বৈশ্বিক শান্তি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিয়ে ওয়েবিনার
Published: 13th, February 2025 GMT
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস স্টাডিজ (সিপিএস) বিশ্বশান্তি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরতে আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারের আয়োজন করে। গত মঙ্গলবার এই ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়।
ওয়েবিনারের শুরুতে সিপিএসের পরিচালক এম জসিম উদ্দিন রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সাহায্য কমে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, গণমাধ্যম বিশ্ব জনমত গঠন করে। ন্যায়বিচার এবং মানবিক সহায়তা অর্জনের জন্য গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং জাতির মধ্যে বোঝাপড়া ও সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য পিস স্টাডিজের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জাতিসংঘে জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত তোশিয়া হোশিনো। তিনি আন্তর্জাতিক কূটনীতি এবং সংঘাত সমাধানে সংলাপের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন।
ওয়েবিনারে মূল বক্তা ছিলেন ওসাকা স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল পাবলিক পলিসির অধ্যাপক ভার্জিল হকিন্স। তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠার চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ নিয়ে চিন্তাশীল আলোচনা করেন এবং অংশগ্রহণকারীদের সমাধান তৈরিতে সক্রিয়ভাবে জড়িত হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বিভিন্ন জাতির মধ্যে বোঝাপড়া ও সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন, বিশেষ করে রোহিঙ্গা সংকটের মতো জরুরি ইস্যুগুলোর ক্ষেত্রে। রোহিঙ্গা সংকটের প্রাথমিক পর্যায়ে বহির্বিশ্বের সংবাদমাধ্যমগুলো তুলনামূলকভাবে প্রচুর পরিমাণে কভারেজ পেয়েছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, সংঘাত অব্যাহত থাকায় এবং শরণার্থীরা কয়েক বছর ধরে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে না পারায় এই কভারেজ হ্রাস পেতে শুরু করে। ভার্জিল হকিন্স বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের কোনো ধরনের সমাধান না হওয়ায় বা পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন না হওয়ায় মিডিয়া তার আগ্রহ হারিয়েছে।
ওয়েবিনারে সমাপনী বক্তব্যে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য আবদুল হান্নান চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের উচিত রোহিঙ্গাদের মানবাধিকারের জন্য বিশ্বব্যাপী সচেতনতা তৈরি করতে রোহিঙ্গা সংকট সম্পর্কে প্রচারণা চালিয়ে যাওয়া।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পার্বত্য উপদেষ্টার সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি
পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রকৃতি ও সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ চার বিদেশি প্রতিনিধিদল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বান্দরবান জেলা পরিদর্শনে আসেন।
প্রতিনিধিদল বান্দরবানের নীলাচলে এসে পৌঁছালে সেখানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমার সঙ্গে তারা সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।
পার্বত্য চট্টগ্রামের অপার সৌন্দর্যের বিষয়ে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা প্রতিনিধিদলকে ধারণা দেন এবং বান্দরবান জেলার পর্যটন স্পট নীলাচল, মেঘলা ও পর্যটনের রূপবৈচিত্র্যময় অপার সৌন্দর্যের ভিউগুলো তাদের ঘুরিয়ে দেখান।
আরো পড়ুন:
‘নয় মাসে অর্জন করেছি এক চিমটি ঘৃণা, একমুঠো অবিশ্বাস ও এক আকাশ ভালোবাসা’
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিবের সাক্ষাৎ
আমাদের সম্পর্ক হিমায়িত ছিল, বাধা অতিক্রম করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ইতালিয়ান, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের প্রতিনিধিদের মধ্যে ইইউই অ্যাম্বাসেডর মাইকেল মিলার ও মিজ ক্যাটেরিনা মিলার, ইতালিয়ান নাগরিক আন্তেনিও আলেসান্দ্রো ও পাওলা বেনিফিওর এবং ডাচ আইনজীবী এন্ড্রে কার্স্টেন্স উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, উপদেষ্টা পার্বত্য চট্টগ্রামে পাঁচ দিনের সরকারি সফরে বৃহস্পতিবার বান্দরবান এসে পৌঁছান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য উপদেষ্টার সহধর্মিণী নন্দিতা চাকমা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানসামা লুসাই, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, যুগ্ম সচিব কঙ্কন চাকমা, বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাওছার, উপদেষ্টার একান্ত সচিব (উপসচিব) খন্দকার মুশফিকুর রহমান, সহকারী একান্ত সচিব (সিনিয়র সহকারী সচিব) শুভাশিস চাকমা, বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/হাসান/সাইফ