গাজীপু‌রের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে আজ শুক্রবার সকালে। এই আয়োজন চলবে রোববার পর্যন্ত। শুক্রবার ফজর নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইজতেমা। আম বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আব্দুস সাত্তার সাহেব (নিজামুদ্দিন)। তার বয়ান বাংলায় তরজমা করেন মুফতি আজিম উদ্দিন।

ভারতীয় মাওলানা সাদ অনুসারীদের গণমাধ্যম সমন্বয়ক মো.

সায়েম বলেন, বুধবার সন্ধ্যার পর থেকেই মুসল্লিরা মাঠে প্রবেশ করেন। আনুষঙ্গিক কাজ বা মাশোয়ারা (পরামর্শ) শেষে আসরের নামাজের পরে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে আমাদের দ্বিতীয় পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শুক্রবার সকাল থেকে ধাপে ধাপে চলছে বয়ান। বৃহস্পতিবার সকালে ইজতেমা ময়দানে আগতদের সংখ্যা কম থাকলেও সন্ধ্যার দিকে পুরো ইজতেমা মাঠ ভরে ওঠে। ভারী ব্যাগ মাথায় নিয়েও অনেকে আসছেন ময়দানে। তারা নির্ধারিত স্থান (খিত্তা) খুঁজে বের করে সেখানে অবস্থান নিয়েছেন। অনেকে অবস্থান করছেন বাঁশ ও চটের তৈরি শামিয়ানার নিচে।

শিক্ষকদের উদ্দেশে আলাদা বয়ান: মো. সায়েম জানান, শুক্রবার সকাল ১০টায় ইজতেমা ময়দানের পূর্ব-উত্তর কোনে টিনশেডে ব্যবসায়ী, সরকারি বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সাংবাদিক বুদ্ধিজীবীদের উদ্দেশে আলাদা বয়ান হবে। বয়ানের মিম্বরে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে আলাদা বয়ান হবে। একই সময়ে ইজতেমার ময়দানের পশ্চিম পাশে টিনশেডে বধিরদের উদ্দেশ্যে আলাদা বয়ান অনুষ্ঠিত হবে। একই দিন সকাল সাড়ে ১০টায় খিত্তায় খিত্তায় তালিম হবে।

জুমার নামাজে ইমামতি করবেন মাওলানা সাদের ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ: শুক্রবার বেলা দেড়টায় হবে বৃহত্তম জুমার নামাজ। নামাজে ইমামতি করবেন ভারতের মাওলানা সাদের বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ। জুমার নামাজের পর বয়ান করবেন নিজামউদ্দিন অনুসারী (সাদপন্থি) তাবলীগ জামাতের মুরুব্বী ওয়াসিফুল ইসলাম (কাকরাইল), আসর নামাজের পর ভারতের হাফেজ মনজুর সাহেব (নিজামুদ্দিন), তার বয়ান বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা রুহুল আমিন, বাদ মাগরিব বয়ান করবেন মাওলানা জমশেদ সাহেব (নিজামুদ্দিন), তার বয়ান বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব শ ব ইজত ম র ন ম জ র পর ময়দ ন ইজত ম

এছাড়াও পড়ুন:

স্ত্রীকে খুনের পর পালাল স্বামী, পুলিশ বলছে পারিবারিক কলহ

পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর পালিয়েছে স্বামী। বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের চাড়ালকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ছুরিকাঘাতে নিহত সীমা আক্তার কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বাসিন্দা মাহমুদুল হক করিমের স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে সীমা আক্তারকে ছুরিকাঘাত করে তার স্বামী মাহমুদুল হক। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে তিনটার দিকে মারা যান।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজিবুর রহমান বলেন, মাহমুদুল হক উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের পিএইচপি গ্লাস তৈরির কারখানায় চাকরি করেন। সেই সুবাদে স্ত্রী সীমা আক্তারকে নিয়ে কারখানা কাছাকাছি চাড়ালকান্দি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতে শুরু করেন। রাতে কলহের জের ধরে স্ত্রী সীমা আক্তারকে ছুরিকাঘাত করেন মাহমুদুল হক।

আহত সীমার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় মাহমুদুল হক পলাতক রয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ