র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ৮ দল, ১৫টি ম্যাচ আর একটি ট্রফি; আর মাত্র ছয় দিনের অপেক্ষা শেষে শুরু ওয়ানডে ফরম্যাটের ‘চ্যাম্পিয়ন’ এই টুর্নামেন্ট। স্বাগতিক পাকিস্তান হলেও হাইব্রিড মডেলের এই আসরে ভারতের ম্যাচগুলো আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। কে হবে চ্যাম্পিয়নদের চ্যাম্পিয়ন?
আপাতত এই কৌতূহলের উত্তর দিতে হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের। সেখানেই কেউ ভারত, কেউ বা পাকিস্তান; কেউ আবার অস্ট্রেলিয়ার কথা বলছেন। সাবেক অসি অধিনায়ক রিকি পন্টিং যেমন ফাইনালের দুটি দল হিসেবে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতকে এগিয়ে রেখেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ নেই এই আসরে, তাই সাবেক ক্যারিবিয়ান তারকা ক্রিস গেইলের ফেভারিট এবার ভারত। শ্রীলঙ্কাও খেলার সুযোগ পায়নি, তাই নিজ দেশের কথা বলতে পারছেন না মুত্তিয়া মুরালিধরনও। তাঁর ফেভারিট অবশ্য পাকিস্তান ও ভারত। রবি শাস্ত্রীরও তাই।
‘আসরটি চ্যাম্পিয়নদের, তাই এখানে সবাই ফেভারিট। তার পরও আমি পাকিস্তান ও ভারতকে এগিয়ে রাখব। কারণ, পাকিস্তান তাদের ঘরের মাঠে খেলতে নামবে। আর ভারত এই কন্ডিশনে ভালো দল।’
এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুরালিধরন জানান, আসন্ন এই আসরে স্পিনাররা ভালো করবে। ‘উইকেটের সুবিধা নিয়ে আফগানিস্তানের রশিদ খান ও ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা ভালো করবে বলে মনে হচ্ছে। তবে এর বাইরেও অন্য কোনো স্পিনার উঠে আসতে পারে। রিকি পন্টিং তাঁর ভবিতব্য বলতে গিয়ে বর্তমান কিছু পরিসংখ্যান সামনে এনেছেন। যেখানে তিনি বলতে চেয়েছেন, সম্প্রতি আইসিসির টুর্নামেন্টগুলোতে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত বেশির ভাগ ফাইনাল খেলেছে। ‘আপনি বর্তমানে দুই দলের স্কোয়াডের দিকে যদি তাকান এবং সাম্প্রতিক আইসিসি টুর্নামেন্টগুলোর পারফরম্যান্স বিচার করেন, তাহলে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতকে এগিয়ে রাখবেন।’
পন্টিং অবশ্য এর পাশাপাশি পাকিস্তানকেও রেখেছেন তাঁর ফেভারিট হিসেবে। সর্বশেষ ২০১৭ সালে ভারতকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। রবি শাস্ত্রীও ব্যাপারটি মনে করিয়ে দেন। ‘পাকিস্তান গত ছয়-সাত মাসে এই ফরম্যাটে দারুণ খেলেছে। সেমিফাইনালে তাদের রাখতেই হবে। পাকিস্তান এমনই ভয়ংকর দল এবং তারা যদি নকআউটে পৌঁছে যায়, তাহলে দ্বিগুণ ভয়ংকর হয়ে যাবে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ভ রতক
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়ের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে হত্যা: গ্রেপ্তার ১
রাজশাহী নগরীর তালাইমারি এলাকায় মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ জানানোয় বাবাকে মাথা থেতলে হত্যা করে বখাটেরা। এই ঘটনায় আসামিদের ধরতে প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয় নিহতের এলাকাবাসী। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাক হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক হোসেন সমকালকে বলেন, মামলার আসামি রুমেলকে (২৫) গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজশাহীর তালাইমারি শহীদ মিনারের বাবর রোডের মাথা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান চলছে।
এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তালাইমারি শহিদ মিনার এলাকার কালু মিয়ার ছেলে নান্টু (২৮), মৃত রতনের ছেলে মো. বিশাল (২৮), মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে মো. খোকন মিয়া (২৮)। এছাড়া তালাইমারি বাবর আলী রোড এলাকার শাহীনের ছেলে তাসিন হোসেন (২৫), মো. অমি (২৫), জামালের ছেলে মো. নাহিদ (২৫), পিরুর ছেলে মো. শিশির (২০)।
নিহত আকরাম আলী (৫২) পেশায় একজন বাস চালক। তিনি রাজশাহী মহানগরীর তালাইমারি শহীদ মিনার এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তার মেয়ে রাকিয়া ওরফে আলফি নগরীর অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী। আলফিকে নিয়মিতই উত্ত্যক্ত করে আসছিল নান্টু ও তার সহযোগীরা। সর্বশেষ গত বুধবার বিকেলে ভুক্তভোগী আলফি কোচিং করে বাসায় ফেরার পথে নান্টু তাকে উত্ত্যক্ত করে। ভুক্তভোগী বাসায় এসে এই বিষয়ে জানালে তার বাবা অভিযুক্ত নান্টুর বাসায় বিচার দেয়। পরে, নান্টু ও তার সহযোগীরা সেদিন রাতে রাজশাহী মহানগরীর তালাইমারি শহীদ মিনার এলাকায় হাতে লোহার রড, বাঁশের লাঠি, কাঠের লাকড়ি, ইটের আধলা নিয়ে ভুক্তভোগীর বড় ভাই ইমান হাসানের ওপর আক্রমণ করে। এসময় নান্টুর হুকুমে অন্য আসামিরা তাকে এলাপাতাড়িভাবে মারপিট করতে থাকে। প্রাণে বাঁচার তাগিদে চিৎকার করলে বাবা আকরাম বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। তার বাবা এগিয়ে আসলে অভিযুক্ত নান্টুর হুকুমে আসামিরা এলোপাতাড়ি লাথি, কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এ সময় ইটের আধলা দিয়ে হত্যার উদ্দেশে তার (আকরাম) মাথার পিছনে আঘাত করে। মাথায় গুরুতর জখম হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহত আকরাম আলীর ছেলে ইমাম হাসান অনন্ত বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার নগরীর বোয়ালিয়া থানায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আর চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
ইমাম হাসান অনন্ত সমকালকে বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে আমার বাবার খুনিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। যারা গ্রেপ্তার হয়নি, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। এই খুনিরা সমাজের জন্য বিপদজনক।