বাফুফে ক্যাম্পে কেমন কাটছে বিদ্রোহী ফুটবলারদের দিন
Published: 14th, February 2025 GMT
ঘড়িতে তখন সকাল ১০টা ২৬। বাফুফের আঙিনায় সাংবাদিকদের আনাগোনা ততটা নেই। মাত্র দুটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের গাড়ি চোখে পড়ল। অনেকটা সময় অপেক্ষার পর গতকাল কয়েক পা এগিয়ে কাচঘেরা জিমঘরের পাশে যেতেই বাইরে থেকে দেখা মিলল একজনের। আগ্রহটা একটু বাড়ল। একদৃষ্টে তাকাতেই চেনা যায় তিনি সানজিদা আক্তার ছাড়া আর কেউ নন।
এর ঠিক ৩০-৪০ মিনিট পর বোঝা গেল এক ঢিলে দুই পাখি শিকারের জন্যই জিমে এসেছিলেন এই বিদ্রোহী ফুটবলার! ততক্ষণে তাঁর ফেসবুক পেজে নতুন রিলস চলে এসেছে। এই যেমন জিমও করা হলো, আবার জিম করার ভিডিও ছোট ক্লিপ আকারে রিলস বানিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ারও দেওয়া গেল।
সানজিদা একা নন, কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করা বাকি ১৭ জনের অনেককেই গত কদিন এভাবে জিমে এসে ভিডিও ধারণ করে কয়েক মিনিট কাটিয়ে সোজা ক্যাম্পে ফিরতে দেখা যায়। তাঁদের মধ্যে মনিকা চাকমা, কৃষ্ণা রানী সরকার, ঋতুপর্ণা চাকমার কথা তো বলতেই হয়। তাঁদের ফেসবুক পেজে চোখ বোলালেও তেমন প্রমাণ মিলবে।
‘আমরা ব্যাগ গুছিয়ে রেখেছি। তারা (বাফুফে) চলে যেতে বললেই চলে যাব।’নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিদ্রোহী ফুটবলারএদিক থেকে শামসুন্নাহার জুনিয়র একটু ব্যতিক্রম। কোনো দিকে না তাকিয়ে হনহন করে বাফুফের গেট দিয়ে একাই বেরিয়ে যেতে দেখা যায় তাঁকে। বেশ কিছুক্ষণ পর দুহাত ভরে বাজার নিয়ে ফেরেন। দূর থেকে জানতে চাওয়া হলো, আজ তাহলে মজার কিছু রান্না হচ্ছে? কোনো উত্তর না দিয়ে মাথাটা নিচু করেই চলে গেলেন সাফজয়ী এই নারী ফুটবলার। কে জানে, প্রশ্নটা তাঁর কান পর্যন্ত পৌঁছেছিল কি না? নাকি শুনেও এড়িয়ে গেলেন।
আরও পড়ুনমেয়েদের অনুশীলনে এমন পরিবেশই চেয়েছিলেন বাটলার১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫বুধবার দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই বাফুফে ভবনের পেছনের ফটক দিয়ে আসতে দেখা যায় নারী ফুটবল দলের ফরোয়ার্ড মাতসুশিমা সুমাইয়াকে। ভবনে ঢোকার পথেই বাফুফের মিডিয়া ম্যানেজার সাদমান সাকিবের সঙ্গে কিছু আলাপ সেরে নেন।
সপ্তাহখানেক আগে ধর্ষণ এবং হত্যার হুমকি পাওয়া সুমাইয়ার চোখেমুখে দুশ্চিন্তার ছাপ স্পষ্ট। কিছু হতাশা চেপেই বোধ হয় ফেডারেশনের ভেতরে প্রবেশ করেন সুমাইয়া।
মনিকা গত চার দিনে তাঁর ফেসবুক পেজে জিমের তিনটি রিল ভিডিও ছেড়েছেন। কৃষ্ণা একা জিম করার দৃশ্য ফেসবুকে পোস্ট করেন। মাসুরা গতকাল জিমে কিছু সময় কাটিয়ে সেই ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। পাশাপাশি আগের মঙ্গল ও বুধবার দুটি টিকটকও প্রকাশ করেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ফ সব ক প জ ফ টবল র
এছাড়াও পড়ুন:
স্বাধীনতা দিবসে পিওজে মিউজিক ক্লাবের থিম সং ‘সবুজের আহ্বান’
মহান স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি পাচ্ছে প্রকৃতি ও জীবন (পিওজে) মিউজিক ক্লাবের থিম সং ‘সবুজের আহ্বান’। আজ চ্যানেল আইয়ের পর্দায় গানটির ভিডিওচিত্র প্রচারের পাশাপাশি গানটি পাওয়া যাবে পিওজে মিউজিক ক্লাব এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে।
‘সবুজের আহ্বান’ গানটির কথা লিখেছেন খন্দকার হাসনাত করিম পিন্টু। সুর ও সংগীত তানভীর তরী। সহকারী সুর ও সংগীত শাফরিনা। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন তানভীর তরী, মইন খান, নউশিন শারমিলি, কেয়া সুহি, জিয়াউল হক ভূঁইয়া ও শাফরিনা। গানটি পরিকল্পনা ও পরিচালনা করেছেন প্রকৃতিবন্ধু মুকিত মজুমদার বাবু।
পিওজে মিউজিক ক্লাবের থিম সং-এ ফুটে উঠেছে— ফুলের সুবাস, পাখির কাকলি, নদীর কলতান আর বাংলার লোকসংগীতের হারানো ঐতিহ্যের কথা। গানটি মনে করিয়ে দেয়, প্রকৃতি কেবল দেখার জিনিস নয়, জীবন ও ভালোবাসার অনন্য উৎস।
‘সবুজের আহ্বান’ থিম সং-এর পরিচালক মুকিত মজুমদার বাবু বলেন, ‘ধ্বংস আর দূষণের অন্ধকারে দাঁড়িয়ে, সবুজের আহ্বান এক সাহসী উচ্চারণ— দখল নয়, সংরক্ষণ; নীরবতা নয়, প্রতিবাদ; বিচ্ছিন্নতা নয়, সম্মিলিত কণ্ঠে গাওয়া সবুজ জীবনের গান। এটি এমন একটি সুর যা গানের মধ্য দিয়ে মানুষকে জাগিয়ে তোলে, পরিবেশের প্রতি ভালোবাসা ছড়িয়ে দেয়, আর বাংলা সংস্কৃতিকে গর্বের সঙ্গে ধারণ করে।’
তানভীর তরী বলেন, ‘যেখানে সুরে মিশে যায় প্রকৃতির স্পর্শ, যেখানে গানে উঠে আসে সবুজের কথা— সেখানেই জন্ম ‘সবুজের আহ্বান’-এর। এ গান শুধুই একটি থিম সং নয়, এ যেন এক প্রাণের অনুভূতি, একটি আলোড়ন, প্রকৃতির কাছে যাওয়ার আহ্বান। তাই গানের সুরে বলি, এসো গাই প্রকৃতির গান, এসো গাই জীবনের গান।’
শাফরিনা বলেন, ‘সবুজ সুরে রাঙাই জীবন স্লোগান ধারণ করে গানটি হয়ে উঠেছে পিওজে মিউজিক ক্লাবের প্রাণ। এই গান সকলকে আহ্বান জানায়, একসাথে গাইতে, একসাথে প্রকৃতিকে ভালোবাসতে।’
‘সুন্দর প্রকৃতিতে গড়ি সুস্থ জীবন’ স্লোগানকে বুকে ধারণ করে প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণের বহুমুখী উদ্যোগ নিয়ে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইমপ্রেস গ্রুপের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন। ২০১০ সালের ১ আগস্ট থেকে চ্যানেল আইতে শুরু হয় ফাউন্ডেশনের গবেষণাভিত্তিক টিভি অনুষ্ঠান ‘প্রকৃতি ও জীবন’, যা বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করে। এর ধারাবাহিকতায় সংগীতের মাধ্যমে পরিবেশ ও সংস্কৃতি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ‘সবুজ সুরে রাঙাই জীবন’ স্লোগানে ২০২৪ সালের ১ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয় ‘পিওজে মিউজিক ক্লাব’।