ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে শুরু হচ্ছে ‘আমার ভাষার চলচ্চিত্র উৎসব’। আগামীকাল শুরু হচ্ছে উৎসবটির ২৩তম আসর। বাসন্তী ফুল পলাশের সঙ্গে বিপ্লবের রক্তিম আভার সমন্বয়ে করা হয়েছে এবারের উৎসবের পোস্টার।

আরও পড়ুনকাল থেকে ‘আমার ভাষার চলচ্চিত্র উৎসব’২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২

উৎসবে নির্বাচিত ছবিগুলোর তালিকা গত বুধবার প্রকাশ করা হয়েছে। উৎসবে সাম্প্রতিক সময়ে মুক্তি পাওয়া ইকবাল হোসাইন চৌধুরীর ‘বলী’, শঙ্খ দাশগুপ্তের ‘প্রিয় মালতী’, অমিতাভ রেজা চৌধুরীর ‘রিকশা গার্ল’, আকরাম খানের ‘নকশীকাঁথার জমিন’, নূরুল আলম আতিকের ‘পেয়ারার সুবাস’, গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’, ধ্রুব হাসানের ‘ফাতিমা’, মিশুক মনির ‘দেয়ালের দেশ’ ও রায়হান রাফীর ‘তুফান’ দেখানো হবে।

উৎসবে আরও দেখানো হবে ঋত্বিক ঘটকের ‘সুবর্ণরেখা’, সুভাষ দত্তের ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’, দেওয়ান নজরুলের ‘দোস্ত দুশমন’, আমজাদ হোসেনের ‘ভাত দে’, চাষী নজরুল ইসলামের ‘দেবদাস’, কাজী হায়াতের ‘আম্মাজান’, আবু সাইয়ীদের ‘কিত্তনখোলা’, সালাউদ্দিন লাভলুর মোল্লাবাড়ির বউ’, আবদুল আহাদ তানভীরের ‘বাতাসের ফেনা’, আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’।

উৎসব চলবে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিটি প্রদর্শনীই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা, বেলা ১টা, বেলা ৩টা ৩০ মিনিট ও সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে সিনেমাগুলো দেখানো হবে। টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র র উৎসব

এছাড়াও পড়ুন:

রাবি শিক্ষার্থীদের বিজু উৎসব উদযাপন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা বিজু উৎসব‌ পালন করেছেন।

‌শনিবার (‌১২ এপ্রিল) রাজশাহীর ফুলতলা ঘাট সংলগ্ন পদ্মানদীতে ফুল ভাসিয়ে তারা এ উৎসব পালন করেন।

এর আগে, সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বর থেকে র‍্যালি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক ও কাজলা হয়ে রাজশাহীর ফুলতলা যান তারা। এ সময় তাদের সঙ্গে রাবি ছাত্র উপদেষ্টা আমিরুল ইসলাম কনক উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

৫ বিভাগে অনুষ্ঠিত হলো রাবির ভর্তি পরীক্ষা

রাবি ছাত্রীর ভিডিও ধারণ, বহিরাগত দুজনকে পুলিশে সোপর্দ

বিজু উৎসব বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের ত্রিপুরা, ম্রো, চাকমা, তঞ্চঙ্গ্যা, মারমা প্রভৃতি আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটি অন্যতম প্রধান ও বর্ণিল উৎসব। এটি মূলত বর্ষবরণ উৎসব হিসেবে পালিত হয়, যার মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত হলো মারমা, চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের বিজু উৎসব।

এটি বাংলা নববর্ষের (১৪ এপ্রিল) আগের তিন দিনব্যাপী (১২ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত) উদযাপিত হয়। এই তিনদিন তিনটি ভিন্ন নামে পরিচিত।

১২ এপ্রিল প্রথম দিন ফুল বিজু বলা হয়। এদিন খুব সকালে নদী, ঝরনা বা জলাশয়ে গিয়ে ফুল তোলা হয়। এই ফুল দিয়ে দেবতাকে পূজা দেওয়া হয় এবং বাড়ি সাজানো হয়। চারপাশে থাকে আনন্দ, পবিত্রতা ও প্রার্থনার আবহ। নদীতে গিয়ে ফুল ভাসানো হয় প্রাকৃতিক শক্তির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে।

১৩ এপ্রিল দ্বিতীয় দিন মূল বিজু বলা হয়। এটা বিজু উৎসবের মূল দিন। এদিনে বাড়িঘর পরিষ্কার করা হয়, নতুন কাপড় পরিধান করা হয়, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়। বাড়িতে বাড়িতে রান্না হয় বিশেষ ঐতিহ্যবাহী খাবার ‘পাচন’, যা ৫ থেকে ২১ বা তার বেশি ধরনের শাক-সবজি মিশিয়ে তৈরি করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গান, নাচ, হুল্লোড় হয় চারদিকে।

১৪ এপ্রিল তৃতীয় দিন গোজ্যা পোজ্যা বলা হয়। এদিন পুরাতন বছরের দুঃখ-কষ্ট ধুয়ে ফেলে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া হয়। এই দিনে তরুণরা বয়োজ্যেষ্ঠদের পা ধুয়ে দিয়ে সম্মান জানান। অনেকে নদীতে গিয়ে নিজেদেরও স্নান করে পরিশুদ্ধ হন। কিছু এলাকায় পানি খেলা বা জল উৎসবও হয়, যা মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই উৎসবের সঙ্গে মিলে যায়।

উৎসব সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম বলেন, “বিজু শুধু একটি উৎসব নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক আত্মপরিচয়ের প্রতীক। এটি পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতিগোষ্ঠীগুলোর সামাজিক বন্ধন, পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ধর্মীয় সংস্কৃতির অনন্য বহিঃপ্রকাশ।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নতুন প্রেমিকার হাত ধরে ম্যাকাও উৎসবে আমির খান
  • সেইলরের বৈশাখ আয়োজন
  • বান্দরবানে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে সাংগ্রাই শুরু
  • শাল-গজারি বনে রং ছড়িয়ে বিদায় নিচ্ছে বসন্ত
  • বিজুর প্রধান আকর্ষণ ‘পাজন’, কত ধরনের সবজি থাকে এতে
  • হারিয়ে যাওয়ার পথে খাতুনগঞ্জের হালখাতা
  • জাতীয় জীবনে কবিতার একটা বিশেষ ভূমিকা রয়েছে : রেজাউদ্দিন স্টালিন
  • রমনা লেকে ফুল ভাসিয়ে ফুলবিঝু উৎসব
  • শ্রীমঙ্গলে ফাগুয়া উৎসবে উঠে এল চা জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা
  • রাবি শিক্ষার্থীদের বিজু উৎসব উদযাপন