কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি, প্রয়োজন আইইএলটিএস বা টোয়েফল, আবেদন করুন দ্রুত
Published: 14th, February 2025 GMT
কানাডায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিবছর অসংখ্য শিক্ষার্থী পড়তে যাচ্ছেন। ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশটিতে ৬ লাখ ৪০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেছেন। অভিবাসনের নীতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে অনেকেই এখন পড়াশোনার জন্য কানাডাকে বেছে নিচ্ছেন। দেশটির ইউনিভার্সিটি অব সাসকাচুয়ান স্কলারশিপের আওতায় স্নাতক প্রোগ্রামে পড়াশোনার সুযোগ করে দিচ্ছে।
কানাডার অন্যতম শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় হলো ইউনিভার্সিটি অব সাসকাচুয়ান। এটি দেশটির সরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠানও। বিশ্ববিদ্যালয়টি চিকিৎসা ক্ষেত্রে গবেষণায় অবদানের জন্যও পরিচিত। ১৯০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টির একটি বৃত্তি ‘ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস’। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঅক্সফোর্ডের উইডেনফেল্ড হফম্যান স্কলারশিপ, সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ, আইইএলটিএসে ৭–এ আবেদন১৪ ডিসেম্বর ২০২৪সুযোগ–সুবিধাকানাডিয়ান সংস্কৃতি অন্বেষণ ও কানাডায় উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য সুযোগ।
নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের এককালীন ১০ হাজার কানাডিয়ান ডলার দেওয়া হবে।
আবেদনের যোগ্যতাআন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হতে হবে।
স্নাতক ডিগ্রিতে আবেদনের জন্য উচ্চমাধ্যমিক পাস হতে হবে।
ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। ইংরেজিতে দক্ষতা পরীক্ষার স্কোর (আইইএলটিএস ও টোয়েফল) জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুনআইইএলটিএস ছাড়া সুইডেনের যে ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া যাবে০১ ডিসেম্বর ২০২৪আবেদনের শেষ তারিখ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
আরও পড়ুনকানাডায় বিনা মূল্যে লেখাপড়ার সুযোগ যে ৯ বৃত্তিতে১৭ মার্চ ২০২৪আবেদন যেভাবেআগ্রহী প্রার্থীদের এখানে ক্লিক করে আবেদন করতে হবে। আবেদনকারীকে তাঁর ভর্তি–ইচ্ছুক একটি প্রোগ্রাম খুঁজে নিতে হবে। তারপরে ভর্তির প্রয়োজনীয় সব বিষয় জেনে আবেদন করতে হবে।
আবেদনের পদ্ধতিসহ অন্য বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
আরও পড়ুনযে ১০ বিদেশি ভাষা শিক্ষা উন্নত ক্যারিয়ার গঠনে এগিয়ে রাখবে আপনাকে১৬ এপ্রিল ২০২৪.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তানিদের বাংলাদেশ ভ্রমণে ‘ভিসা ক্লিয়ারেন্স’ লাগবে না
পাকিস্তানের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে এখন আর ভিসার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্লিয়ারেন্স প্রয়োজন হবে না। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আগে বাংলাদেশের ভিসার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্লিয়ারেন্স নিতে হতো পাকিস্তানিদের। এই ক্লিয়ারেন্স ছাড়া তাদের ভিসা দেওয়া সম্ভব ছিল না।
সম্প্রতি এই নিয়ম প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং এখন পাকিস্তানিরা ক্লিয়ারেন্স ছাড়াই ভিসা পাচ্ছেন।
২০২৪ সালে পাকিস্তানিদের জন্য ২ হাজার ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়েছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পরই ভিসা ইস্যু করা হতো। এখন এই নিয়ম বাতিল হয়েছে।
এদিকে, পাকিস্তানও বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করেছে। সম্প্রতি পাকিস্তান ১২৬টি দেশের জন্য ভিসা ফি মওকুফ করেছে, তার মধ্যে বাংলাদেশও আছে।
পাকিস্তানি অথবা পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত অন্য যেকোনো দেশের নাগরিকরা যাতে সহজেই বাংলাদেশে আসতে পারেন, সে উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
সম্প্রতি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ।
সুরক্ষা সেবা বিভাগের বহিরাগমন শাখার ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগে একজন পাকিস্তানি অথবা পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত নাগরিককে বাংলাদেশি ভিসা পেতে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হতো। এমনও হয়েছে ভিসাপ্রার্থীর আবেদন অনুমোদন পেতে বছরও পার হয়েছে। এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
তিনি বলেন, “আগে এক জন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত নাগরিক সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে ভিসার আবেদন করার পর তা ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হতো। সেখান থেকে সেটা আসত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এই মন্ত্রণালয় সেটা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পাঠাত একটি গোয়েন্দা সংস্থায়। সেই গোয়েন্দা সংস্থা ক্লিয়ারেন্স দেওয়ার পর ওই ব্যক্তি বাংলাদেশে প্রবেশ করার ভিসা বা অনুমতি পেতেন।”
বর্তমান সরকারের এ উদ্যোগের ফলে এখন আর সময়ক্ষেপণ হবে না। পাকিস্তানি বা পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত অন্য কোনো দেশের নাগরিক বাংলাদেশে আসার ভিসা পাবেন কি না, সেটা শুধু সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের বিবেচনার বিষয় হিসেবে থাকবে। ভিসা দেওয়া এবং প্রত্যাখ্যান করার এখতিয়ার এখন থেকে তাদের হাতেই থাকবে।
পাকিস্তানের নাগরিকদের ভিসা ইস্যু সহজ করা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, তাদের ভিসাপ্রাপ্তি সহজ করতে এর আগে সুরক্ষা সেবা বিভাগের জারি করা (১১/০২/২০১৯ তারিখ) আদেশটি বাতিল করা হয়েছে। এখন থেকে পাকিস্তানি অথবা পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত অন্য দেশের নাগরিকদের ভিসার আবেদন বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস বা মিশন সরাসরি নিষ্পত্তি করতে পারবে।
এর আগে ২০১৯ সালে পাকিস্তানি পাসপোর্টধারী অথবা পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত যেকোনো দেশের নাগরিককে ভিসা দেওয়া প্রসঙ্গে জারি করা আদেশে বলা হয়েছিল, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় পাকিস্তানি পাসপোর্টধারী অথবা পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত পৃথিবীর যেকোনো দেশের নাগরিককে সুরক্ষা সেবা বিভাগের ‘অনাপত্তি’ নিয়ে ভিসা দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হলো।
ঢাকা/হাসান/রফিক