পদ্মায় সাঁকো পার নিয়ে কথা-কাটাকাটি, হামলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র আহত
Published: 14th, February 2025 GMT
পদ্মা নদীতে সাঁকো পার হতে চাঁদা না দেওয়ায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছেন কয়েকজন ব্যক্তি। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরের পদ্মা নদীর বড়কুঠি এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন হাসিম রানা ও মেহেদী হাসান। মেহেদী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছাড়লেও শরীরে আঘাত নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ঘটনায় রাতে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে একাধিক আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেছেন আহত এক শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থী, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা পদ্মা নদীর চরে বেড়াতে যান। তাঁরা নগরের পাঠানপাড়া পদ্মার লালন শাহ্ মুক্তমঞ্চ হয়ে চরে বেড়াতে যান। ফেরার সময় পদ্মা গার্ড়েনসংলগ্ন বড়কুঠি এলাকা হয়ে ফিরছিলেন। সেখানে বাঁশ, কাঠ, মাটি দিয়ে সাঁকো তৈরি করেছেন স্থানীয় কয়েকজন। সাঁকো দিয়ে যাতায়াতে জনপ্রতি ১০ টাকা নেন তাঁরা। ওই শিক্ষার্থীদের কাছেও তাঁরা ১০ টাকা করে চান। তবে শিক্ষার্থীরা এ দিক দিয়ে পদ্মার চরে যাননি; তাই পাঁচ টাকা করে দিতে চান। এ নিয়ে কথা–কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্থানীয় তরুণেরা লাঠিসোঁটা ও দেশি ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন। এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। পরে দুজনকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ও হাসপাতালের মুখপাত্র শংকর কে বিশ্বাস জানিয়েছেন, সন্ধ্যার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায় জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল। একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হাসিম নামের একজনকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের অর্থোপেডিকস বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর শরীরজুড়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মাহবুবর রহমান বলেন, আহত ব্যক্তিদের একজন এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। তাঁরা সেটা পুলিশকে জানিয়েছেন।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ বলেন, গতকাল রাতে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় ইজিবাইক চালককে গলা কেটে হত্যা, আটক ১
ফতুল্লায় ইসহাক মিঝি (৪৫) নামের এক ইজিবাইক চালককে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে সোহরাব হাওলাদার (৪০) নামের একজনকে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করে এলাকাবাসী।
রোববার (২৩ মার্চ) ভোর রাতে ফতুল্লার কোতালেরবাগ এলাকায় রেললাইনের পাশের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইসহাক মিঝি চাঁদপুর মতলবের নায়েরগাঁও ইউনিয়নের আয়ুব আলীর ছেলে। সে ফতুল্লার পশ্চিম সস্তাপুর এলাকায় রেজাউলের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। এ বাড়ির কাছেই শফিকের মালিকানাধীন ইজিবাইক ভাড়ায় চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি।
আটক সোহরাব হাওলাদার পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী বাহেরচর গ্রামের মৃত আতহার হাওলাদারের ছেলে। সে ফতুল্লার দক্ষিণ সস্তাপুর এলাকার লালের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৩টার সময় চিৎকার শুনে আশপাশের বাড়ির লোকজন ঘর থেকে বের হলে ৩-৪ জন লোককে ইজিবাইক চালককে ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন।
তখন তাদের দেখে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় একজনকে এলাকাবাসী আটক করে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে দেয়। বাকিরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, নিহতের মরদেহ সনাক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজন আটক রয়েছে
কি কারণে তাকে হত্যা করা হলো এবং এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।