Risingbd:
2025-02-22@09:16:26 GMT

সুখবর নেই চাল ও তেলে

Published: 14th, February 2025 GMT

সুখবর নেই চাল ও তেলে

দুয়ারে কড়া নাড়ছে সংযমের মাস পবিত্র রমজান। কিন্তু, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে সংযম নেই ব্যবসায়ীদের। সবজি ছাড়া অন্যান্য নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্য আগের মতোই আছে, কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। চাল ও তেলে মিলছে না সুখবর। 

বিক্রেতারা বলছেন, রমজানকে সামনে রেখে বড় কোম্পানিগুলো আরেক দফায় দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে। কিন্তু, সরকারের কঠোর নীতির কারণে এখনো দাম বাড়াতে না পারলেও সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নিউ মার্কেট ও কারওয়ান বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোতে ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট এখনো কাটেনি। আগের বাড়তি দামেই আটকে আছে চালের বাজার।

বাজারে এখন প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৮০ থেকে ৮৪ টাকা, ব্রি-২৮ চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, মোটা স্বর্ণা চাল ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, নাজিরশাইল চাল ৭৬ থেকে ৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি চিনিগুড়া পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১১৬ থেকে ১১৮ টাকায়।

খুচরা বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকায়, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১৫৭ টাকায়। ২ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায় এবং বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন তেলে বিক্রি হচ্ছে ৮৬০ টাকায়। 

এদিকে, সরকার সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে গত সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে বোতলজাত সয়াবিন তেলসহ পাঁচটি পণ্য বি‌ক্রি করছে।

টিসিবির ট্রাক থেকে এক জন ভোক্তা সর্বোচ্চ ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি করে মসুর ডাল ও ছোলা, ১ কে‌জি চিনি এবং ৫০০ গ্রাম খেজুর কিনতে পারবেন। এর মধ্যে প্রতি লিটার সয়াবিন তে‌লের দাম রাখা হবে ১০০ টাকা। প্রতি কেজি চিনি ৭০ টাকা, মসুর ডাল ও ছোলা ৬০ টাকা করে এবং খেজুর প্রতি কেজি ১৫৬ টাকায় পাওয়া যাবে।

বেড়েছে মুরগি ও পেঁয়াজের দাম
গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে কিছুটা বেড়েছে মুরগি ও পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা কেজি দরে, এ সপ্তাহে তার দাম ৪৫ টাকা। এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৯০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে। এখন সোনালি জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮৫০ টাকায়। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে। প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ সপ্তাহেও বাজারে সবজির দাম তুলনামূলক কম আছে। প্রায় সব সবজির দাম প্রতি কেজি ৬০ টাকার মধ্যে। রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি কেজি বেগুন মানভেদে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, শিম ২৫ টাকা, মুলা ২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, টমেটো ২০ থেকে ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, দেশি শসা ৩০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৪০ টাকা, জালি কুমড়া ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা এবং বড় সাইজের ফুলকপির জোড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

প্রতি কেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়। প্রতি কেজি রসুন ২৪০ টাকা ও দেশি আদা ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি মসুর ডাল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা এবং ছোলা ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে মাছের সরবরাহ ভালো থাকায় দাম স্বাভাবিক আছে। এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২৫ টাকায়। প্রতি কেজি চাষের পাঙাস ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ ১৫০ টাকা, শিং ৫০০ টাকা, পাবদা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায়।

রাজধানীর হাজারীবাগ কাঁচাবাজারে কেনাকাটা করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী সাদ্দাম হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেছেন, “রমাজান মাস চলে আসছে। এখনো কোনো প্রস্তুতি নিতে পারিনি। বাজারে সবজি বাদে সবকিছুর দাম আগের মতোই বাড়তি। আমাদের দেশে ব্যবসায়ীরা রমজানকে মুনাফা লাভের মাস মনে করে সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দেন। রমজান মাসকে সামনে রেখে সরকারের উচিত বেশি বেশি বাজার তদারকি করা।”

রাজধানীর নিউ মার্কেটের মুদি ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেছেন, “রমজানের আর বেশি দেরি নেই। কিন্তু, মুদি পণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা দেখছি না, বরং কিছু পণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা আছে। আমরা মূলত পাইকারদের কাছ থেকে যে দামে কিনি, তার থেকে সামান্য লাভ করে বিক্রি করে দিই। দাম বাড়ানো এবং কমানোর মধ্যে আমাদের কোনো হাত নেই।”

ঢাকা/রায়হান/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব তলজ ত ৪০ ট ক ৩০ ট ক ৬০ ট ক রমজ ন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্নীতি ও দুঃশাসন করে কেউ টিকে থাকতে পারে না: জামায়াত আমির

লক্ষ্মীপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দুর্নীতি ও দুঃশাসন করে কেউ টিকে থাকতে পারে না। অতীতে সোনার বাংলা গড়ার নামে শোষণ হয়েছে, কিন্তু এখন এমন রাজনীতি করা যাবে না, যাতে পেশিশক্তির মতো দেশ ছেড়ে পালাতে হয়।

শনিবার সকাল ১১টায় লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের আমির মাস্টার রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে আদর্শ সামাদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

দীর্ঘ ২৮ বছর পর লক্ষ্মীপুরে আয়োজিত এই জনসভাকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যায়। জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মোবারক হোসেন, চট্টগ্রাম মহানগর আমির শাহজাহান চৌধুরী, কুমিল্লা মহানগর আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ডা. রেজাউল করিম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এড. আতিকুর রহমান ও ঢাকাস্থ লক্ষ্মীপুর ফোরামের সভাপতি ডা. আনোয়ারুল আজীম প্রমুখ।

ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, দেশে এখনো চাঁদাবাজি চলছে। আমি বিনয়ের সঙ্গে বলছি, এসব বন্ধ করুন। যদি কেউ খাদ্য সংকটে থাকে, আমরা তার জন্য খাবারের ব্যবস্থা করব।

জুলাই বিপ্লবের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান জামায়াতের আমির। জনসভায় দলীয় নেতা-কর্মীসহ বিপুল সংখ্যক সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ