এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান। তবে টুর্নামেন্টের আর বেশি দিন বাকি নেই, এমন পরিস্থিতিতেও দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থার অপ্রস্তুত অবস্থা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা ব্যবস্থার চরম ব্যর্থতা এবং বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সেই শঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।  

করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সমর্থকরা নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে মাঠে প্রবেশ করেন। এতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, দর্শকরা স্টেডিয়ামের দেয়াল টপকে প্রবেশ করছেন, প্রবেশপথ ভেঙে ফেলছেন এবং মাঠের ভেতর দৌড়ে আসছেন। মূলত, বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ দেওয়ায় হাজারো দর্শকের ঢল নামে স্টেডিয়ামে, যা আয়োজকদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। স্টেডিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একজন দর্শক মাঠে ঢুকে পড়েন, যা নিরাপত্তার আরও একটি গুরুতর লঙ্ঘন। আন্তর্জাতিক মানের কোনো টুর্নামেন্টে এমন ঘটনা ঘটলে তা আয়োজক দেশকে বড় ধরনের বিপাকে ফেলতে পারে। 

This is from the opening day of renovated Karachi Stadium ! These Pakistani’s literally entered the stadium like this , just imagine what will happen when other team defeats Pakistan here , god saves the winning team! pic.

twitter.com/1VQjpYIynB

— Sumit (@sumitsaurabh) February 12, 2025

করাচির এই ইভেন্টে ভুয়া পরিচয়পত্র ব্যবহার করে প্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে একজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। মুজামিল কুরেশি নামে এক ব্যক্তি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে স্টেডিয়ামে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তিনি ভুয়া আইসিসি ও পিসিবি পরিচয়পত্র ব্যবহার করছিলেন এবং পরে ক্যামেরাম্যান পরিচয়ে মাঠের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। 

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বড় আসর আয়োজনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু করাচির এই ঘটনাগুলো পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) নিরাপত্তা পরিকল্পনার কার্যকারিতা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছে। এর আগে পিসিবি আইসিসি ও অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে আশ্বস্ত করেছিল যে, তারা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো সেই দাবির বিপরীতে বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন কর চ র

এছাড়াও পড়ুন:

দিনাজপুরে ৮ সহস্রাধিক ডাকটিকিট নিয়ে প্রদর্শনী, দর্শনার্থীদের ভিড়

১৯৪৭ সালে বাংলাভাগের পর ভাষা প্রশ্নে পল্লিকবি জসীমউদ্‌দীনসহ কয়েকজন বলেছিলেন পাকিস্তানের ভাষা হবে বাংলা। এ বিষয়ে তাঁরা খবরের কাগজে বিবৃতিও দিয়েছিলেন। একপর্যায়ে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। বায়ান্নর সেই আন্দোলন একাত্তরের স্বাধীনতাসংগ্রামেও প্রেরণা জুগিয়েছে। বাংলা ভাষা প্রাপ্তির স্বীকৃতিতে অবদানের জন্য ১৯৭৯ সালে জসীমউদ্দীন্‌সহ কয়েকজনকে নিয়ে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ একটি ডাকটিকিট প্রকাশ করে।

পল্লিকবি জসীমউদ্‌দীনের ছবিসংবলিত ওই ডাকটিকিট দেখিয়ে এসব কথা বলছিলেন উদয় শংকর বিশ্বাস। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের শিক্ষক এবং বরেন্দ্র ফিলাটেলক সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ডাকটিকিট সংগ্রাহক। দিনাজপুরে প্রথমবারের মতো স্মারক ডাকটিকিট প্রদর্শনী ও বিক্রয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র মিলনায়তনে দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ডাক বিভাগ ও বরেন্দ্র ফিলাটেলিক সোসাইটি এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দিনাজপুরের ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল রশিদুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এনামউল্যা, সহ–উপাচার্য শফিকুল ইসলাম সিকদার, ডাক অধিদপ্তরের পরিচালক (স্ট্যাম্পস) মামুনুর রশিদ, বরেন্দ্র ফিলাটেলিক সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক উদয় শংকর বিশ্বাস, রাজশাহীর অতিরিক্ত পোস্টমাস্টার জেনারেল জিয়াউর রহমান প্রমুখ।

আজ সকালে গিয়ে দেখা যায়, ডাকটিকিট দেখতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষের উপচে পড়া ভিড়। প্রায় আট সহস্রাধিক ডাকটিকিট, পোস্টকার্ড, স্যুভেনির, বিশেষ খাম, উদ্বোধনী খাম প্রদর্শন করা হয়েছে। ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতাযুদ্ধ বিষয়াবলির পাশাপাশি বাংলাদেশের ফুল, পশুপাখি, মাছ, লোকসংস্কৃতিবিষয়ক বিভিন্ন উৎসব, পোশাক, অলিম্পিকসহ বিভিন্ন খেলাধুলা, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহ, সমাজ সংস্কারে অবদান রাখা বিশেষভাবে স্বীকৃত ব্যক্তির ছবিসংবলিত ডাকটিকিট রয়েছে। বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে উদ্বোধনী খাম, বিশেষ খাম, বিভিন্ন স্মারক ডাকটিকিট ও পোস্টকার্ড। কেউ ছবি তোলায় ব্যস্ত, কেউ আবার বিভিন্ন ডাকটিকিট বিষয়ে জানতে আয়োজকদের নানা প্রশ্ন করছেন।

আয়োজকদের একজন ডাক বিভাগের নকশাকারক সুমন্ত কুমার জানান, ২০২১ সালে বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলে বরেন্দ্র ফিলাটেলিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন কয়েকজন ডাকটিকিট সংগ্রাহক। বর্তমানে সংগঠনের সদস্য সংখ্যা অর্ধশত। যাঁদের প্রত্যেকের সংগ্রহে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ডাকটিকিট রয়েছে। এরই মধ্যে দেশের পাঁচটি বিভাগীয় শহরে এ ধরনের প্রদর্শনী করা হয়েছে।

ডাকটিকিট নিয়ে দর্শনার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন বরেন্দ্র ফিলাটেলিক সোসাইটির একজন সদস্য। আজ শুক্রবার সকালে দিনাজপুর হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-ছাত্র মিলনায়তনে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাকিস্তান এবার আরও দু্র্বল, বলছেন মাঞ্জরেকার
  • রাজধানীতে এক রাতে ছয় ডাকাতি
  • পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচ টেপ প্যাঁচানো লাশটি ব্যবসায়ী বাসারের
  • বগুড়ায় ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষ: নিহত বেড়ে ৫
  • ঝিনাইদহে ৩ জনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার, দায় স্বীকার করে বার্তা
  • শিরোনামহীনের ‘প্রিয়তমা’ প্রশংসা কুড়াচ্ছে
  • ‘অভিযুক্ত’ চালক-সুপারভাইজারকে আসামি না করায় প্রশ্ন বাদীর
  • ভুল বানানে ভরা ভাষা দিবসের প্ল্যাকার্ড, ফেসবুকে সমালোচনা
  • দিনাজপুরে ৮ সহস্রাধিক ডাকটিকিট নিয়ে প্রদর্শনী, দর্শনার্থীদের ভিড়
  • তিন মাসে ২৫ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র ভেঙেছেন মানুষ, কারণ কী