ব্রুনেই দারুসসালাম সরকার ডিপ্লোমা, আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি ও পোস্টগ্র্যাজুয়েট (মাস্টার্স) পর্যায়ের বৃত্তি দেবে। ‘অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)-ভুক্ত দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তি পাবেন। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হবে। এ বৃত্তিতে দেশটির পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ মিলবে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আবেদনের শেষ হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো—

Universiti Brunei Darussalam (UBD);

Universiti Islam Sultan Sharif Ali (UNISSA);

Universiti Teknologi Brunei (UTB);

Kolej Universiti Perguruan Ugama Seri Begawan (KUPU SB);

Politeknik Brunei (PB).

আরও পড়ুনআইএসডিবি-বিআইএসইডব্লিউ দেবে ১৬৫ স্কলারশিপ, ২ লাখ টাকার কোর্স শেষে কর্মসংস্থানে সুযোগ৩০ জানুয়ারি ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা—

১. বয়স: আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও ডিপ্লোমার জন্য আবেদনের সর্বোচ্চ বয়স ২৫ বছর হতে হবে। পোস্টগ্র্যাজুয়েটের জন্য আবেদনের জন্য বয়স সর্বোচ্চ ৩৫ হতে হবে। যে বছর কোর্স বা প্রোগ্রাম শুরু হবে, সেই বছরের ১ জুলাই এ বয়স হতে হবে।

২. ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা

ইংরেজিতে দক্ষতার জন্য আইইএলটিএসে স্কোর প্রয়োজন ৬ অথবা টোয়েফলে স্কোর ৫৫০ থাকতে হবে।

ফাইল ছবি

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩১ লাখ শিক্ষার্থী পাবে দুপুরের খাবার

বিদ্যালয়ে দুপুরের খাবার পাবে দেশের ৩১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থী। ২০ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এপ্রিলেই এ কর্মসূচি চালু হচ্ছে। খাবারের তালিকায় থাকবে উচ্চ পুষ্টিমানের বিস্কুট, বান, পাস্তুরিত দুধ, স্থানীয় মৌসুমি ফল ও ডিম। খাবারের পেছনে শিক্ষার্থীপ্রতি খরচ হবে ১৩০ টাকা। কার্যক্রমের শৃঙ্খলা রক্ষায় উপেজলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে স্থানীয়দের নিয়ে একটি কমিটি কাজ করবে। সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনে শিক্ষার্থীকে উৎসাহ, শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি বাড়ানো, অপুষ্টির ঘাটতি কমানো এবং সফলভাবে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ হতে সহায়তার উদ্দেশ্যে প্রকল্পটি নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। 
‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি’ নামে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এতে খরচ ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। কোনো বিদেশি ঋণ কিংবা অনুদান ছাড়াই নিজস্ব জোগান থেকে খরচ মেটাবে সরকার। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রকল্পটি অনুমোদনের সুপারিশ করেছে পরিকল্পনা কমিশন। আজ রোববার অনুষ্ঠেয় একনেক বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। প্রকল্পটিসহ মোট ১৫টি প্রকল্প উঠছে আজকের একনেক সভায়। 

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান মনে করেন, প্রকল্পটি দেশের শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে। সে বিবেচনা থেকে সরকার দুপুরের খাবারের প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে। গতকাল শনিবার তিনি সমকালকে আরও বলেন, দারিদ্র্যের কারণে কিংবা অসচেতনতায় অনেক শিক্ষার্থী না খেয়ে স্কুলে আসে। যারা খেয়ে আসে, তাদেরও ক্লাসে একটা পর্যায়ে ক্ষুধা লাগে। এ রকম অবস্থায় স্কুলের পড়ালেখায় শিশুদের মন বসে না।  ক্লাসের ফাঁকে স্কুলে খাবার পেলে এ সমস্যা থাকবে না। উন্নত বিশ্বে এ নীতিই অনুসরণ করা হয়। আমরা শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে চাই। 
৬২ জেলার ১৫০ উপজেলার ১৯ হাজার ৪১৯ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মসূচিটি চলবে। এ উপজেলার মধ্যে ৯১ শতাংশ, অর্থাৎ ১৩৫ উপজেলা অতি উচ্চ এবং উচ্চ দারিদ্র্যপ্রবণ। বাকি ১৪টি, অর্থাৎ ৯ শতাংশ উপজেলা নিম্ন দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকা। গত বছর প্রকাশিত খানা আয়-ব্যয় জরিপ প্রতিবেদনের পভার্টি ম্যাপিংয়ের ভিত্তিতে দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকা নির্বাচন করা হয়েছে। 

ডেভেলপমেন্ট রিসোর্সেস ইনস্টিটিউট নামে তৃতীয় পক্ষীয় একটি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাই করে। তিন বছর মেয়াদের প্রকল্পটি শেষ হবে ২০২৭ সালের ডিসেম্বরে। চলতি অর্থবছর  প্রকল্পে ৩৮ কোটি টাকা ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে। বড় ব্যয় হবে আগামী অর্থবছরে যা ২ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা। ২০২৬-২৭ অর্থবছর ২ হাজার ১৬১ কোটি টাকা । ২০২৭-২৮ অর্থবছরে ১৯০ কোটি টাকা ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ডিপিপিতে। 

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, কমিশনের সংশ্লিষ্ট আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের শিক্ষা অনুবিভাগ প্রকল্পটির ডিপিপি পর্যালোচনা করেছে। এ-বিষয়ক প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) বৈঠকে প্রস্তাবিত ব্যয় থেকে ১১৮ কোটি টাকা কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। এর ভিত্তিতে পুনর্গঠিত ডিপিপির ওপর ৭ জানুয়ারি পিইসির চূড়ান্ত বৈঠকে প্রকল্পটি অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়। এর ভিত্তিতে প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য একনেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় পরিকল্পনা কমিশন। কমিশনের সুপারিশে বলা হয়, প্রকল্পটির মাধ্যমে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালু হলে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করা, ঝরে পড়া রোধ, শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতির হার বাড়ানো, পড়ালেখায় মনোযোগ ধরে রাখাসহ সার্বিকভাবে শিক্ষার মান উন্নয়ন হবে। 
স্কুল মিল কর্মসূচির গুরুত্ব ও ফলাফল বিবেচনায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় ২০০১ সালে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি শুরু হয়।  ২০১০ সালের জুন পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলে। ওই বছর থেকে দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং নামে আলাদা একটি কর্মসূচি চালু হয়ে ২০২২ সালের জুনে শেষ হয়। প্রকল্পটি শেষ হওয়ার আগেই ২০২১ সালে প্রায় একই রকম আরও একটি প্রকল্প প্রস্তাব গণমাধ্যমে সমালোচনার মুখে একনেক থেকে ফেরত দেওয়া হয়। কক্সবাজার ও বান্দরবানে  অন্য একটি প্রকল্পের আওতায় স্কুল ফিডিং কার্যক্রম ছাড়া প্রায় তিন বছর ধরে এ ধরনের কোনো কর্মসূচি দেশে চালু নেই।  


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ