বাংলাবান্ধা দিয়ে নেপালে গেল ৩৩৬ মেট্রিক টন আলু
Published: 14th, February 2025 GMT
পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ৩৩৬ মেট্রিক টন আলু নেপালে রপ্তানি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আলুভর্তি ১৬টি ট্রাক নেপালে পাঠানো হয়।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি মোমিন বলেন, ‘‘থিংকস টু সাপ্লাই নামের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৩৩৬ মেট্রিক টন আলু নেপালে পাঠিয়েছি। আলুগুলো রংপুর বিভাগের বিভিন্ন এলাকার। আমরা এর আগেও বেশ কয়েকবার নেপালে আলু রপ্তানি করেছি।’’
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ‘‘বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ৩৩৬ মেট্রিক টন আলু নেপালে গেছে। এগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে।’’
১৯৯৭ সালে নেপালের সঙ্গে এক বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে এই বন্দর দিয়ে প্রথম আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়। এরপর ২০১১ সালে ভারতের সঙ্গে ও ২০১৭ সালে ভুটানের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়। স্থলবন্দর দিয়ে ৯৫ শতাংশই পাথর আমদানি হলেও বাংলাদেশ থেকে বেশ কয়েকটি পণ্য রপ্তানি হচ্ছে ভারত ও নেপালে।
ঢাকা/নাঈম/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নৌপরিবহনে ৪ ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন, ব্যয় ১৩,২১৬ কোটি টাকা
‘মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের ৩টি এবং আখাউড়া এবং তামাবিল বর্ডার ক্রসিংয়ের একটিসহ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মোট ৪টি ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ১৩ হাজার ২১৬ কোটি ৩৬ লাখ ৫১ হাজার ১৪৭ টাকা।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় ক্রয় প্রস্তাবগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা গেছে, ইমপ্রুভমেন্ট অব ল্যান্ড পোর্টস অ্যাট আখাউড়া অ্যান্ড তামাবিল বর্ডার ক্রসিং পয়েন্টসের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। দরপত্র আহ্বান করা হলে ৩টি দরপত্র জমা পড়ে। এর মধ্যে ১টি দরপত্র রেসপনসিভ হয়। ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বলে সভায় জানানো হয়। এতে ব্যয় হবে ২৩২ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
এ ছাড়াও তামাবিল স্থলবন্দর ও আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানিকৃত মালামাল সংরক্ষণের জন্য ভূমি উন্নয়নসহ ওয়্যারহাউজ, ট্রান্সশিপমেন্ট শেড, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল, ওয়েব্রীজ স্কেল ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে বলে জানানো হয়।
সভায় ‘মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর-২ এর পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে মাত্র ১টি দরপত্র জমা পড়ে। কাজটি যৌথভাবে পেন্টা এবং ওশেন/টিওএ বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ৬ হাজার ১৯৬ কোটি ৬৭ লাখ ১৮ হাজার ৬২৫ টাকা।
সভায় ‘মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং-সিডব্লিউ-৩ এর পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এ জন্য ৩টি দরপত্র জমা পড়ে। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে (১) টকিউ এবং এমআইএল বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ২০৯ কোটি ৪১ লাখ ২৮ হাজার ৯৪২ টাকা।
এই প্যাকেজের আওতায় ব্রিজসহ ৬.৪ কিলোমিটার অ্যাক্সেস রোডের আওতায় ৪টি সেতু, ১৫টি কালভার্ট, ৯টি আন্ডারপাস ও ১টি ইন্টারসেকশনসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।
ঢাকা/হাসনাত//