাজে লিপ্ত করে এবং ভুক্তভোগীদের নিজ আয়ত্বে এনে পরিবারের কাছে বড় অঙ্কের টাকা দাবি করে।”
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই তরুণীর বাবা ফ্রান্স প্রবাসী। ১০ বছর ফ্রান্সে থাকাকালীন এশা মামলার বাদীর মেয়ের (১৭) সঙ্গে বান্ধবী সুলভ আচরণ করে দীর্ঘদিন ধরে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে নেশায় আসক্ত করে ফেলে। তিনি বিভিন্ন সময় তার বাসায় ওই তরুণীকে ডেকে নিয়ে মাদকদ্রব্য সেবন করাতেন। তরুণীর বাবা এশাকে একাধিকবার নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি নিষেধ অমান্য করে ওই তরুণীকে ডেকে নিয়ে যেতেন। বাদীর মেয়ে অতিরিক্ত নেশাদ্রব্য সেবন করে তাদের সঙ্গে অস্বাভাবিক আচরণ করতেন। এমনকি মাদক সেবন করতে না পারলে বিভিন্ন সময় তিনি বাসার জিনিসপত্র ভাঙচুর করতেন। এ কারণে পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি হতো।
বাদী নিরুপায় হয়ে গত শনিবার (২২ মার্চ) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে আত্মীয়-স্বজনের সহায়তায় মেয়েকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছিলেন। লেডি বাইকার এশাসহ অন্যান্য আসামিরা বাড়ির সামনে থেকে মোটরসাইকেলে তাদের অনুসরণ করতে থাকেন। রাত সোয়া ১২টার দিকে বাংলাদেশ বেতার ভবনের সামনে পৌঁছালে আসামিরা অ্যাম্বুলেন্সের গতিরোধ করেন। এসময় তারা জোর করে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে প্রবেশ করে বাদীর মেয়ের হাত ও কাপড় ধরে টানাহেঁচড়া করে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
অ্যাম্বুলেন্সের চালক গাড়িটি চালিয়ে নগরীর শিববাড়ি মোড়ে পৌঁছান। এসময় গাড়ির ভেতরেই ছিলেন এশা ও তার ভাই। সেখানে বাদীর চিৎকার শুনে নৌ-বাহিনীর সদস্যরা এগিয়ে এসে আসামিদের ও বাদী এবং তার মেয়েকে হেফাজতে নেয়। এরপর নৌ-বাহিনীর সদস্যরা ঘটনার বিষয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানাকে অবগত করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। নৌ-বাহিনীর সদস্যরা আসামিদের পুলিশের কাছে হস্তাস্তর করে এবং মেয়েকে বাদীর কাছে বুঝিয়ে দেন।
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ