আবাসন প্রতিষ্ঠানের নজর নতুন শহরে
Published: 13th, February 2025 GMT
আব্দুল হাকিম ও রুজিনা বেগম। স্বামী ব্যাংকার। স্ত্রী গৃহিণী। দীর্ঘদিনের স্বপ্ন নগরে একটি মাথা গোঁজার ঠাঁই করবেন। পাঁচবছর চেষ্টা করেছেন তারা। ঘুরেছেন আবাসন নির্মাতা ও ব্যাংকের ধারে ধারে। কিন্তু কোন সুরাহা মিলেনি। ফ্ল্যাট পছন্দ হলেও দাম সাধ্যের বাইরে। দাম সাধ্যের মধ্যে হলেও ফ্ল্যাট আবার বসবাসের উপযোগী নয়। এখন শহরতলীতে একটি প্লট খুঁজছেন তারা। তবে বিত্তবানদের নজর শহরের কেন্দ্রে। এ কারণে শহরের অভিজাত এলাকাগুলোতে এখন খালি জমি নেই বললেই চলে। আবার অভিজাতদের বড় অংশের পছন্দ স্বাস্থ্যবান্ধব আবাসন।
নগরে এক টুকরো মাথা গোঁজার ঠাঁই এখন মধ্যবিত্তের জন্য সোনার হরিণ। আবাসন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফ্ল্যাটের দাম কমাতে তৎপর তারাও। এ জন্য নগরের কেন্দ্রের বাইরে শহরতলীতে প্রকল্প নিচ্ছেন তারা। নগরের হালিশহর, বন্দর, পতেঙ্গা, আকবরশাহ, কাট্টলী, পাঁচলাইশ, বায়েজিদ বোস্তামী, চান্দগাঁও, হাটহাজারী, পটিয়া ও কর্ণফুলী এলাকায় মনযোগ তাদের। যেখান থেকে নগরের কেন্দ্রে সহজে যাতায়াত করতে পারবেন বাসিন্দারা। এ জন্য নিবন্ধন খরচ কমানো, সরকারি খাস জমি বরাদ্দ ও সহজ শর্তে গৃহ ঋণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন আবাসন ব্যবসায়ীরা।
এ প্রসঙ্গে রিহ্যাব চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘একদিকে ভূমির দাম বাড়ছে অন্যদিকে নগরে ভূমির সংকটও তৈরি হচ্ছে। নিবন্ধন খরচও বেশি। নির্মাণ সামগ্রীর দামও অনিয়ন্ত্রিত। যার কারণে কম দামে ফ্ল্যাট নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবুও স্বল্প ও মধ্য আয়ের মানুষের বাসস্থান নিশ্চিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রিহ্যাব। রিহ্যাবের অনেক সদস্য শহরতলীর এলাকাগুলোতে আবাসন প্রকল্প নিচ্ছে। তবে এটি সরকারের সাহায্য ছাড়া কোনভাবেই সম্ভব হবে না। দিন দিন জনসংখ্যা বাড়ছে। ভূমির পরিমাণ কমছে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে যদি ভূমি দেওয়া হয় তাহলে খুব কম টাকায় গ্রাহকদের ফ্ল্যাট দেওয়া সম্ভব হবে।’
মধ্যবিত্ত ছুটছে শহরতলীতে : গতকাল বৃহস্পতিবার রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউতে শুরু হয়েছে আবাসন নির্মাতাদের প্রতিষ্ঠান রিহ্যাবের উদ্যোগে আবাসন মেলা। এখানে বিভিন্ন আবাসন নির্মাতা, নির্মাণ সামগ্রী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৪২টি স্টল রয়েছে। স্টলের বিক্রয়কর্মীরা জানান, চট্টগ্রাম নগরে এক হাজার ৩০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট বিক্রি হচ্ছে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। প্রতি বর্গফুটের দাম পড়ে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার টাকা। এলাকাভেদে এই দাম বাড়ে, কমে। নগরের বাকলিয়া কল্পলোক আবাসিক এলাকায় ২০০৫ সালে প্রতি কাটা প্লট ছয় লাখ টাকা করে বিক্রি করে সিডিএ। এখানে এখন প্রতি কাটা প্লট বিক্রি হচ্ছে ৮০ লাখ থেকে দেড় কোটি টাকা। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ফ্ল্যাটের দামও। এখানে এক হাজার ২০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাটের দাম অবস্থান ভেদে ৬০ লাখ থেকে ৮০ লাখ টাকা।
ব্যাংকার আব্দুল হাকিম বলেন, ‘প্রায় পাঁচ বছর ধরে একটি ফ্ল্যাট নেওয়ার চেষ্টা করেছি। কোটি টাকার নিচে কোন ফ্ল্যাট না থাকায় কেনা সম্ভব হয়নি। এখন নগরের বাকলিয়া কিংবা মূল শহর থেকে একটু দূরে একটি জমি খুঁজছি। যেখানে কয়েকজন মিলে একটি ভবন নির্মাণ করতে পারব।’
জুমাইরাহ হোল্ডিংস লিমিটেডের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ তৌহিদুল আলম বলেন,‘আমাদের ৭টি প্রকল্পের ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি হচ্ছে। এগুলোর আয়তন এক হাজার ৩০০ বর্গফুট থেকে ৩ হাজার ৩৫০ বর্গফুট পর্যন্ত। প্রতি বর্গফুটের দাম ১০ হাজার থেকে ১৬ হাজার টাকা পর্যন্ত। ফ্ল্যাটগুলোর মূল্য সর্বনিম্ন এক কোটি ৬০ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ সাড়ে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত।’ মেলায় ফ্ল্যাটের খোঁজে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি কলেজের এক শিক্ষক সমকালকে বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ গৃহঋণ দিচ্ছে ৭৫ লাখ টাকা। অথচ একেকটি ফ্ল্যাটের দাম কোটি টাকার উপরে। দাম শুনে মনে হচ্ছে, নগরে একটি ফ্ল্যাটের মালিক হওয়ার স্বপ্ন মধ্যবিত্তদের অধরায় থেকে যাবে।’
উচ্চবিত্তের নজর শহরের কেন্দ্রে : নাগালের মধ্যে খোলা জায়গা, শিশুদের খেলাধুলার স্থান, হাঁটার জায়গা, সুপারশপ, কমিউনিটি স্পেস, সুইমিংপুল ও ব্যায়ামাগারসহ জীবনযাপনের সব প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা আছে এমন অ্যাপার্টমেন্টের দিকে আগ্রহ বাড়ছে উচ্চবিত্তদের। চাহিদার কথা বিবেচনায় নিয়ে সম্প্রতি এমন স্বাস্থ্যবান্ধব অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ করছে আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। ইতিমধ্যে নগরের দেবপাহাড়, জামালখান, পাথরঘাটা, মেহেদীবাগ, ওআর নিজাম রোডে বেশকটি স্বাস্থ্যবান্ধব অ্যাপার্টমেন্ট ভবন গড়ে উঠেছে।
স্বাস্থ্যবান্ধব আবাসনের বৈশিষ্ট্য : স্বাস্থ্যবান্ধব আবাসন প্রকল্পে থাকবে পর্যাপ্ত খোলা জায়গা, খেলাধুলার মাঠ, সুইমিংপুল, ব্যায়ামাগার, হাঁটার জায়গা, স্কুল, সবুজায়ন, পারিবারিক ও সামাজিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জায়গা, ক্লাব হাউজ, বাণিজ্যিক কার্যালয়, নিত্যপণ্যের দোকান, লন্ড্রি, মেডিটেশন কক্ষ ও গাড়ি রাখার জায়গাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা। এছাড়া উন্নত বিশ্বের কনডোমিনিয়ামগুলোতে প্রতিনিয়ত জীবন যাপনের নিত্য নতুন সুযোগ সুবিধা যুক্ত হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের সাধারণ সম্পাদক স্থপতি জেরিনা হোসেন সমকালকে বলেন, ‘স্বাস্থ্যবান্ধব আবাসনে প্রয়োজনীয় খোলা জায়গা, সবুজায়ন, ছোটদের স্কুল, ভবনগুলোতে উৎপন্ন হওয়া বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা, বাসিন্দাদের নিজস্ব অফিসসহ ভবনের বসবাসকারীদের নিত্য চাহিদা মেটানোর যেসব প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন সব থাকবে এক জায়গায়। অর্থাৎ প্রকল্পগুলো হবে আত্মনির্ভরশীল। এখানকার বাসিন্দাদের চাহিদার চাপ আশপাশ এলাকায় পড়বে না। এছাড়া যাতায়াত সুবিধাসহ নাগরিক বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা আছে এমন জায়গায় এই স্বাস্থ্যবান্ধব অ্যাপার্টমেন্ট গড়ে তুলতে হবে। দেশে জনসংখ্যা যেভাবে বাড়ছে সে অনুযায়ীতো ভূমি নেই। তাই এ ধরণের ভবনের ধারণা খুবই ইতিবাচক। কিন্তু তা অবশ্যই পরিকল্পিত হতে হবে। যেনতেনভাবে এক টুকরো জায়গায় বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কয়েকটা ভবন গড়ে তুলে খুপড়ি আকারে কিছু সুযোগ সুবিধা রাখার নাম কনডোমিনিয়াম না। এভাবে ভবন গড়ে তোলা হলে একটা এলাকায় জনঘনত্ব বাড়াবে। এই জনঘনত্বের চাহিদার প্রভাব আশপাশ এলাকায় জনদুর্ভোগ তৈরি করবে।’
প্রকল্প পরিচালক সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী কাদের নেওয়াজ সমকালকে বলেন, ‘প্রকল্পটির ৫৭ শতাংশ জায়গা খোলা রাখা হয়েছে। এখানে প্রার্থনা কক্ষ, ফিটনেস রুম, শিশুদের খেলার মাঠ, কমিউনিটি সুপারশপ, কমিউনিটি স্পেস, মুভি থিয়েটার, হেলিপ্যাড, জগিং ট্র্যাক, এলপিজি গ্যাস স্টেশন ও আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ নানা সুযোগ সুবিধা গড়ে তোলা হচ্ছে। এটি সিডিএর স্বাস্থ্যকর ও পরিবেশ বান্ধব আবাসন প্রকল্প। নগরে আবাসনের আদর্শ প্রকল্প হিসেবে এটি গড়ে তোলা হচ্ছে।’
নগরের চকবাজার দেবপাহাড়ে ‘সুলতানা গার্ডেনিয়া’ নামে একটি কনডোমিনিয়াম প্রকল্প গড়ে তুলেছে আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিপিডিএল। ৭১ কাঠা জায়গার উপর নির্মাণ করা হয়েছে চারটি টাওয়ার। প্রতিটি টাওয়ার ১০ তলা। এখানে ১৫৫টি ফ্ল্যাট আছে। নানা সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি ভবনগুলোর ছাদকে পার্ক হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়া ইকুইটি প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড ও ফিনলে প্রপার্টিজসহ বেশকটি আবাসন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নগরে এমন কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।’
কোটি টাকার অ্যাপার্টমেন্ট : সিডিএ’র বাস্তবায়নাধীন সিডিএ স্কয়ারে তিন সাইজের অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। ১৫০০, ১৮০০ ও ২০০০ বর্গফুট। প্রতি বর্গফুটের বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার টাকা। স্যানমার গ্রিন পার্কে ১১৪০ বর্গফুট থেকে ৩ হাজার বর্গফুটের অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। এখানে প্রতি বর্গফুটের দাম পড়বে ৬ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। সিপিডিএল সুলতানা গার্ডেনিয়ায় ১ হাজার ৩৬০ বর্গফুট থেকে ২ হাজার ৪৩৫ বর্গফুট আয়তনের অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। সিপিডিএল প্রতি বর্গফুটের দাম রেখেছে ৭ হাজার ৮০০টাকা।চট্টগ্রাম রেডিসন ব্লুতে রিহ্যাব চট্টগ্রাম অঞ্চল আয়োজিত চারদিনব্যাপী আবাসন মেলায়ও এসব প্রকল্পের অ্যাপার্টমেন্ট উপস্থাপন করা হবে। গ্রাহকরা তাদের পছন্দের অ্যাপার্টমেন্টটি এখানে এসে বুকিং দিতে পারবেন।
ড.
ডিন, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদ, চুয়েট
নগরের ৮০ ভাগ দখল
করে রেখেছে উচ্চবিত্ত
ঢাকা, চট্টগ্রাম এর মত বড় শহর সমূহে ৮০ ভাগ স্থান দখল করে আছে ২০ ভাগ উচ্চবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণী। অবশিষ্ট ৮০ ভাগ মানুষ বাস করে ২০ ভাগ জায়গায়। এই ৮০ ভাগের মধ্যে অধিকাংশ হল ভূমিহীন, যারা জীবন ও জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে এ নগরের বস্তির ঘিঞ্জি পরিবেশ অবস্থান করছে।
বস্তি কি সৃষ্টি হয় নাকি আমরা সৃষ্টি করি? আমরা কি আমাদের বাড়ির ড্রাইভার, গৃহস্থালী কাজের সহায়তাকারী, মালি, দারোয়ান এর জন্য থাকার জায়গা ব্যবস্থা করেছি? তা হলে ওরা থাকবে কোথায়? ফলে স্বাভাবিকভাবে বস্তির মত অপরিকল্পিত আবাসন গড়ে উঠবে। খুলশী, আগ্রাবাদ, অনন্যার মত আবাসিক এলাকা সৃষ্টি করলেন চট্টগ্রামে, সে সব স্থানে দুই, পাচঁ বা দশ লাখ মানুষ বাস করছে বা করবে। তাদের যারা উল্লেখিত সেবা প্রদান করবে, সে সব মানুষ কোথায় থাকবে?
এই শহরে সুষ্ঠ পরিকল্পনা প্রণয়ন, আবাসিক এলাকা তৈরি, ভবন নির্মাণ ও অনুমোদন করছে সিডিএ। উচ্চবিত্ত, উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণীর জন্য আবাসনের দিকে দৃষ্টি তাদের। কিন্তু নগরের দরিদ্র মানুষের আবাসনে নজর দেবার সময় কি আছে কারও? সিডিএ, সিটি করপোরেশন অথবা অন্য কোন মন্ত্রণালয়ের?
দেলোয়ার হোসেন
চেয়ারম্যান, রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটি
ফ্ল্যাট বাছাইয়ের উপযুক্ত
জায়গা আবাসন মেলা
মেলায় অংশ নেওয়া আবাসন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে গ্রাহকদের জন্য ছাড় ও উপহার সামগ্রীও আছে। মেলায় রিহ্যাব সদস্যরা ভালো ভালো প্রকল্প উপস্থাপন করেছেন। মেলায় রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলো এক ছাদের নিচে বসে ব্র্যান্ডিং করে। গ্রাহকরাও একই ছাদের নিচে সবগুলো কোম্পানির প্রোডাক্টগুলো সম্পর্কে জানতে পারবে। গ্রাহকরা যে ধরণের ফ্ল্যাট ও প্লট খুঁজবেন শতাধিক প্রকল্প থেকে বাছাই করে পছন্দমতো কিনতে পারবেন। শুধু ফ্ল্যাট ও প্লট কেনা নয়, এখানে নির্মাণসামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ও অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানও আছে। রিহ্যাব সদস্যদের কাছ থেকে ফ্ল্যাট কিনলে গ্রাহকরা ঠকবেন না। প্রতারিতও হবেন না। কারণ নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী উন্মুক্ত জায়গা রেখে পরিবেশ বান্ধব ভবন নির্মাণ করে থাকে। এখানে কোন ঝুঁকি থাকে না। সরকারি সার্কুলার আছে, রিহ্যাবের সদস্য হওয়া ছাড়া কেউ আবাসন ব্যবসা করতে পারবে না। প্লট ও ফ্ল্যাট কেনার আগে গ্রাহকরা যেন দেখেন প্রতিষ্ঠানটি রিহ্যাবের সদস্য কিনা, তাহলে প্রতারিত হবেন না। রিহ্যাবের সদস্য হলে একটা আইনী বাধ্যবাধকতার মধ্যে থাকতে হয়। সদস্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রিহ্যাবে অভিযোগ করার সুযোগ থাকে। রিহ্যাবও অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিতে পারে। এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান রিহ্যাবের সদস্য না তাদেরকে যেন ট্রেড লাইসেন্স না দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। তাদের নকশাও যেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পাশ না করে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র হ য ব র সদস য ন র ম ণ কর ব যবস থ প রকল প গ র হকর ৮০ ভ গ র জন য এল ক য় নগর র পছন দ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সফটওয়্যার প্রকৌশলী এআই এজেন্ট আনতে যাচ্ছে ওপেনএআই
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত সফটওয়্যার প্রকৌশলী এজেন্ট আনতে যাচ্ছে চ্যাটজিপিটির নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ওপেনএআই। প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, এআই এজেন্টটি মানুষের সহায়তা ছাড়াই কোড লিখে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার তৈরি করতে পারবে। শুধু তাই নয়, নিজ থেকে সফটওয়্যারে থাকা ত্রুটি শনাক্ত করে সমাধানও করবে।
ওপেনএআইয়ের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) সারাহ ফ্রাইয়ার জানিয়েছেন, নতুন এআই এজেন্টের নাম ‘এ-এসডব্লিউই’ বা ‘এজেন্টিক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার’। এটি ওপেনএআইয়ের তৈরি তৃতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এজেন্ট। এর আগে ‘অপারেটর’ ও ‘ডিপ রিসার্চ’ নামে দুটি এআই এজেন্ট চালু করেছে ওপেনএআই। এগুলো এখন শুধু চ্যাটজিপিটির প্রিমিয়াম গ্রাহকেরা ব্যবহার করতে পারেন।
নিজেদের তৈরি সফটওয়্যার প্রকৌশলী এআই এজেন্টের বিষয়ে সারাহ ফ্রাইয়ার জানান, এ-এসডব্লিউই একজন সফটওয়্যার প্রকৌশলীর মতোই কাজ করবে। কাজ বুঝিয়ে দিলে নিজ থেকে কোড লেখার পাশাপাশি সফটওয়্যারের মাননিয়ন্ত্রণ, ত্রুটি শনাক্তসহ প্রকল্প-সম্পর্কিত নথিপত্র তৈরি করে দেবে এআই এজেন্টটি।
ওপেনএআইয়ের তৈরি এআই এজেন্ট প্রকৃতপক্ষে একটি ‘ফোর্স মাল্টিপ্লায়ার’ বা কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিকারী উপাদান হিসেবে কাজ করবে। এটি সফটওয়্যার প্রকৌশলীদের দলকে অনেক বেশি উৎপাদনশীল করে তুলতে পারে। তবে চলতি বছরের শুরুতে ওপেনএআইয়ের চালু করা ‘ডিপ রিসার্চ’ এজেন্টকে গবেষণা সহকারীর বিকল্প হিসেবে পরিচয় করানো হলেও এখনো তা পুরোপুরি সেই ভূমিকা পালন করতে পারছে না।
সূত্র: লাইভমিন্ট