আমি ভালোবাসলে সেরাটা দিয়েই ভালোবাসি: প্রভা
Published: 14th, February 2025 GMT
দেড় যুগের বেশি সময় ধরে টিভি নাটকে অভিনয় করছেন দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা। অভিনয় নৈপুণ্য ও রূপের জাদুতে দর্শক হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। মাঝে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চিত হয়েছেন। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে এসব বিষয় নিয়ে রাইজিংবিডির সঙ্গে কথা হয় এই অভিনেত্রীর।
আলাপচারিতার শুরুতে জানান, ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই তার। প্রভা বলেন, “আমার মনে আছে, সর্বশেষ ভ্যালেন্টাইন ডেতে আমরা ফাল্গুন পালন করেছিলাম সন্ধ্যা পর্যন্ত। তারপর ভাই-বোনকে নিয়ে ডিনার করেছিলাম। তবে এবার এরকম কোনো প্ল্যান নেই।”
ভালোবাসা দিবসের স্মৃতিবহুল ঘটনা বর্ণনা করেছেন প্রভা। এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ফিরে যান ৪ বছর আগে। এ অভিনেত্রী বলেন, “২০২১ সালে যে আমার প্রেমে ছিলেন উনি রোজ ডেতে অনেকগুলো ফুল দিয়েছিলেন, টেডি ডেতে টেডি, প্রমিজ ডেতে প্রমিজ নোটস, ভ্যালেন্টাইনের সাতটি দিনই সেলিব্রেট করেছিলেন। একটু ক্রেজ ছিল আবার একটু সুইটও।”
আরো পড়ুন:
আপনি অনেক সুন্দর, শাকিব খানকে প্রভা
যুক্তরাষ্ট্রে কী করছেন প্রভা?
প্রেমের সম্পর্কে জড়ানো দোষের কিছু না বলে মনে করেন প্রভা। তার ভাষায়, “প্রেম দোষের কিছু না। চলার পথে কাউকে ভালো লাগতে পারে। মনে হতে পারে এর সঙ্গে চলা যেতে পারে। আবার দুইটা মানুষের সম্পর্ক একটা সময় নাও থাকতে পারে। এটা অন্যয় কিছু না। দোষটা তখনই হয় যখন একটা মানুষের সঙ্গে কমিটেড থেকে অন্য একটা মানুষকে ভালোবাসে।”
কাউকে ভালোবাসলে সেরাটা দিয়েই ভালোবাসেন প্রভা। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমি জানি এটা হবে না; এরকম একজন মানুষকে নিয়ে কোনোদিন চিন্তাও করি না। কিন্তু এরকম একটা মানুষকেও আমাদের ভালো লেগে যায়! একটা সময় ভালোওবেসে ফেলি। এই স্পার্ক সবার জন্য সমান হয় না। আমি যখন দেখি আমার জন্য ওর আগ্রহ আছে, তখন চিন্তা করি ভালোবাসা যায় কি না। আমি যখন ভালোবাসি তখন আমার সেরা এফোর্টটাই দিই।”
ব্যক্তিগত জীবনে প্রভা কি একা নাকি সম্পর্কে রয়েছেন? এ প্রশ্ন তার অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগীর। প্রিয় মানুষদের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিয়ে প্রভা বলেন, “আপাতত কোনো প্রেম করছি না। কখন হয়ে যায় এটা কেউ জানে না। যদিও একটা বয়সে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। আমরা এতটা ক্যালকুলেটিভ না। আমার দুর্বলতা আমাকে কেউ ভালোবাসলে, আমার মাথায় কেউ হাত রাখলে, আমার জন্য কেউ কখনো কিছু করলে আমি ভুলতে পারি না।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কলকাতায় ঈদের নামাজের আগে স্বাধীন ফিলিস্তিনির দাবিতে মিছিল
সারা ভারতসহ পশ্চিমবঙ্গে পালিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর। এ উপলক্ষে বিভিন্ন মসজিদ ও ঈদগাহে ঈদের জামাতে সামিল হন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঈদের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় কলকাতার রেড রোডে। নামাজে ইমামতি করে কাজি ফজলুর রহমান। লাখো মুসল্লি এতে অংশ নেন। এছাড়াও নাখোদা মসজিদ, টিপু সুলতান মসজিদ, পার্ক সার্কাস, ময়দান, খিদিরপুরসহ রাজ্যের অসংখ্য মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ শেষেই একে অপরকে আলিঙ্গন, কুশল বিনিময় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
তবে ঈদের নামাজ শুরুর আগেই স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দাবি করে কলকাতায় সংহতি মিছিলে অংশ নেন মুসল্লিরা। হাতে ব্যানার এবং স্লোগানে স্লোগানে মুখর ছিল মিছিলটি। বিশাল মিছিল নিয়ে কলকাতার রেড রোডে প্রবেশ করেন মুসল্লিরা। বড়দের পাশাপাশি অনেক বাচ্চারাও সেই মিছিলে শামিল হয়।
ওই মিছিলে অংশগ্রহণকারী শেখ আমির নামে এক মুসুল্লি জানান, ‘আজকে আমাদের খুশির দিন, আনন্দের দিন। কিন্তু ফিলিস্তিনে আমাদের ভাই-বোনেদের সঙ্গে যে অন্যায় হচ্ছে তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তারাও যেন শান্তিতে থাকতে পারেন। আমরা যেভাবে পরিবারের সঙ্গে ঈদ পালন করছি, ঠিক সেভাবে তারাও যেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ পালন করতে পারেন। আমি যেমন আমার বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে এসে নামাজ আদায় করছি, ঠিক তারাও যেমন এ রকম করতে পারেন। কিন্তু তাদের সঙ্গে অত্যাচার এবং জুলুম হচ্ছে। নিরপরাধ বাচ্চাদের হত্যা করা হচ্ছে সেটা কি অপরাধ নয়? ইসরায়েলের উচিত ওই বাচ্চাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করা। ইসরায়েলের আক্রমণে যেসব বাচ্চারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আমরা আজ রাস্তায় নেমেছি।’
পরে রেড রোডের ঈদের নামাজে অংশ নেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ খান, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও মমতার ভাতিজা অভিষেক ব্যানার্জি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা প্রমুখ।
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ঈদ পালিত হচ্ছে দিল্লি, লখনৌ, হায়দ্রাবাদ, মুম্বাই, জম্মু-কাশ্মীর, ভোপাল, পাটনাসহ দেশের প্রতিটি শহরে। দিল্লির জামা মসজিদে হাজার হাজার মুসল্লি নামাজে অংশ নেন।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের নাগপুরে দুইটি গোষ্ঠীর সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে ঈদ উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল নাগপুর, মুম্বাইসহ মহারাষ্ট্রের বড় শহরগুলোতে। নাশকতা এড়াতে দিল্লিসহ প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ শহরেই ছিল পুলিশের কড়া নজরদারি।
এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও এই মসজিদে নামাজ আদায় করেন। নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতেও দেখা যায়।