মেট্রোরেল স্টেশনে সিআরএম বসাবে সোনালী ব্যাংক
Published: 14th, February 2025 GMT
মেট্রোরেলের ১০টি স্টেশনে জ্যাকেট ক্যাশ রিসিভিং মেশিন (সিআরএম) স্থাপনের লক্ষে সোনালী ব্যাংক পিএলসি ও ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যে এক চুক্তি হয়েছে।
বুধবার রাজধানীর উত্তরায় টিএমডিসিল কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শাহনাজ বেগম ও ডিএমটিসিএলের কোম্পানি সেক্রেটারি খোন্দকার এহতেশামুল কবীর। অনুষ্ঠানে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ, সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শামিম উদ্দিন আহমেদ, জেনারেল ম্যানেজার নাঈমা আক্তারসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অত্যাধুনিক এই সিআরএমের মাধ্যমে মেট্রোরেলের যাত্রীরা সহজেই অর্থ উত্তোলন ও জমা করতে পারবেন।
শান্ত//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
লেজার লাইটের ব্যবহার প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
পুলিশের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের সময় ও সাধারণ মানুষের লেজার লাইটের ব্যবহার প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ রুল দেন।
ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিশের এবং বিমানবন্দর এলাকাসহ অন্য কোনো স্থানে সাধারণ মানুষ অথবা কর্তৃপক্ষের লেজার লাইটের ব্যবহার বন্ধের বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী ও দুই ব্যক্তি গত মাসে ওই রিট করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হাদী, সঙ্গে ছিলেন ওবায়েদ আহমেদ ও রবিউল আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব।
পরে আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হাদী প্রথম আলোকে বলেন, লেজার লাইটের রশ্মি মূলত ফোকাস রেডিয়েশন। যান নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ লেজার লাইট ব্যবহার করে। এ ছাড়া বিমানবন্দর এলাকায় বিমান ওঠা বা নামার সময়ও লেজার লাইটের ব্যবহার দেখা যায়। চিকিৎসকদের মতে, লেজার লাইটের রশ্মি এসে পড়লে মানুষের চোখ ও ত্বকের সাময়িক বা স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। রেটিনার ক্ষতিসহ তা অন্ধত্বের ঝুঁকি তৈরি করে। এ ধরনের লাইটের ব্যবহার দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ায়। মূলত এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।
রিট আবেদনে দেখা যায়, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিশের এবং বিমানবন্দর এলাকাসহ অন্য কোনো স্থানে সাধারণ মানুষ অথবা কোনো কর্তৃপক্ষের লেজার লাইটের ব্যবহার কেন বেআইনি, অসাংবিধানিক এবং সংবিধানের ২৭, ৩১, ৩২ ও ৩৬ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। নিরাপদ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিকল্প ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করে অবিলম্বে লেজার লাইটের ব্যবহার নিষিদ্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে বিষয়েও রুল চাওয়া হয়েছে রিটে।
রিটের প্রার্থনা অনুযায়ী রুল হয়েছে জানিয়ে আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন, স্বরাষ্ট্রসচিব, বেসমারিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনসচিব, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে হবে।