আগামী ২০ মে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্ট ভিউয়ের শোরলাইন অ্যাম্ফিথিয়েটারে হবে গুগলের বার্ষিক সম্মেলন ‘গুগল আই/ও ২০২৪’। ডেভেলপার বা প্রোগ্রামারদের নিয়ে আয়োজিত দুই দিনের এ সম্মেলন বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১২টায় শুরু হবে। সম্মেলনের শুরুতে বক্তব্য দেবেন গুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুন্দর পিচাই। এরপর পর্যায়ক্রমে গুগলের বিভিন্ন বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা নতুন প্রযুক্তি প্রদর্শন করবেন।

গুগলের তথ্যমতে, এ বছরের সম্মেলনে গুগলের বিভিন্ন সেবা ও প্রযুক্তির ওপর শতাধিক সেশন অনুষ্ঠিত হবে। দুই দিনের এ সম্মেলনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি হালনাগাদের পাশাপাশি জেমিনি চ্যাটবটের নতুন সংস্করণ প্রদর্শন করা হবে। এ ছাড়া অ্যান্ড্রয়েড ১৬ অপারেটিং সিস্টেমে নতুন সুবিধা যুক্ত করাসহ ক্লাউড, ওয়েব ও ডেভেলপার টুল হালনাগাদের ঘোষণাও দেওয়া হতে পারে।

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপার ও ব্যবহারকারীদের জন্য এবারও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন সেশন অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচার করবে গুগল। এর ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ভার্চ্যুয়ালি গুগল আই/ও সম্মেলনের খুঁটিনাটি তথ্য জানা যাবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই আন্দোলন চলাকালে ধর্ষণের অভিযোগ

জুলাই আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগের কর্মীদের কাছে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী। আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম, উমামা ফাতেমা, নুসরাত তাবাসসুমসহ অন্যদের বিষয়টি জানালেও কাউকে পাশে না পাওয়ার অভিযোগও করেছেন তিনি। 

শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমীতে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নারীদের সম্মুখ ভূমিকা’ নিয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ দাবি করেন তিনি। প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (পুনাব) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।

অনুষ্ঠানে ওই শিক্ষার্থী বলেন, ৪ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া গোল চত্বর থেকে ছাত্রলীগের ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল আমাকে তুলে নিয়ে যায়। তারা আমাকে কলেজ রোডের পেছনে আজমেরি ওসমানের বাসার নিচের একটি অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে তারা আমাকে অনেক গালিগালাজ করে। গালিগালাজের এক পর্যায়ের অফিস থেকে সবাই বেরিয়ে যায়। তবে দুইজন অফিসে ছিলেন। তারা সেখানে আমাকে ধর্ষণ করে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা এখনও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

সমন্বয়কদের ধর্ষণের বিষয়টি জানিয়েও কোনো সাহায্য পাননি বলে অভিযোগ করেন ওই শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, উমামা ফাতেমাকে যখন জানাই, তখন তিনি বলেন- ‘ও তোমার সঙ্গে অনেক খারাপ হইছে, দেখব বিষয়টা।’ নুসরাত তাবাসসুমকে যখন বলি, তখন তিনি বলেন- ‘আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে নক দিস।’ এরপর তাকে একাধিকবার মেসেজ করেছি। তিনি মেসেজ সিন করে রেখে দিয়েছেন। সারজিসও হোয়াটসঅ্যাপে নক দিতে বলেছিল। তিনি দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তবে সারজিস ভাইও কোনো কিছু করেননি।

ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগ, আমার এই ঘটনা এমন কেউ নেই যে জানে না। যাদের কারণে আমার জীবন শেষ হয়ে গেছে তারা এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই আন্দোলনের পরও আমাদের বৈষম্যের শিকার হতে হয়। সন্তানের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য আমি একজন বয়স্ক ব্যক্তিকে বিয়ে করেছি। গত ডিসেম্বরে আমার বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেছে। জুলাই আন্দোলনের ছয় মাস পার হলেও আমি ন্যায্য বিচার পাইনি।

ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। আহনাফ নামে একজন বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করে একটি পোস্ট দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম আহনাফের পোস্টটি শেয়ার করে লেখেন, আদৃতাকে একবার আমার সামনে এনে অভিযোগ করতে বলেন যে- তাকে সাহায্য করতে চাওয়া হয়নি। আদৃতাকে সব রকম সাহায্য দিতে চাওয়া হয়েছিল, তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তার সুচিকিৎসা, নারায়ণগঞ্জের ঘটনাস্থলে তদন্ত, মামলা সবকিছুর কথা বলা হয়েছিল।

তিনি আরও লেখেন, কিন্তু সে চেয়েছিল অন্য কিছু, কিন্তু তার অনুমতি ব্যতিরেকে আমি সেটা প্রকাশ করতে পারছি না। আদৃতাকে বলুন নাম নিয়ে অভিযোগ করতে, অন্যথায় তার স্টেটমেন্ট এবং আপনার বিরুদ্ধে না জেনে অভিযোগ করার নিন্দা একসঙ্গে উপযুক্ত স্থানে পৌঁছে দেয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ