“বয়স হল তুচ্ছ সুতো,
ইচ্ছে করলে ডিঙোনো যায়।
বয়স যত বাড়ে তত ভালোবাসার চারাটিও
লকলকিয়ে আকাশ ছোঁয়, বৃক্ষ হয়।
বয়স যত বাড়ে,
শোনো, মানুষ তত প্রেমিক হয়।”

পঙক্তি কটি তসলিমা নাসরিনের ‘ভালোবাসার কোনো বয়স নেই’ কবিতা থেকে নেওয়া। এ কবিতার মতো বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সত্তরেও সবুজ কলকাতার বরেণ্য সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। অতীতেও নিজেকে প্রেমিক পুরুষ হিসেবে নিজেকে বহুবার প্রমাণ করেছেন এই গায়ক। ভালোবাসা দিবসে প্রেমিকাকে সামনে এনে আরেকবার নিজেকে জানান দিলেন এই ‘গানওয়ালা’।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ফাগুনের সকালে কবীর সুমন তার ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যায়, সেলফি তুলছেন এক নারী। পেছনে দাঁড়িয়ে তার কাঁধে হাত রেখে মুগ্ধ নয়নে চেয়ে আছেন কবীর সুমন। এ ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “আমাদের ভালোবাসা দিবস।”

আরো পড়ুন:

কিস ডে: অভিনেত্রী ঋর চুমু বৃত্তান্ত

‘মানুষের ধর্মই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা’

ছবিটি কবীর সুমন তার ফেসবুকে পোস্ট করেছেন

ছবির নারীটির নাম সৌমি বসু মল্লিক। কবীর সুমনের এ পোস্টের জবাবে তিনি লেখেন, “আমি তোমায় ভালোবাসি।” এরপর থেকে শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন এই যুগল। রাবেয়া খাতুন বিথী লেখেন, “অপূর্ব! ফাল্গুনের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।” মিতালি লেখেন, “কী যে সুন্দর ছবিটা! ভালোবাসি.

.. ভালোবাসি।” রিন্তি লেখেন, “কি সুন্দর! কি মিষ্টি! ফাল্গুনের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে নেট দুনিয়ায়।

১৯৬৯ সালে প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ভয়েস অব আমেরিকায় কাজ করার সময়ে ওপার বাংলার সোফিয়া নাজমা চৌধুরীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে কবীর সুমনের। ১০ বছর পর ভারতে ফিরে কলকাতায় সংসার বাঁধেন তারা। জানা যায়, নাজমাকে বিয়ে করার সময়ে ধর্মান্তরিত হন কবীর সুমন। পরে জার্মানিতে পাড়ি জমান এই দম্পতি। সেখানে যাওয়ার পর তাদের সম্পর্কে ভাঙন ধরে।

সোফিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মারিয়া নামে এক নারীতে মজেন কবীর সুমন। তবে সেই বিয়েও সুখের হয়নি। নব্বই দশকের শেষে মারিয়া সুমনের বিরুদ্ধে শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ আনেন। নতুন শতাব্দীতে নতুনভাবে শুরু করেন কবীর সুমন। মারিয়ার সঙ্গে ডিভোর্স মঞ্জুর হওয়ার আগেই বাংলাদেশের গায়িকা সাবিনা ইয়াসমিনকে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে এ সংসারও ভেঙে যায়।

১৯৯২ সালে ‘তোমাকে চাই’ শিরোনামের গানের অ্যালবাম প্রকাশের পর শ্রোতাপ্রিয়তার শীর্ষে চলে যান কবীর সুমন। জীবনমুখী বাংলা গানের প্রবর্তক হিসেবে তাকে দুই বাংলার শ্রোতারা সাদরে গ্রহণ করেন। একসময় স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন কবীর সুমন। ২০০৯ সালে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে এই গায়কের।

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় আ.লীগের মিছিলকারীদের গ্রেপ্তার দাবি এনসিপির

খুলনায় বিভিন্নস্থানে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল করায় প্রশাসনের নীরব ভূমিকার প্রতিবাদ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) খুলনার নেতারা। এছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। 

রবিবার ( ২০ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩টায় খুলনা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এনসিপি খুলনার নেতা আহম্মদ হামীম রাহাত ও ডা. আব্দুল্লাহ চৌধুরী।

আরো পড়ুন:

যশোরে আত্মগোপনে থাকা আ.লীগ নেতাদের বাড়িতে পুলিশ

বরগুনায় শ্রমিক লীগ নেতা ৯ মামলায় গ্রেপ্তার 

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘‘সম্প্রতি খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, গণহত্যায় অভিযুক্ত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে মিছিল করেছে। ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামী লীগের হাতে প্রায় দুই হাজার নাগরিককে হত্যার রক্ত লেগে আছে ও হাজার হাজার মানুষকে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে। ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে খুনি হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করার ৮ মাসের মধ্যে এই সন্ত্রাসী সংগঠনের দেশব্যাপী সিরিজ কর্মসূচি জুলাই-পরবর্তী বাংলাদেশের অস্তিত্বে বারবার আঘাত হানার অপচেষ্টা। ছাত্রজনতা এই অপচেষ্টা এবার কঠোরভাবে প্রতিহত করবে।’’

সম্মেলনে আরো বলা হয়, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ছাত্রজনতা রাজপথে অবস্থানকালে এই সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রাস্তায় নামতে সাহস পায়নি। কিন্তু অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় হলো, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে ছাত্রজনতা নিজ কাজে ফিরে যাওয়ার পর দেশবাসী প্রায়শই এমন অরাজকতার শিকার হয়েছে। 

আরো বলা হয়, ‘‘৮ মাস পূর্বে খুলনা শহরের যে জিরো পয়েন্টে ছাত্ররা রক্ত দিয়েছে, জুলাই অভ্যুত্থানের শহিদ মীর মুগ্ধের তোরণের সন্নিকটে পরাজিত শক্তির এমন আস্ফালন আমাদের পীড়া দেয়। প্রশাসনের এই নির্লিপ্ততা ও নিষ্ক্রিয়তা প্রশ্নবিদ্ধ ও নিন্দনীয়। এটি শুধু স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতা নয়, বরং গোটা রাষ্ট্রব্যবস্থায় নিয়োজিত প্রশাসনের দুর্বলতার প্রতিফলন।’’ 

লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয় দেশের সকল গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও দেশপ্রেমিক শক্তির প্রতি মতপার্থক্য ভুলে জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে সম্মিলিত অবস্থান গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।  

অন্তর্বর্তী সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে এনসিপি নেতারা বলেন, অতি দ্রুত এই সন্ত্রাসী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে উদ্যোগ না নেওয়া হলে তীব্র আন্দোলনের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিন। 

ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গুম হত্যার চেয়েও ভয়াবহ অপরাধ, বিচার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার: আইন উপদেষ্টা
  • বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবিতে ইবির প্রশাসন ভবনে তালা
  • তালিকায় ১ হাজার ৪১৫ নদী, এবার কি বাঁচবে
  • ভ্যাটিকানের অন্তর্বর্তী প্রধান কেভিন ফ্যারেল সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে
  • যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পরবর্তী বৈঠক মাসকটে
  • আগামী তিনদিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস 
  • বাংলার অজানা স্বর্ণমুদ্রার খোঁজ
  • বৃষ্টি নিয়ে যে বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
  • মামলায় আটকে আছে ইকোপার্ক
  • খুলনায় আ.লীগের মিছিলকারীদের গ্রেপ্তার দাবি এনসিপির