রমজানে ডিম ও মাংসের দাম সহনশীল থাকবে
Published: 13th, February 2025 GMT
আসন্ন রমজানে ডিম ও মুরগির মাংসের দাম সহনশীল থাকবে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে পুরো রমজান মাস সুলভ মূল্যে ডিম ও মুরগি বিক্রি করবেন ব্যবসায়ীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক সেমিনারে এ কথা বলেন পোলট্রি খাতের ব্যবসায়ীরা। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘বিল্ডিং এ রেজিলিয়েন্ট পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশ; ইভালুশন, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভস্টক জার্নালিস্ট ফোরাম (এফএলজেএফ)। আয়োজনে সহযোগী ছিল ওয়ার্ল্ডস পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা (ওয়াপসা-বিবি) এবং বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি)।
সেমিনারে জানানো হয়, আগামী ১৮ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক পোলট্রি সেমিনার। আর ২০ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে ১৩তম আন্তর্জাতিক পোলট্রি শো। পোলট্রি মেলা সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। কুড়িল বিশ্বরোডের ৩০০ ফিট থেকে সারাদিন ফ্রি শাটল বাসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ওয়াপসা-বাংলাদেশ শাখার সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, ‘আসন্ন রমজানে ডিম ও মুরগির মাংসের দাম সহনশীল থাকবে। আমরা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে পুরো রমজান মাস সুলভ মূল্যে ডিম ও মুরগি বিক্রি করব।’
তিনি বলেন, অতিবৃষ্টি, খরা, রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ এবং বাজারদরের অস্বাভাবিক উত্থান-পতনের কারণে ২০২৪ সাল ছিল পোলট্রি শিল্পের জন্য একটি দুর্যোগপূর্ণ বছর। অসংখ্য খামারি নিঃস্ব হয়েছেন। বেশ কয়েকটি বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানও তাদের ব্যবসা সংকুচিত করতে বাধ্য হয়েছেন। ২০৫০ সাল সামনে রেখে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে দেশীয় পোলট্রি শিল্প।
সেমিনারের মূল প্রবন্ধে ওয়াপসা-বাংলাদেশ শাখার সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব কুমার প্রামাণিক বলেন, ২০২০ সালের পর ফিডের উৎপাদন বেশ খানিকটা কমেছিল। গত বছর উৎপাদন কিছুটা বেড়েছে। আশা করা যায়, চলতি বছর ডিম-মুরগির উৎপাদন আরও বাড়বে।
ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বিএবি) সভাপতি মাহাবুবুর রহমান বলেন, সরকার ডিমের খুচরা মূল্য ১১.
ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, খামারি ও উদ্যোক্তাদের ঝরে পড়া ঠেকাতে হবে, পোলট্রি শিল্পকে টেকসই ও মজবুত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে হবে।
এফএলজেএফ সভাপতি মুন্না রায়হানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন ডিবিসি নিউজের সম্পাদক লোটন একরাম, আরটিভির হেড অব নিউজ ইলিয়াস হোসেন ও এফএলজেএফের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রমজান মাসজুড়ে ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম চালু থাকবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, দেশের বিভাগীয় সদরসহ ১৩টি স্থানে রমজান মাসজুড়ে টিসিবির ট্রাকে পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলবে। ফলে বাজারে পণ্যমূল্য আরও সহনশীল হবে।
আজ মঙ্গলবার খুলনা নগরের শিববাড়ী মোড়ে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাণিজ্য উপদেষ্টা এ কথা বলেন। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘রমজান মাসে অতিরিক্ত ৯ হাজার মেট্রিক টন পণ্য ট্রাকে বিক্রি করা হবে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে বাজার নিম্নগামী হবে, বাজার সহনশীল হবে। প্রান্তিক মানুষের জীবনে স্বস্তি আসবে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনায় এ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে ১২ লাখ পরিবারের মধ্যে ট্রাকসেলের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হবে।’
টিসিবির উপকারভোগী পরিবারগুলোর জন্য সব স্মার্ট কার্ড সক্রিয় করার উদ্যোগ নেওয়ার কথা উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘টিসিবি ৬৩ লাখ পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য সরবরাহ করছে। স্মার্ট কার্ড রূপান্তরের কাজে খুলনা অঞ্চলের সাফল্যের হার সবচেয়ে বেশি। এ মাসের ২৪ তারিখের মধ্যে বাকি কার্ডের অ্যকটিভেশন সম্পন্ন হবে, এর মাধ্যমে সুবিধাভোগীর সংখ্যা বাড়বে।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এমন দিনের স্বপ্ন দেখি, যেদিন টিসিবির কার্যক্রম আর চালাতে হবে না। সম্পদের সুষম বণ্টনের মাধ্যমে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাই। সেটা হয়তো একটু দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। তারপরও আমরা সেটা অর্জন করতে চাই।’
খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদ, খুলনার পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মানব সম্পদ) নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কার্ডধারী যেকোনো ভোক্তা লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে পারবেন। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি করে মসুর ডাল ও ছোলা, এক কেজি চিনি এবং ৫০০ গ্রাম খেজুর কিনতে পারবেন। এর মধ্যে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম রাখা হবে ১০০ টাকা। প্রতি কেজি চিনি ৭০ টাকা, মসুর ডাল ও ছোলা ৬০ টাকা এবং খেজুর ১৫৬ টাকা দামে বিক্রি করবে টিসিবি।