ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রশ্ন করেছিলেন একজন সাংবাদিক। বাংলাদেশের বিষয়ে আপনার অভিমত কী? জানতে চাইলে ট্রাম্প ওই প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, ‘এটি এমন একটি বিষয় যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র মোদি) দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন। সত্যি বলতে শত শত বছর ধরে এ নিয়ে কাছ চলছে, এ নিয়ে পড়ছিলাম আমি। আমি বাংলাদেশ (এ বিষয়ে উত্তর দিতে) মোদির ওপর ছেড়ে দেব।’ 

তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ বিষয়ে কোনো জবাব দেননি। তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কথা বলা শুরু করেন।

ওয়াশিংটনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর এ যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বে উঠে আসে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। 

এক ভারতীয় সাংবাদিক ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশের বিষয়ে আপনার অভিমত কী? কারণ এটা স্পষ্ট যে বাইডেন প্রশাসনের আমলে মার্কিন ডিপ স্টেট বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে জড়িত ছিল। এমনকি, মুহাম্মদ ইউনূসও জুনিয়র সরোসের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। বাংলাদেশের বিষয়টি নিয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?

জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‌‘এতে আমাদের ডিপ স্টেটের কোনো ভূমিকা ছিল না।’ 
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চবির এক বিজ্ঞপ্তিতেই ৩৮ ভুল

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) রমজান মাস উপলক্ষ্যে ক্লাস ও অফিসের সময়সূচি নিয়ে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ৩৮টি বানান ভুল ও অসঙ্গতি লক্ষ্য করা গেছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) এসএম আকবার হোছাইন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব ভুল চিহ্নিত করা হয়েছে। 

বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুযায়ী, এ বিজ্ঞপ্তিতে পাওয়া ভুল এবং সেগুলোর প্রমিতরূপ ও ব্যাখ্যা দেওয়া হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে থাকা একাডেমিক শব্দটি অ্যাকাডেমিক হবে (বিদেশি ও বিদেশি উৎসজাত শব্দকে বাংলা বর্ণমালায় লেখার জন্য সংশ্লিষ্ট বিদেশি শব্দটির উচ্চারণ প্রধান বিবেচ্য, উচ্চারণ ‘অ্যা’-এর মতো হলে ‘অ্যা’ ব্যবহৃত হবে; ‘এ্যা’ বা ‘এ’ নয়)। তবে অ্যাকাডেমি হিসেবে ব্যবহার সঠিক হলেও একাডেমি বহুল ব্যবহৃত।)

‘তারিখঃ’ লেখা হলেও ‘তারিখ:’ হবে (বিসর্গ (ঃ) কোনো যতিচিহ্ন নয়, এটি বাংলা বর্ণমালার একটি স্বাধীন বর্ণ, এর নিজস্ব উচ্চারণ আছে, পদান্তে অবস্থিত বিসর্গ বর্ণের উচ্চারণ- হ্, যতিচিহ্ন হিসেবে ব্যবহৃত কোলন ( : ) বা সংক্ষেপণচিহ্নের ( . ) স্থলে বিসর্গ বিধেয় নয়)।

বিজ্ঞপ্তিতে ‘উপলক্ষে’ এর স্থলে উপলক্ষ্যে হবে (‘লক্ষ্য’ থেকে ‘উপলক্ষ্য’, কিন্তু ‘উপলক্ষ’ হয় না)। আবার ‘সময়সূচি সংক্রান্ত’ এর স্থলে সময়সূচিসংক্রান্ত হবে (‘-সংক্রান্ত’ শব্দাংশের স্বাধীন ব্যবহার নেই, এটি সর্বদা অন্য শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বসে)।

‘এতদ্বারা’ শব্দটিও ভুল লেখা হয়েছে, এর স্থলে এতদ্দ্বারা হবে (এতদ্বারা=এত+দ্বারা; ‘এত’ অর্থ অতিরিক্ত, বিশাল বা বেশি পরিমাণ হওয়ায় ‘এতদ্বারা’ শব্দের অর্থ  অতিরিক্ত দ্বারা, বিশাল দ্বারা বা বেশি পরিমাণ দ্বারা; কিন্তু এতদ্দ্বারা=এতদ্‌+দ্বারা, ‘এতদ্’ অর্থ এটা, ইহা বা এর হওয়ায় ‘এতদ্দ্বারা’ অর্থ এর দ্বারা, এটার দ্বারা বা এর দ্বারা)।

এছাড়া, ‘যাচ্ছে যে ২০২৫ সাল’ এর স্থলে ‘যাচ্ছে যে, ২০২৫ সাল’ লেখা যুক্তিযুক্ত (‘যে’-এর পর কমা দেওয়া উচিত ছিল)। ‘যোহরের’ স্থলে ‘জোহরের’ এবং ‘নামাযের’ স্থলে ‘নামাজের’ হবে (আরবি ও ফারসি বানানে ‘য’-এর স্থলে ‘জ’ হয়)।

বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামেই ভুল দেখা গেছে। ‘চ.বি.’ স্থলে ‘চবি’ হবে। কারণ, বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান বলছে, ‘ডিগ্রি’-র নামের বানানের সংক্ষেপণে ডট (.) থাকবে না। লিখতে হবে ডট (.) ছাড়া এবং নিরেটভাবে। যেমন- এইচএসসি, এসএসসি, এমএ, এমএসসি, এমডি, এমকম, বিএ, বিএল, বিএসসি, বিকম; ব্যতিক্রম: এম বি বি এস। অন্যান্য সংক্ষেপণের ক্ষেত্রেও ‘মুণ্ডমাল শব্দের’ ন্যায় একই রীতি অনুসৃত হবে। যেমন- এসএমএস, ঢাবি, রাবি, চবি, ইউএনও ইত্যাদি। কিন্তু নোটিশের সব জায়গায় ‘চ.বি.’ লেখা হয়েছে; যা ভুল। 

অনেক জায়গায় ‘ডেপুটি’ ও ‘রেজিস্ট্রার’ শব্দের বানানে শুরুতে থাকা ‘এ’-কারের উপর মাত্রা রয়েছে; যা ভুল।

একই বানান বারবার ভুল হওয়ায় পুনরাবৃত্তি এড়াতে সেগুলো একবার করে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে 'চবি' শব্দটির ভুল সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে।

এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) এসএম আকবার হোছাইন রাইজিংবিডিকে বলেন, “আসলে আমরা গতানুগতিক যে বানান দেখে আসছি, সে অনুযায়ীই বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া হয়েছে। তবে ভুল তো ভুলই। আমরা এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। সামনে আমরা এগুলো সংশোধন করে নেব।

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ