Samakal:
2025-03-16@20:43:25 GMT

ভারী যান চলাচল সেতুধসের শঙ্কা

Published: 13th, February 2025 GMT

ভারী যান চলাচল সেতুধসের শঙ্কা

বালুবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে বেহাল হয়ে পড়েছে একটি সেতু। ভেঙে গেছে রেলিং। দেবে গেছে সেতুর দু’পাশের মাটি। এতে দুই-তিন ফুট উঁচু হয়ে চলাচলের অনুযোগী হয়ে পড়েছে সেতুটি। প্রায় দেড়শ ফুট লম্বা ও ছয় ফুট প্রশস্ত সেতুটি মানিকছড়ি উপজেলার তিনটহরী মধ্যম পাড়া এলাকায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৪ সালের দিকে তৎকালীন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও খাগড়াছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভুঁইয়া একটি সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। যার কাজ শুরু হয় ২০০৬ সালে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দীর্ঘদিন ধীরগতিতে চলে নির্মাণকাজ। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে শেষ হয় সেতুর নির্মাণকাজ। সেতুটি উদ্বোধনের ফলে কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের চলাচলের কষ্ট অনেক কমে যায়। বেড়ে যায় বালু ও কাঠ বোঝাই যানবাহনের চলাচল। অতিরিক্ত ভারী যানবাহনের কারণে সেতুর দুই প্রান্তের মাটি ২-৩ ফুট দেবে যায়। ট্রাকের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেতুর রেলিং।
কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা লাথোই মারমা, মনির হোসেন, মাওলানা আবুল কাশেম, নায়েব আলীর সঙ্গে। তারা জানান, সেতুটির প্রস্থ আনুমানিক ৬ ফুট। বড় ট্রাকের প্রস্থও এর কাছাকাছি। সেতুর ওপর ট্রাক উঠলে তখন পাশে আর জায়গা থাকে না। এর ফলে একটু এদিক-সেদিক হলেই সেতুর বিভিন্ন অংশের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ভেঙে যায় রেলিং। এসব ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে না পারলে যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে সেতুটি।
স্কুল শিক্ষক আইয়ুব আলী ও কৈংক দেওয়ান জানান, এক সময়ে কয়েক গ্রামের মানুষের বাজারে যেতে হলে খাল পার হতে হতো। মধ্যম তিনটহরী খালের ওপর একটি সেতু নির্মাণ করা হলে এখানকার মানুষের দুর্ভোগ কমে। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে এই সেতুর ওপর এক ধরনের নির্যাতন চলছে। কেননা ছোটখাটো যানবাহন চলাচলের কথা থাকলেও প্রতিনিয়ত বালুবাহী ভারী ট্রাকের অবাধ চলাচল বেড়ে গেছে। আর ট্রাকের ধাক্কায় দিন দিন সেতুর বিভিন্ন অংশ ধসে পড়ছে।
সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য নূর জাহান বলেন, ‘স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বালুভর্তি ট্রাক এ পথে আসা-যাওয়া করায় সেতুর আজ দুরবস্থা। ধসে গেছে অনেক জায়গা। তারপরও কে শোনে কার কথা।’
মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিন আফরোজ ভূঁইয়ার ভাষ্য, সেতুর ওপর দিয়ে যাতে বড় যানবাহন চলতে না পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

মিফতাহ সিদ্দিকীর ইফতার মাহফিলে সিলেটে সুধীজনদের মিলনমেলা

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় এতিম, রাজনীতিবীদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, পেশাজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের নিয়ে দোয়া ও ইফতার মাহফিল করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী। 

রোববার সিলেট নগরীর একটি অভিজাত কনভেনশন হলে এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ইফতার মাহফিলটি বিভাগের চার জেলার বিএনপি, অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়।

নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সালেহ আহমদ খছরুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী ও খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যরিষ্টার এম.এ সালাম, ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সহ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ সুজাত মিয়া, ফয়সল আহমদ চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, নগর বিএনপির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এ এম সারওয়ার উদ্দিন চৌধুরী, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক সাজেদুল করিম, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভিসি আশরাফুল আলম, সিলেট শিক্ষাবোর্ডের সচিব চৌধুরী মামুন আকবর, সম্মিলিত পোশাজীবী পরিষদ, সিলেটের আহ্বায়ক ডা. শামীমুর রহমান, সদস্য সচিব ডা. শাহনেওয়াজ আহমদ, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল করিম ময়ুন, সদস্য সচিব আব্দুর রহমান রিপন, হবিগঞ্জের জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক সেলিম, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল হক, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার, সাবেক আইজিপি (প্রিজনস) বিগরেডিয়ার জেনারেল (অব.) ইফতেখারুজ্জামান, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা আজমল হোসেন কুনু, জাতীয় নাগরিক পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহমুদুল হাসান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহানগর সভাপতি মাওলানা গাজী রহমত উল্লাহ, মহানগর খেলাফত মজলিসের সহ-সভাপতি আব্দুল হান্নান তাপাদার, মহানগর এবিপার্টির আহবায়ক ওমর ফারুক, সদস্য সচিব রেজাউল করিম সোয়েব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সিলেটের সমন্বয়ক আব্দুল্লা আল গালিব প্রমুখ।

ইফতারপূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, মানুষ দীর্ঘদিন ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। দেশের মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগের প্রতীক্ষায় রয়েছে। এসময় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে জরুরী সংস্কার শেষে জাতীয় নির্বাচনের জোর দাবি জানান তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ