চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা, নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা
Published: 14th, February 2025 GMT
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান। তবে টুর্নামেন্টের আর বেশি দিন বাকি নেই, এমন পরিস্থিতিতেও দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থার অপ্রস্তুত অবস্থা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা ব্যবস্থার চরম ব্যর্থতা এবং বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সেই শঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সমর্থকরা নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে মাঠে প্রবেশ করেন। এতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, দর্শকরা স্টেডিয়ামের দেয়াল টপকে প্রবেশ করছেন, প্রবেশপথ ভেঙে ফেলছেন এবং মাঠের ভেতর দৌড়ে আসছেন। মূলত, বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ দেওয়ায় হাজারো দর্শকের ঢল নামে স্টেডিয়ামে, যা আয়োজকদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। স্টেডিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একজন দর্শক মাঠে ঢুকে পড়েন, যা নিরাপত্তার আরও একটি গুরুতর লঙ্ঘন। আন্তর্জাতিক মানের কোনো টুর্নামেন্টে এমন ঘটনা ঘটলে তা আয়োজক দেশকে বড় ধরনের বিপাকে ফেলতে পারে।
This is from the opening day of renovated Karachi Stadium ! These Pakistani’s literally entered the stadium like this , just imagine what will happen when other team defeats Pakistan here , god saves the winning team! pic.
করাচির এই ইভেন্টে ভুয়া পরিচয়পত্র ব্যবহার করে প্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে একজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। মুজামিল কুরেশি নামে এক ব্যক্তি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তিনি ভুয়া আইসিসি ও পিসিবি পরিচয়পত্র ব্যবহার করছিলেন এবং পরে ক্যামেরাম্যান পরিচয়ে মাঠের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বড় আসর আয়োজনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু করাচির এই ঘটনাগুলো পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) নিরাপত্তা পরিকল্পনার কার্যকারিতা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছে। এর আগে পিসিবি আইসিসি ও অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে আশ্বস্ত করেছিল যে, তারা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো সেই দাবির বিপরীতে বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চান্দিনায় এনজিও কর্মী নারীকে নগ্ন করে নির্যাতনের অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার
কুমিল্লার চান্দিনায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) দুই কর্মীকে তুলে নিয়ে নির্যাতন ও নারী কর্মীকে নগ্ন করে অর্থ আদায়ের মামলায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ভোরে দেবীদ্বার উপজেলার ভানী ইউনিয়নের খাদঘর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম শাওন হোসেন (২৫)। তিনি চান্দিনা পৌর এলাকার তুলাতলি গ্রামের বাসিন্দা এবং এ ঘটনায় করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
শাওনকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর দেওয়া তথ্যে ঘটনার হোতা ও মামলার আরেক আসামি স্বপনের শ্বশুরবাড়ি (চান্দিনার এতবারপুর গ্রাম) থেকে একটি মোটরসাইকেল ও বৈদ্যুতিক শকার উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ১৭ মার্চ ইফতারের পর তুলাতলি গ্রামে একটি এনজিওর পুরুষ ও নারী কর্মীকে আটকে রেখে নির্যাতন চালান কয়েকজন যুবক। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ওই দিন সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এক নির্জন বাগানে নিয়ে পুরুষ কর্মীকে গাছের সঙ্গে বাঁধেন তাঁরা। এরপর ওই নারী কর্মীকে নগ্ন করে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। এ সময় তাঁদের ‘বৈদ্যুতিক শকার’ দিয়ে শক দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ওই নারী কর্মীর নগ্ন ভিডিও ধারণ করে অর্থ আদায় করেন তাঁরা। স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা ঘটনাটি টের পেয়ে ওই যুবকদের ধাওয়া দিলে অপরাধীরা পালিয়ে যায়। পরে এনজিও কর্মীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনার পরদিন চারজনের নাম উল্লেখ করে চান্দিনা থানায় মামলা করেন এনজিওটির পুরুষ কর্মী। ঘটনার আট দিন পর এ মামলায় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চান্দিনা থানার উপপরিদর্শক মিথুন কুমার মণ্ডল জানান, ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন আসামিরা। ঘটনার আট দিন পর শাওনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি ওই নারী কর্মীকে যৌন নির্যাতন করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন। তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।