Samakal:
2025-03-16@20:52:46 GMT

টমেটো চাষির মাথায় লোকসানের বোঝা

Published: 13th, February 2025 GMT

টমেটো চাষির মাথায় লোকসানের বোঝা

গত মৌসুমে ১২ শতাংশ জমি থেকে ৬৬ মণ টমেটোর ফলন পেয়েছিলেন নবদ্বীপ মল্লিক। তাঁর উৎপাদন খরচ হয়েছিল ৭ হাজার টাকা। গড়ে ১৫ টাকা পর্যন্ত দর পেয়েছিলেন সেবার। পরিবহন ও শ্রমিক খরচ বাদ দিয়ে তাঁর মুনাফা হয়েছিল ৩৩ হাজার টাকা। একই পরিমাণ জমিতে চলতি মৌসুমে তাঁর খরচ হয়েছে সাড়ে ৭ হাজার টাকা। টমেটো উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৭০ মণ। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মাত্র ৭ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন নবদ্বীপ।
এই চাষির বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের বরাতিয়া গ্রামে। কৃষিতে অবদানের জন্য অতীতে জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন নবদ্বীপ। তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে খরচ ওঠানোই কঠিন হয়ে পড়েছে। একই অবস্থা উপজেলার প্রায় সব চাষির। 
ডুমুরিয়ায় এক কেজি টমেটো বিক্রি করে মাত্র তিন টাকা পাচ্ছেন চাষিরা। অথচ একজন শ্রমিকের মজুরি দিতে হয় দিনে ৮০০ টাকারও বেশি। ছয় মণ টমেটো বিক্রি করেও সেই মজুরি পরিশোধ করতে পারছেন না তারা। এর সঙ্গে পরিবহন খরচ তো আছেই। এমন পরিস্থিতিতে অধিকাংশ ক্ষেতেই টমেটো নষ্ট হচ্ছে। বাজারেও ক্রেতা নেই। ফলে টমেটোর স্তূপ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। উপজেলার বেশির ভাগ কৃষকের মাথায় এখন লোকসানের বোঝা।
কৃষি অফিস সূত্র জানায়, ডুমুরিয়া উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়নের ১২৬টি গ্রামে টমেটো চাষ হয়েছে। চিংড়ি ঘেরের বেড়িবাঁধের অবশিষ্ট জায়গায়ই টমেটোর চাষ হয় ব্যাপকভাবে। অল্প খরচে বেশি লাভ হতো বলে চাষিরা কয়েক মৌসুম ধরে আগ্রহী হয়ে উঠছিলেন। উপজেলাজুড়ে চলতি মৌসুমে ৪০০ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে ২৩ টন টমেটো উৎপাদনের আশা করেছেন কর্মকর্তারা। 
অথচ গত মৌসুমে একই জমিতে ২১ টন টমেটো উৎপাদন হয়েছিল। এবার উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ২ টন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত বছর বাজারে বাইরে থেকে বিপুল পরিমাণ পাইকারি ব্যবসায়ী এসেছিলেন। ফলে কৃষকরা টমেটোর দাম ভালোই পান। এ মৌসুমে উৎপাদন ভালো হওয়ায় আশায় বুক বেঁধেছিলেন চাষিরা। বাজারে এবার পাইকার অনেক কম। যে কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় দাম মিলছে না। 
খর্নিয়া গ্রামের কৃষক আবু হানিফ বলেন, বাজারে এখন টমেটোর কেজি তিন থেকে সাড়ে তিন টাকা। একজন শ্রমিকের জন্য দিনে মজুরি গুনতে হয় ৮০০ টাকা। 
এ ছাড়া পরিবহন খরচ তো আছেই। বাজারে ফড়িয়া বা ক্রেতা নেই। সব মিলিয়ে তাঁর মতো চাষিদের টমোটো এখন ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে।
ডুমুরিয়া পাইকারি বাজারের ‘আল্লার দান সবজি বিক্রয় কেন্দ্রে’র মালিক আব্দুল কাদের শেখ বলেন, বাজারে ফড়িয়া বা ক্রেতা নেই। টমেটো স্তূপ করে রাখা হয়েছে। বিক্রি না হওয়ায় পচন ধরেছে। বাধ্য হয়ে তাদের এসব টমেটো ফেলে দিতে হবে। 
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইনছাদ ইবনে-আমিন বলেন, টমেটো পাকা শুরু হওয়ার পর দুই-তিন দিন সংরক্ষণ করা সম্ভব। এর পর পচন শুরু হয়। 
ডুমুরিয়ায় টমেটো সংরক্ষণের মতো কোনো হিমাগার 
নেই। ফলে উৎপাদিত টমেটো নিয়ে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে চাষিদের। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উৎপ দ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মিফতাহ সিদ্দিকীর ইফতার মাহফিলে সিলেটে সুধীজনদের মিলনমেলা

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় এতিম, রাজনীতিবীদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, পেশাজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের নিয়ে দোয়া ও ইফতার মাহফিল করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী। 

রোববার সিলেট নগরীর একটি অভিজাত কনভেনশন হলে এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ইফতার মাহফিলটি বিভাগের চার জেলার বিএনপি, অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়।

নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সালেহ আহমদ খছরুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী ও খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যরিষ্টার এম.এ সালাম, ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সহ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ সুজাত মিয়া, ফয়সল আহমদ চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, নগর বিএনপির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এ এম সারওয়ার উদ্দিন চৌধুরী, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক সাজেদুল করিম, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভিসি আশরাফুল আলম, সিলেট শিক্ষাবোর্ডের সচিব চৌধুরী মামুন আকবর, সম্মিলিত পোশাজীবী পরিষদ, সিলেটের আহ্বায়ক ডা. শামীমুর রহমান, সদস্য সচিব ডা. শাহনেওয়াজ আহমদ, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল করিম ময়ুন, সদস্য সচিব আব্দুর রহমান রিপন, হবিগঞ্জের জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক সেলিম, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল হক, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার, সাবেক আইজিপি (প্রিজনস) বিগরেডিয়ার জেনারেল (অব.) ইফতেখারুজ্জামান, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা আজমল হোসেন কুনু, জাতীয় নাগরিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহমুদুল হাসান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহানগর সভাপতি মাওলানা গাজী রহমত উল্লাহ, মহানগর খেলাফত মজলিসের সহ-সভাপতি আব্দুল হান্নান তাপাদার, মহানগর এবিপার্টির আহবায়ক ওমর ফারুক, সদস্য সচিব রেজাউল করিম সোয়েব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সিলেটের সমন্বয়ক আব্দুল্লা আল গালিব প্রমুখ।

ইফতারপূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, মানুষ দীর্ঘদিন ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। দেশের মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগের প্রতীক্ষায় রয়েছে। এসময় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে জরুরী সংস্কার শেষে জাতীয় নির্বাচনের জোর দাবি জানান তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ