ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে নিখোঁজের তিন দিন পর ছাত্রদল নেতা মামুনকে (২১) হাত-পা বেঁধে হবিগঞ্জে সড়কের পাশে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ভালুকা থানা পুলিশ গিয়ে তাঁকে নিয়ে আসে।

মামুন নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। তিনি উপজেলার গাওকান্দিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর সংকরপুর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি। তিনি নিখোঁজ হওয়ার পর ১০ ফেব্রুয়ারি ভালুকা মডেল থানায় জিডি করেন বড় ভাই ইসলাম উদ্দিন। 

উদ্ধারের পর মামুন জানিয়েছেন, গত সোমবার রাত ১০টার দিকে ভালুকার কর্মস্থল থেকে উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের জামিরদিয়া গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। পথে লিচু বাগানের কাছে অজ্ঞাতপরিচয় তিনজন তাঁকে পেছন থেকে ডাক দেয়। তিনি কাছে যাওয়ার পর আরও দু’জন এসে তাঁর চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে। পরে তাঁকে ইনজেকশনের মাধ্যমে অচেতন করে অজানা স্থানে নিয়ে একটি ঘরে আবদ্ধ করে রাখা হয়। গতকাল একটি মাইক্রোবাসে তুলে হাত-পা বেঁধে সড়কের পাশে ফেলে দেয়। 

সেখান থেকে এক বাসচালক ও পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে বাহুবল হাসপাতালে নেয়। পরে বাহুবল থানা পুলিশ তাঁকে ভালুকা মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
মামুন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। গত ৪ আগস্ট ভালুকার জামিরদিয়া এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলায় তোফাজ্জল হোসেন নামে একজন গুরুতর আহত হন। পরে মামুন তাঁকে নিয়ে স্থানীয় একাধিক ক্লিনিকে যান। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসা না পেয়ে তোফাজ্জলের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী হওয়ায় মামুনকে অপহরণ করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির জানান, মামুনকে হবিগঞ্জ থেকে উদ্ধারের পর ভালুকায় নিয়ে আসা হচ্ছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ময়মনস হ ছ ত রদল ন ত উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

‘বৈশাখ ঘিরে আমার কোনো স্মৃতি নেই, উন্মাদনাও নেই’

পহেলা বৈশাখ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। এ দিন বাঙালি জাতিসত্তার মানুষ অতীত ভুলে নতুনের আবাহনে মেতে ওঠে। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পালনের মধ্য দিয়ে বরণ করে নেয় নতুন বছর। ফলে সৃষ্টি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ।

নববর্ষের উৎসবে একাত্ম হন রূপালি ভুবনের বাঙালি তারকারাও। তবে ব্যতিক্রম কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। কারণ বাঙালি হলেও পহেলা বৈশাখ নিয়ে কোনো স্মৃতিই নেই তার।

পহেলা বৈশাখ নিয়ে স্মৃতিচারণের প্রসঙ্গ উঠতেই ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত বলেন, “আমি কী বলব? এই দিন ঘিরে আমার কোনো স্মৃতি নেই, উন্মাদনাও নেই! বাংলার বাইরে বেড়ে উঠলে যা হয়। তাই পহেলা বৈশাখ আর বছরের অন্য দিনের মাঝে কোনো তফাত নেই।”

আরো পড়ুন:

অবশেষে শ্রাবন্তীর বিবাহবিচ্ছেদ

ছোট পোশাক পরলেই মা খারাপ না, এটা আমার ছেলে জানুক: প্রিয়াঙ্কা

কয়েক দিন আগে মুক্তি পেয়েছে ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত অভিনীত ‘পুরাতন’ সিনেমা। এ উপলক্ষে নতুন পোশাক উপহার পেয়েছেন তিনি। তা স্মরণ করে এই অভিনেতা বলেন, “এ বছর নতুন সিনেমা উপলক্ষে নতুন জামা পেয়েছি। সিনেমাটির প্রযোজক-নায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত দিয়েছেন। উনার বাড়িতে পেট ভরে বাঙালি খাবার খেয়েছি। কলকাতাতেও থাকলাম বেশ কিছু দিন।”

১৯৭৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ভারতের আসামের একটি বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ইন্দ্রনীল। কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করে পাড়ি জমান ব্রিটেনে। ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে ভারতে ফিরেন ইন্দ্রনীল।

মডেলিংয়ের মাধ‌্যমে শোবিজ অঙ্গনে পা রাখেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। পরবর্তীতে টিভি সিরিয়ালে অভিনয় শুরু করেন। ২০০৪ সালে হিন্দি ভাষার ‘শুকরিয়া: টিল ডেথ ডু আস অ্যাপার্ট’ সিনেমার মাধ‌্যমে বড় পর্দায় পা রাখেন। ২০০৯ সালে ‘অংশুমানের ছবি’ সিনেমার মাধ‌্যমে টলিউড চলচ্চিত্রে পা রাখেন। পরবর্তীতে খল চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ খ‌্যাতি কুড়ান এই অভিনেতা। ২০১২ সালে বাংলাদেশের ‘চোরাবালি’ সিনেমায়ও দেখা যায় তাকে।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ