শুরু হচ্ছে আমার ভাষার চলচ্চিত্র উৎসব, দেখা যাবে যেসব সিনেমা
Published: 13th, February 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে শুরু হচ্ছে ‘আমার ভাষার চলচ্চিত্র উৎসব’। আগামীকাল শুরু হচ্ছে উৎসবটির ২৩তম আসর। বাসন্তী ফুল পলাশের সঙ্গে বিপ্লবের রক্তিম আভার সমন্বয়ে করা হয়েছে এবারের উৎসবের পোস্টার।
আরও পড়ুনকাল থেকে ‘আমার ভাষার চলচ্চিত্র উৎসব’২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২উৎসবে নির্বাচিত ছবিগুলোর তালিকা গত বুধবার প্রকাশ করা হয়েছে। উৎসবে সাম্প্রতিক সময়ে মুক্তি পাওয়া ইকবাল হোসাইন চৌধুরীর ‘বলী’, শঙ্খ দাশগুপ্তের ‘প্রিয় মালতী’, অমিতাভ রেজা চৌধুরীর ‘রিকশা গার্ল’, আকরাম খানের ‘নকশীকাঁথার জমিন’, নূরুল আলম আতিকের ‘পেয়ারার সুবাস’, গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’, ধ্রুব হাসানের ‘ফাতিমা’, মিশুক মনির ‘দেয়ালের দেশ’ ও রায়হান রাফীর ‘তুফান’ দেখানো হবে।
উৎসবে আরও দেখানো হবে ঋত্বিক ঘটকের ‘সুবর্ণরেখা’, সুভাষ দত্তের ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’, দেওয়ান নজরুলের ‘দোস্ত দুশমন’, আমজাদ হোসেনের ‘ভাত দে’, চাষী নজরুল ইসলামের ‘দেবদাস’, কাজী হায়াতের ‘আম্মাজান’, আবু সাইয়ীদের ‘কিত্তনখোলা’, সালাউদ্দিন লাভলুর মোল্লাবাড়ির বউ’, আবদুল আহাদ তানভীরের ‘বাতাসের ফেনা’, আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের ‘লাইভ ফ্রম ঢাকা’।
উৎসব চলবে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিটি প্রদর্শনীই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা, বেলা ১টা, বেলা ৩টা ৩০ মিনিট ও সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে সিনেমাগুলো দেখানো হবে। টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাতক্ষীরায় বইমেলায় পোড়ানো হলো উদীচীর স্টলের ব্যানার
সাতক্ষীরায় তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী একুশে বইমেলার উদীচীর স্টলের ব্যানার খুলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে এক ব্যক্তি ব্যানারটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। আজ বেলা ১১টায় শহীদ আবদুল রাজ্জাক পার্কে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ একুশের বইমেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল, এনডিসি পলাশ আহমেদ, জেলা তথ্য কর্মকর্তা মো. জাহারুল ইসলাম, সংস্কৃতিবিষয়ক কর্মকর্তা ফাইজা হোসেন প্রমুখ। বিকেলে মেলায় সাতক্ষীরা জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উদীচীকে স্টল দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম সদস্যসচিব নাজমুল হোসেন বলেন, দ্বিতীয়বার দেশ স্বাধীন হওয়ার একমাত্র বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী দেশে অরাজকতা পরিস্থিতির সৃষ্টি করার জন্য চেষ্টা করেছিল। সেই উদীচীর স্টল করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কেন এটা হয়েছে, কিসের জন্য হয়েছে, তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাবদিহি করতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরা জেলার আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন বলেন, ‘আমরা দেখেছি, ৫ আগস্টের পর থেকে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে যতগুলো প্রোগ্রাম বা মিটিং হয়েছে, কোনো না কোনোভাবে ফ্যাসিস্টদের দোসর কিংবা তার সংগঠনগুলোর পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া চলছে। জেলা প্রশাসক কীভাবে তাঁর দায়িত্বের জায়গা থেকে এ রকম একটা কাজ করতে পারেন?’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে উদীচী স্টলের পার্শ্ববর্তী ম্যানগ্রোভ প্রকাশনীতে থাকা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমানের লেখা ‘জীবন ও ঐতিহ্য’ বইটি সরিয়ে ফেলতে বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। ম্যানগ্রোভ প্রকাশনীর লোকজন বইটি সরিয়ে ফেলেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ডেকোরেটরের লোকজন এসে উদীচীর স্টলের ব্যানারটি নামিয়ে ফেলেন। পরে এক ব্যক্তি প্রকাশ্যে সেটিতে আগুন দেন।
শেখ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে ও তাঁদের দেওয়া ব্যানার টানিয়ে স্টল চালু করা হয়েছিল। হঠাৎ ব্যানার খুলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান গ্রন্থাগারের ২০টি বই তাঁর স্টলে ছিল, সেগুলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা নিয়ে গেছেন।
তবে আরাফাত হোসেন দাবি করেন, তাঁরা ব্যানার খোলেননি কিংবা পোড়াননি। ক্ষুব্ধ এক ব্যক্তি এটি পুড়িয়েছেন। তাঁরা শুধু জেলা প্রশাসকের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছেন।
জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, তাঁর কাছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা রণি (নাজমুল হোসেন) ফোন করেছিলেন। তিনি বলেছেন বিষয়টি দেখবেন। একজন এডিসিকে গিয়ে দেখতে বলেছেন। এর আগেই ব্যানার পুড়িয়ে দেওয়া ঠিক হয়নি।