তিন মাস পর জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটি
Published: 14th, February 2025 GMT
গত বছরের অক্টোবরে নির্বাচনের পর বেশ কয়েকটি স্ট্যান্ডিং কমিটি হলেও জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত হয়নি। ২০২৪ সালের ৯ নভেম্বর নির্বাচিত কমিটির প্রথম সভায় জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির দায়িত্ব নিজের কাঁধে রাখলেও অন্য সদস্যদের নাম চূড়ান্ত করেননি সভাপতি তাবিথ আউয়াল। তিন মাসের বেশি সময় পর গতকাল ন্যাশনাল টিমস কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। ১১ সদস্যের কমিটির চেয়ারম্যান তাবিথ আউয়াল। ডেপুটি চেয়ারম্যান করা হয়েছে ফেডারেশনের সিনিয়র সহসভাপতি ইমরুল হাসানকে।
বাংলাদেশের ফুটবলের গুরুত্বপূর্ণ কমিটি হলো জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটি। কোচ নিয়োগ, ফুটবলারদের সুযোগ-সুবিধাসহ আরও নানা বিষয় জড়িত থাকে। সাধারণত চেয়ারম্যানসহ ফেডারেশনের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য সংখ্যা হয় ৯ জন। এবার তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১১ জন।
এই কমিটিতে অবশ্য সাবেক ফুটবলারদের সঙ্গে ক্লিন ইমেজের ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন সভাপতি তাবিথ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ফর্টিস গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন। যাকে ফেডারেশনের নির্বাচনে সহসভাপতি হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সদস্য হিসেবে আছেন সাবেক ফুটবলার মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ টবল র কম ট র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
ঐকমত্য কমিশনে সংস্কার প্রস্তাবনা জমা দিল জামায়াত
নিরপেক্ষ ব্যক্তির অধীনে নির্বাচন ও সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ একগুচ্ছ মতামত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজের কাছে সংস্কার প্রস্তাব জমা দেয় দলটি।
এ সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ছাড়াও অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় পাবলিসিটি ও মিডিয়া সেক্রেটারিসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
পরে এক ব্রিফিংয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ প্রতিবেদন জমা প্রসঙ্গে বলেন, “কাজের অগ্রগতি অবশ্যই জানানো হবে। তবে প্রতিদিন ব্রিফিং হবে এমন না-ও হতে পারে, কিন্তু অবশ্যই কাজের অগ্রগতি জানানো হবে।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমাদের ওপর কোনোরকম চাপ নেই। এ ক্ষেত্রে স্মরণ করিয়ে দেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশন হলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, সে ক্ষেত্রে ঐকমত্য কমিশনের ওপর চাপের প্রশ্নই আসে না। রাজনৈতিক দলগুলো অবশ্যই তাদের অবস্থান বলবে। কিন্তু কমিশন হিসেবে আমাদের দায়িত্ব সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশগুলো তুলে ধরা এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা।”
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বিএনপির পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়েছে আগামী দু-একদিনের মধ্যে তারা আমাদের মতামত জানাবেন। আমরা অপেক্ষা করছি, আশা করছি দু-এক দিনের মধ্যেই তারা মতামত জানাবে।”
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে আলোচনা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ছাত্রদের সঙ্গে আগামী দুই-তিন দিনে বৈঠক হচ্ছে না। তাদের মতামত পাওয়া গেলে ঈদের পর থেকে যেসব দলের সঙ্গে আমরা আলোচনা করবো তারমধ্যে এনসিপিও থাকবে।”
এদিকে সংস্কার বিষয়ে প্রস্তাবনা জমার পর গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “জামায়াতে ইসলামীর সুচিন্তিত মতামত আমরা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। দলের আমির ড. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে দফায় দফায় সংস্কার কমিশনগুলোর দেওয়া সুপারিশগুলো নিয়ে আলোচনা করেই আমরা লিখিত মতামত জানিয়েছে।”
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “সংস্কার প্রস্তাবনার মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে নির্বাচন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করার ব্যাপারে আমরা বেশ কিছু প্রস্তাব দিয়েছি। নির্বাচন হতে হবে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে। এছাড়া, সংবিধান ও দুর্নীতিসহ বেশ কিছু ব্যাপারে আমরা আমাদের মতামত জানিয়েছি।”
ঢাকা/হাসান/ইভা