শ্যামনগরে যৌথ অভিযানে তাঁতীলীগ নেতাসহ দুইজন গ্রেপ্তার
Published: 14th, February 2025 GMT
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে উপজেলা তাঁতীলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক (৪৬) ও মাসুদ হোসেন (৪০) নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বাদঘাটা ও চুনাবিজ্র এলাকায় পৃথক অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির মোল্যা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসেবে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এবং বর্তমানে তাঁতীলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাককে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উপজেলার গাবুরায় গত ২৯ নভেম্বর সংঘটিত বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
অন্যদিকে, রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেনাবাহিনীর অভিযানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পেছনের সড়ক থেকে মাসুদ হোসেনকে আটক করা হয়। পরে তাকে শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করা হয় এবং শুক্রবার সকালে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।
মাসুদ হোসেন শ্যামনগর পৌরসভার বাদঘাটা গ্রামের বাসিন্দা আলহাজ মুজিবর রহমানের ছেলে। জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মিছিল চলাকালে তিনি যুবলীগ ও ছাত্রলীগের হামলায় মারাত্মক আহত হয়েছিলেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশে ঢুকে জেলেদের হামলা করার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে
বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে ঢুকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা জেলেদের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা জানান, বিএসএফ জেলেদের মারধর করে তিনটি নৌকা নিয়ে গেছে।
বিজিবি বলছে, তারা জানতে পেরেছে, বাংলাদেশি জেলেরা ভারতের সীমান্তে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। বিএসএফ তাদের তিনটি নৌকা আটকে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাতে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সীমান্ত নদী কালিন্দির বয়ারসিং সংলগ্ন উলোখালীর চর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় হামলায় ২ পুলিশ আহত
চট্টগ্রামের ডিসি হিলে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান মঞ্চ ভাঙচুর, আটক ৬
হামলার শিকার জেলেরা হলেন- শ্যামনগর উপজেলার টেংরাখালী গ্রামের রমজান আলী, শাহাজান আলী, শাহাদাৎ হোসেন, মো. শাহাজান, আতাউর রহমান, মো. আব্দুল, মানিকপুর গ্রামের কেরামত ও কৈখালীর নুর মোহাম্মদ।
হামলার শিকার শাহাদাৎ হোসেন জানান, পশ্চিম সুন্দরবনের কৈখালী স্টেশন থেকে পাস (অনুমতিপত্র) নিয়ে চারদিন আগে তারা সুন্দরবনে যান। তিনটি নৌকার ১২ জন জেলে দুইদিন ধরে বাংলাদেশের সীমানাভুক্ত উলোখালীর চরে পাটা জাল পেতে মাছ ধরছিলেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুইটি স্পিডবোট নিয়ে বিএসএফ সদস্যরা সেখানে যান ও তাদের মারধর শুরু করেন।
তিনি আরো জানান, তারা নদীতে পেতে রাখা জাল ও সেখানে থাকা নৌকা ফেলে বনের মধ্যে ঢুকে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। নৌকা নিয়ে পরে বিএসএফ সদস্যরা চলে যায়।
শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ লাল্টু জানান, বিএসএফের মারধরের শিকার আট জেলের মধ্যে ছয়জন তার এলাকার। বিএসএফ নৌকা নিয়ে উলোখালীর চর থেকে তাড়িয়ে দেওয়ায় তারা পায়ে হেঁটে বনের মধ্য দিয়ে লোকালয়ে ফিরছেন। সেখানে পেতে রাখা জাল উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে।
সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মশিউর রহমান বলেন, “বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশী সীমানায় ঢুকে তিনটি নৌকা নিয়ে গেছে বলে শুনেছি।”
বুধবার (১৬ এপ্রিল) সাতক্ষীরা ১৭ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহরিয়ার রাজিব বলেন, “আমরা যতদূর খবর পেয়েছি, মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশি জেলেরা ভারতের সীমানায় প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। তখন বিএসএফ তাদের তিনটি নৌকা আটকে দিয়েছে। হামলা বা গুলির কোন ঘটনা সেখানে ঘটেনি।”
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ