বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) একাধিক নন-ক্যাডার পদে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে ১২ ক্যাটাগরির পদে ১০৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে উচ্চতর বেতন স্কেলসহ চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম গ্রেডের পদ রয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

যেসব পদে নিয়োগ

১.

পদের নাম: ঊর্ধ্বতন নৌ-প্রশিক্ষক
পদসংখ্যা: ২
মন্ত্রণালয়-বিভাগ-অধিদপ্তর: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, চট্টগ্রাম
বেতন স্কেল: ৫০,০০০-৭১,২০০ টাকা (গ্রেড-৪)

২. পদের নাম: ঊর্ধ্বতন নৌ-প্রশিক্ষক
পদসংখ্যা: ৪
মন্ত্রণালয়-বিভাগ-অধিদপ্তর: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, বরিশাল, রংপুর, পাবনা ও সিলেট

বেতন স্কেল: ৫০,০০০-৭১,২০০ টাকা (গ্রেড-৪)

৩. পদের নাম: ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলী প্রশিক্ষক

পদসংখ্যা: ৪
মন্ত্রণালয়-বিভাগ-অধিদপ্তর: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, বরিশাল, রংপুর, পাবনা ও সিলেট

বেতন স্কেল: ৫০,০০০-৭১,২০০ টাকা (গ্রেড-৪)

৪. পদের নাম: চিফ কনসালট্যান্ট (কার্ডিওলজি)

পদসংখ্যা: ১
মন্ত্রণালয়-বিভাগ-অধিদপ্তর: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অধীন পুলিশ হাসপাতাল, ঢাকা।

বেতন স্কেল: ৫০,০০০-৭১,২০০ টাকা (গ্রেড-৪)

৫. পদের নাম: নৌ-প্রশিক্ষক

পদসংখ্যা: ৩
মন্ত্রণালয়-বিভাগ-অধিদপ্তর: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, চট্টগ্রাম

বেতন স্কেল: ৪৩,০০০-৬৯,৮৫০ টাকা (গ্রেড-৫)

৬. পদের নাম: প্রকৌশলী প্রশিক্ষক
পদসংখ্যা: ১
মন্ত্রণালয়-বিভাগ-অধিদপ্তর: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, চট্টগ্রাম

বেতন স্কেল: ৪৩,০০০-৬৯,৮৫০ টাকা (গ্রেড-৫)

৭. পদের নাম: নৌ-প্রশিক্ষক

পদসংখ্যা: ৮
মন্ত্রণালয়-বিভাগ-অধিদপ্তর: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, বরিশাল, রংপুর, পাবনা ও সিলেট

বেতন স্কেল: ৪৩,০০০-৬৯,৮৫০ টাকা (গ্রেড-৫)

৮. পদের নাম: প্রকৌশলী প্রশিক্ষক
পদসংখ্যা: ৪
মন্ত্রণালয়-বিভাগ-অধিদপ্তর: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, বরিশাল, রংপুর, পাবনা ও সিলেট

বেতন স্কেল: ৪৩,০০০-৬৯,৮৫০ টাকা (গ্রেড-৫)

৯. পদের নাম: সিস্টেম অ্যানালিস্ট

পদসংখ্যা: ১
মন্ত্রণালয়-বিভাগ-অধিদপ্তর: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো

বেতন স্কেল: ৪৩,০০০-৬৯,৮৫০ টাকা (গ্রেড-৫)

১০. পদের নাম: সিনিয়র কনসালট্যান্ট

পদসংখ্যা: ১৬
মন্ত্রণালয়-বিভাগ-অধিদপ্তর: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল

বেতন স্কেল: ৪৩,০০০-৬৯,৮৫০ টাকা (গ্রেড-৫)
১১. পদের নাম: সিস্টেম অ্যানালিস্ট

পদসংখ্যা: ১
মন্ত্রণালয়-বিভাগ-অধিদপ্তর: সড়ক পরিবহন ও
সেতু মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সেতু বিভাগ

বেতন স্কেল: ৪৩,০০০-৬৯,৮৫০ টাকা (গ্রেড-৫)

১২. পদের নাম: যান্ত্রিক প্রকৌশলী প্রশিক্ষক

পদসংখ্যা: ১
মন্ত্রণালয়-বিভাগ-অধিদপ্তর: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, চট্টগ্রাম।
বেতন স্কেল: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা (গ্রেড-৬)

১৩. পদের নাম: তড়িৎ যান্ত্রিক প্রকৌশলী

পদসংখ্যা: ৪
মন্ত্রণালয়-বিভাগ-অধিদপ্তর: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, বরিশাল, রংপুর, পাবনা ও সিলেট

বেতন স্কেল: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা (গ্রেড-৬)

১৪. পদের নাম: যান্ত্রিক প্রকৌশলী প্রশিক্ষক

পদসংখ্যা: ৪
মন্ত্রণালয়-বিভাগ-অধিদপ্তর: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, বরিশাল, রংপুর, পাবনা ও সিলেট

বেতন স্কেল: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা (গ্রেড-৬)

১৫.  পদের নাম: তড়িৎ প্রশিক্ষক
পদসংখ্যা: ৪
মন্ত্রণালয়-বিভাগ-অধিদপ্তর: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, বরিশাল, রংপুর, পাবনা ও সিলেট

বেতন স্কেল: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা (গ্রেড-৬)

১৬. পদের নাম: নৌ স্থপতি

পদসংখ্যা: ৪
মন্ত্রণালয়-বিভাগ-অধিদপ্তর: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, বরিশাল, রংপুর, পাবনা ও সিলেট

বেতন স্কেল: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা (গ্রেড-৬)

আরও পড়ুনসিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশনে চাকরি, বেতন স্কেল ৫০,০০০-৭১,২০০ টাকা৪ ঘণ্টা আগে

১৭. পদের নাম: জুনিয়র কনসালট্যান্ট

পদসংখ্যা: ২৭
মন্ত্রণালয়-বিভাগ-অধিদপ্তর: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল

বেতন স্কেল: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা (গ্রেড-৬)

১৮. পদের নাম: সহকারী প্রধান স্থপতি
পদসংখ্যা: ১
মন্ত্রণালয়-বিভাগ-অধিদপ্তর: স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর

বেতন স্কেল: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা (গ্রেড-৬)

১৯. পদের নাম: প্রোগ্রামার

পদসংখ্যা: ১
মন্ত্রণালয়-বিভাগ-অধিদপ্তর: স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর

বেতন স্কেল: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা (গ্রেড-৬)

২০. পদের নাম: অধ্যক্ষ

পদসংখ্যা: ১৩
মন্ত্রণালয়-বিভাগ-অধিদপ্তর: প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ও ব্যুরো

বেতন স্কেল: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা (গ্রেড-৬)

২১. পদের নাম: কিউরেটর
পদসংখ্যা: ১
মন্ত্রণালয়-বিভাগ-অধিদপ্তর: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তোশাখানা ইউনিট

বেতন স্কেল: ২৯,০০০-৬৩,৪১০ টাকা (গ্রেড-৭)

আরও পড়ুনবস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে চাকরি, পদ ১৮৪ ঘণ্টা আগেআবেদন যেভাবে

শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী এক বা একাধিক পদে আবেদন করা যাবে। একাধিক পদে আবেদন করলে প্রতিটি পদের জন্য আলাদা নিবন্ধন ফি জমা দিতে হবে। প্রার্থীদের টেলিটকের ওয়েবসাইট অথবা বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটে (https://www.bpsc.gov.bd/) কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত আবেদনপত্র অ্যাপ্লিকেন্টস কপি (বিপিএসসি ফরম-৫-এ) পূরণ করে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম ও ফি জমাদান সম্পন্ন করতে হবে।

ওয়েবসাইটে নন-ক্যাডার অপশনে ক্লিক করলে নন-ক্যাডার বিভিন্ন পদের বিজ্ঞপ্তি, আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ, এসএমএসের মাধ্যমে ফি জমাদান ও প্রবেশপত্র প্রাপ্তিসংক্রান্ত নির্দেশাবলির রেডিও বাটন দৃশ্যমান হবে। ফরম পূরণের আগে অবশ্যই আবেদনপদ্ধতি, ফি জমাদান ও নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে দেখে নিতে হবে।

অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের পর প্রার্থীদের অ্যাপ্লিকেন্টস কপি কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার/উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতার (ডিপ্লোমা/এমফিল/এমএস/এমডি ইত্যাদি) সনদ/অভিজ্ঞতার সনদ/প্রকাশনা/চাকরি জীবনের অর্জিত পেশাগত কৃতিত্ব, সাফল্য বা ঔজ্জ্বল্যের প্রমাণক (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) কাগজপত্র/তথ্যাদিসহ ৯ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডাকযোগে বা সরাসরি বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়, আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর, ঢাকার নির্ধারিত ইউনিটে পাঠাতে হবে।

আরও পড়ুনডাক অধিদপ্তরে আবারও বড় নিয়োগ, পদ ২৫৫১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আবেদন ফি

অনলাইনে ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ২০০ টাকা টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
আবেদনের সময়সীমা: ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ মার্চ ২০২৫, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

আরও পড়ুনজীবন বীমা করপোরেশনে চাকরি, নবম গ্রেডে পদ ৫৯১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল দ শ ম র ন এক ড ম নন ক য ড র পদ র ন ম পদস খ য বর শ ল সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

আনন্দের বন্যা বইছে জুলেখার পরিবারে

মায়ের কোলে থাকা সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুকে কখনও কোলে নিচ্ছেন প্রতিবেশীরা, কখনও শিশুটির ছোট বোন। আবার কেউ কেউ কোলে নিয়ে আদর করছে শিশুটিকে, কেউ আবার সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া-চাইছেন শিশুটির জন্য। ঝিনাইদহের হরিনাকুণ্ডু উপজেলার দুর্লভপুর উত্তরপাড়া গ্রামে কৃষক আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে তাঁর নাতিকে নিয়ে এমনই আনন্দের বন্যা বইছে।

মঙ্গলবার সকালে ওই বাড়িটিতে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র। বাংলা নববর্ষের প্রথম প্রহরে সকাল পৌনে ৬টার দিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে মা জুলেখা বেগমের কোল আলোকিত করে জন্ম নেয় ফুটফুটে ছেলে শিশু।

জানা যায়, ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সিদ্ধি গ্রামের রাশেম মণ্ডলের স্ত্রী জুলেখা বেগম। জুলেখা বেগম অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন আর এখন তিনি গৃহিণী। তাঁর স্বামী এইচএসসি পাস করে বর্তমানে ব্র্যাক ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখায় চাকরি করেন। ২০০৫ সালে তাদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছিল। মেয়ের বাবার বাড়ি ঝিনাইদহের হরিনাকুণ্ডু উপজেলার দুর্লভপুর উত্তরপাড়া গ্রামে আর ছেলের বাড়ি শৈলকুপা উপজেলার সিদ্ধি গ্রামে। স্বামীর সঙ্গে কুষ্টিয়া শহরে থাকতেন জুলেখা। পরে সন্তানসম্ভবা হওয়ার কিছুদিন পর ঝিনাইদহের হরিনাকুণ্ডু উপজেলার দুর্লভপুর উত্তরপাড়া গ্রামে বাবা আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে চলে আসেন জুলেখা।

গর্ভাবস্থায় বাবার বাড়িতে থাকার সময় নিয়মিতই সেখানে আসতেন জুলেখার স্বামী রাশেম মণ্ডল। খোঁজখবর নিতেন স্ত্রীর। গর্ভের সন্তানকে ভালো রাখতে যত্নের কমতি রাখেননি জুলেখা। তাঁর স্বামীও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত চেকআপ করানোসহ অন্যান্য দিকে নজর রাখতেন। তাঁর কোনো শারীরিক জটিলতাও দেখা দেয়নি।

রোববার রাত ১২টার পর থেকে প্রসব বেদনা শুরু হয় জুলেখা বেগমের। এরপর তাঁর মা-বাবাসহ অন্যান্য আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা পাখি ভ্যানযোগে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে ওই রাত ২টার দিকে নিয়ে আসেন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে। সে সময় হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সরা তাঁর শারীরিক খোঁজখবর নেন। এরপর সকাল পৌনে ৬টার দিকে হাসপাতালের ‘ই ও সি’ বিভাগে নরমাল ডেলিভারিতে জুলেখা বেগম জন্ম দেন এক ফুটফুটে ছেলে শিশু। জন্মের পরপরই হাসপাতাল থেকে আজান শোনানো হয় শিশুটিকে। তার ওজন হয়েছিল দুই কেজি পাঁচশ গ্রাম। এটি জুলেখা বেগমের তৃতীয় সন্তান। তাঁর বড় ছেলে নয়ন মণ্ডল এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে আর মেয়ে রাবেয়া খাতুনকে এখনও স্কুলে ভর্তি করাননি।

সদর হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. মার্ফিয়া খাতুন বলেন, নরমাল ডেলিভারিতে শিশুটির জন্ম হয়েছে। শিশু ও মা শারীরিকভাবে সুস্থ আছে, কোনো জটিলতা নেই। এর আগেও এ নারীর নরমাল ডেলিভারিতে দুটি সন্তানের জন্ম হয়েছিল। আমরা হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছাড়পত্র দিয়েছি। তবে বিশেষ করে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে, প্রথম প্রহরে এই শিশুটির জন্ম হওয়াতে আমরা খুবই খুশি, শিশুটি যেন বড় হয়ে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারে সেই প্রত্যাশা রইল।

এদিকে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুটির মা জুলেখা বেগম বলেন, বাচ্চা হওয়ার কথা ছিল মে মাসের ৫ তারিখে। তবে একটু আগে হলেও সম্পূর্ণ সুস্থ থাকায় আমি খুবই খুশি। হাসপাতালের ডাক্তার নার্স সবাই খুবই আন্তরিক ছিল। তারা সবসময় খোঁজখবর নিয়েছে। জন্মের পর থেকেই বুকের দুধ খাচ্ছে সন্তানটা। সন্তান পেটে আসার পর থেকেই আমি এবং আমার স্বামী খুবই সতর্ক থাকতাম।

তিনি আরও জানান, আমাদের তিন সন্তান। বড় ছেলে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে, মেয়েটার বয়স ছয় বছর, ওকে স্কুলে ভর্তি করাব। এরপর ইচ্ছা ছিল একটা ছেলে সন্তান হবে। মেয়েটা জন্মের ৬ বছর পর আল্লাহ আমাদের ইচ্ছা পূরণ করেছেন। বিশেষ করে বাংলা নববর্ষের মতো বিশেষ একটি দিনে আমার সন্তান হয়েছে, আমিসহ পরিবারের সবাই খুবই খুশি। এখন আমাদের প্রত্যাশা তিন সন্তানকেই যেন লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তুলতে পারি। ছেলেটিকে প্রথম কোলে নিয়েছিল আমার ফুফু অর্থাৎ ছেলেটির নানি। তিনি প্রথম সাদা গেঞ্জি কিনে দিয়েছেন।

ছেলের বাবা রাশেম মণ্ডল বলেন, খুবই খুশি আমরা। বিশেষ করে নববর্ষের দিনে সন্তান হওয়াতে।

শিশুটির নানি সুন্দরী খাতুন বলেন, আমরা খুবই খুশি এমন ফুটফুটে নাতি ছেলে পেয়ে। নাতি ও আমার মেয়ে সুস্থ আছে। আল্লাহ যেন আগামী দিনেও এদের ভালো রাখে।

এদিকে শিশুটির নানা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এ আনন্দ আসলে ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। নাতি-নাতনি যে কী আদরের জিনিস, সেটা যার আছে সেই ভালো জানে। সদ্য ভূমিষ্ঠ নাতিকে কোলে নিয়েছি, মনে হচ্ছে আল্লাহ যেন আমাদের বড় একটি উপহার দিয়েছে। নাতনিটা মাঝেমধ্যে এসে বলছে, নানা তুমি কি ভাইয়াকে বেশি আদর করবা। তখন বলছি, তোরা যে আমার কলিজার টুকরা। তোরা দুই ভাই ও বোন সবাই আমার কাছে সমান। তোদের কাউকেই আদরের কমতি রাখব না।

এদিকে শিশুটি জন্মের সময় সদর হাসপাতালে ছিলেন সম্পর্কে শিশুর নানি সালেহা খাতুন। তিনি বলেন, রাতে হাসপাতালে আনার সময় অনেক চিন্তায় ছিলাম। শেষমেশ হাসপাতালে সবার আন্তরিকতায় ছেলে সন্তানের জন্ম হলো। আমরা খুবই খুশি, আনন্দিত।

ছোট শিশুটিকে দেখতে এসে প্রতিবেশীরা বলেন, জুলেখার কোলজুড়ে একটি সুস্থ সন্তান জন্ম নিয়েছে। এতে আমরা খুবই খুশি। আল্লাহ যেন তাদের ভালো রাখে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ