সিগাল ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের মধ্যে চুক্তি
Published: 14th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের সাথে সিগালর্স হোটেল কক্সবাজার ও সিগাল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা ভিলেজ টাঙ্গাইলের মধ্যে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।
এই চুক্তির অধীনে, বিসিবিএল ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ডধারীরা এখন উভয় সিগালে বিলাসবহুল থাকা, ভালো খাবার এবং প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতার উপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় উপভোগ করতে পারবেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মোঃ মোহাসিন মিয়া (চেয়ারম্যান, বোর্ড এক্সিকিউটিভ কমিটি), মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন (ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও, বিসিবিএল), মোহাম্মদ জিয়াউল করিম (উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিসিবিএল), এবং জনাব ইমাম উদ্দিন আহমেদ সাদি (জেনারেল ম্যানেজার হোটেল মার্কেটিং এন্ড সেলস) উপস্থিত ছিলেন।
ইমাম উদ্দিন আহমেদ সাদি জানান, বিসিবিএল কার্ডধারীদের বিলাসিতা, স্বাচ্ছন্দ্য এবং শিথিলতার জন্য স্বাগত জানাতে পেরে আমরা উচ্ছ্বসিত যা আগে কখনও হয়নি। বাংলাদেশের ভ্রমণ ও পর্যটন শিল্পে এক বিশ্বস্ত ও আস্থার নাম সিগাল গ্রুপ। দীর্ঘদিন ৫ তারকা মানের প্রকৃত সেবা দিয়ে আসছে এই গ্রুপটি। ঢাকার আশপাশে কোথাও ফ্যামিলি নিয়ে ঘুরতে যেতে চাইলে যেতে পারেন সিগ্যাল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা ভিলেজে।
ঢাকার প্রাণকেন্দ্র থেকে রওনা দিলে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার ভেতরে পৌঁছে যেতে পারবেন টাঙ্গাইলে সিগ্যাল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা ভিলেজে। সেখানে থাকছে ডে লং ট্রিপ ও নাইট স্টে করার সুযোগ।
সাদি বলেন, কক্সবাজারকে বলা হয় দেশের পর্যটন রাজধানী। কিন্তু ভ্রমণের জায়গাটি হতে হবে নিরাপদ। এজন্য কক্সবাজারে আছে ঐতিহ্যবাহী পাঁচ তারকা হোটেল সিগাল। বিপুল পর্যটকদের রাত্রিযাপন নিশ্চিত করতে সমুদ্র সৈকতের কাছে তৈরি করা হয়েছে অসংখ্য আবাসিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট এবং কটেজ। কিন্তু সবগুলোতে নেই পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা। নেই নিরাপত্তা। কিন্তু হোটেল ‘সিগাল’ এসব দিক থেকে ব্যতিক্রম এবং ঐতিহ্যবাহী। দীর্ঘদিন যাবত একই রকমভাবে গ্রাহকদের পাঁচ তারকা মানের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছি আমরা।
শান্ত//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই বিপ্লব পরিষদের দোয়া ও ইফতার মাহফিল
জুলাই বিপ্লব পরিষদের আয়োজনে রাজধানীর উত্তর যাত্রাবাড়ীর নূর কমিউনিটি সেন্টারে মঙ্গলবার বিশেষ দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং রাজনীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ছাত্র সংগঠনের নেতারা, বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা দেশের চলমান সংকট উত্তরণের জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস জরুরি বলে মত দেন।
জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য মো. আহসান উল্লাহ তুষার বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক ঐতিহাসিক প্রতিরোধ, যা ভবিষ্যতেও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রেরণা হয়ে থাকবে।
মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) মহাসচিব সাউদ মতিন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) এবং জুলাই বিপ্লব পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাকিব হোসেন, এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) এস এম শাহরিয়ার, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহেদ, বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষের সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম নির্ঝর, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক মো. আরিফুল ইসলাম এবং জুলাই বিপ্লব পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির স্থায়ী সদস্য সাদিল আহমেদ প্রমুখ।
এছাড়াও জুলাই বিপ্লব পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির স্থায়ী সদস্য শাহনেওয়াজ ফাহাদ ভার্চ্যুয়ালি উপস্থিত ছিলেন। ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের সংগ্রাম আরও বেগবান করতে তরুণদের আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান শাহনেওয়াজ ফাহাদ।
অনুষ্ঠানে ইফতার মাহফিলে শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়। বিশেষ দোয়া পর্বে তাদের আত্মার মাগফিরাত, আহতদের সুস্থতা এবং দেশের শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করা হয়।