Samakal:
2025-04-14@02:30:45 GMT

গুচ্ছ গুচ্ছ বই

Published: 13th, February 2025 GMT

গুচ্ছ গুচ্ছ বই

চলছে একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৫। মেলায় প্রকাশিত নতুন বই নিয়ে আয়োজনের দ্বিতীয় পর্ব...

প্রবন্ধ
তোমার কথা হেথা কেহ তো বলে না– মফিদুল হক, বিদ্যাপ্রকাশ।। সক্রাতেসের তিন বাগড়া– দেসদিমোনা খান ও সলিমুল্লাহ খান, মিজান পাবলিশার্স।। ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি: অনুসন্ধানী প্রতিবেদন– তরুণ সরকার, বেঙ্গল বুকস।। ব্রাহ্মসমাজে ইসলাম: সাহিত্যের সক্রিয়তাবাদ ও অন্যান্য– মোজাফ্‌ফর হোসেন, বিদ্যাপ্রকাশ।। সহজ কথায় অর্থনীতি– বিরূপাক্ষ পাল, আলোঘর প্রকাশনা।। নোবেল বিজয়ী ড.

মুহাম্মদ ইউনূস– আবুল কাসেম হায়দার, মিজান পাবলিশার্স।। জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও জেলজীবন– সায়ন্থ সাখাওয়াত, বিদ্যাপ্রকাশ।। মুক্তিযুদ্ধ জনযুদ্ধ– সাইফুল ইসলাম, বিদ্যাপ্রকাশ।। বাংলা কাব্যধারায় কবি গোবিন্দচন্দ্র দাস ও তাঁর কবিতা– ড. মো. আলী হোসেন, বিদ্যাপ্রকাশ।। আবদুশ শাকুরের গল্প: স্বর ও স্বরায়ণ– নিঝুম শাহ, বিদ্যাপ্রকাশ।। পূর্ববঙ্গে নীল চাষ ও নীল বিদ্রোহের ইতিহাস– মো. মাহমুদ আলী, দিব্যপ্রকাশ।
কথাসাহিত্য
আবুল হাসানের স্মৃতি– আবিদ আজাদ, ঐতিহ্য প্রকাশন।। শ্রেষ্ঠ গল্প– মোহিত কামাল, বিদ্যাপ্রকাশ।। ডিয়ার ট্রিনিটি– নির্ঝর নৈঃশব্দ, চন্দ্রবিন্দু প্রকাশন।। মানুষরতন– মুম রহমান, বেঙ্গল বুকস।। বখতিয়ারের বানরগুলি– নাসরীন জাহান, বিদ্যাপ্রকাশ।। পুরানা আমলের এই ভেদের কোনো মীমাংসা আসে নাই– আকিমুন রহমান, বেঙ্গল বুকস।। খালাস– আনি আর্নো, অনুবাদ: মুম রহমান, ঐতিহ্য প্রকাশনী।। নির্বাচিত ২০টি গল্প– হামিরউদ্দিন মিদ্যা, বেঙ্গল বুকস।। নয়পৌরে– সুহান রিজওয়ান, চন্দ্রবিন্দু প্রকাশন।। তোড়ায় তেরোটি– সালেহা চৌধুরী, বেঙ্গল বুকস।। ঘোড়াগুলো ঘুমাবে– সুমন মজুমদার, বিদ্যাপ্রকাশ।। দূর পৃথিবীর গন্ধে– মাসউদ আহমাদ, বেঙ্গল বুকস।। রূপকুমার ও হরবোলাসুন্দরীর অসমাপ্ত পালা– প্রশান্ত মৃধা, বেঙ্গল বুকস।। নির্বাসিত দৃশ্যের অরণ্য– স্বরলিপি, বেঙ্গল বুকস।। আঠার বছর পর একদিন– মনি হায়দার, বেঙ্গল বুকস।। উপন্যাসসমগ্র ১– হোসেনউদ্দীন হোসেন, বিদ্যাপ্রকাশ।। নিঃশব্দ জ্যোৎস্না ভেতর– মঈন আহমেদ, বিদ্যাপ্রকাশ।। এক হাজার ছয়শ আঠার নম্বর শহর– দীপেন ভট্টাচার্য, বিদ্যাপ্রকাশ।। ধ্রুব সত্য ধ্রুব মিথ্যা– ধ্রুব এষ, বিদ্যাপ্রকাশ।। প্রাক্তন– রুমানা বৈশাখী, বিদ্যাপ্রকাশ।।  কনফেশন: স্বীকারোক্তি– লিও তলস্তয়, ইমরান খান, বেঙ্গল বুকস। 
কবিতা
পিপাসার বালুচরে– আল মাহমুদ, মিজান পাবলিশার্স।। হরিণ ঠেকানোর তিন– মিনহাজুল হক, বিদ্যাপ্রকাশ।। পণ্যপুঁজি কিছু নেই– হাসান হাফিজ, মিজান পাবলিশার্স।।  জাতীয় পাখি বন্দি শিকে— সিদ্দিকী বাপ্পী, ঐতিহ্য।। তোমার সঙ্গে যাব বলে হয়েছিলাম দলছুট– ফজলুল পলাশ, সংযোগ।।  শব্দের নৈবেদ্য– এ এন এম নূরুল হক, ঐতিহ্য।। কবিতা সংকলন: ছাড়পত্র (১ম পর্ব)– জাকের আদিত্য, ওর্দি পাবলিকেশন্স।। ওপরে ওঠার সিঁড়ি– মাহবুব কবির, বাতিঘর। v

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বইম ল ম জ ন প বল শ র স

এছাড়াও পড়ুন:

বৈশাখে কেনাবেচা ‘মন্দ নয়’

পবিত্র ঈদুল ফিতরের লম্বা ছুটি শেষে গত সপ্তাহে কর্মচাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করেছে নগরজীবনে। তবে ছুটির রেশ পুরোপুরি কাটেনি। এরই মধ্যে চলে এসেছে বর্ষবরণ উৎসব। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদ ও বর্ষবরণের উৎসব কাছাকাছি সময়ে হওয়ায় এবার পয়লা বৈশাখ ঘিরে তাঁদের আয়োজন কম ছিল। বিক্রিও বেশি হবে না বলে ধারণা করেছিলেন তাঁরা। সে তুলনায় বেচাবিক্রি মন্দ হয়নি।

পয়লা বৈশাখ আজ সোমবার। বর্ষবরণ উৎসব উদ্‌যাপনের জন্য নতুন পোশাক কিনতে বিগত কয়েক দিন বিপণিবিতানে ক্রেতাদের আনাগোনা দেখা গেছে। দাম বেশি হলেও কাঁচাবাজারে ইলিশের দোকানেও ঢুঁ দিয়েছেন অনেকে।

এদিকে পয়লা বৈশাখের দিন মিষ্টির বাড়তি চাহিদা মেটাতে প্রস্তুতি নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো বর্ষবরণে কমবেশি প্রস্তুতি নিয়েছে।

বৈশাখে শেষ পর্যন্ত তৈরি পোশাকের বিক্রি কেমন হলো জানতে চাইলে শনিবার বিকেলে পোশাকের ব্র্যান্ড অঞ্জন’সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শাহীন আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, এবার অন্য বছরের তুলনায় খুবই কম আয়োজন ছিল। তবে বিক্রি মন্দ হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার থেকে বেচাবিক্রি চাঙা হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী বছর বর্ষবরণ উপলক্ষে বেশি প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ, আগামী বছর পয়লা বৈশাখ ঈদের তিন সপ্তাহের বেশি সময় পর।

দেশে তিনটি উৎসবের সময় পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের কেনাবেচা বেশি হয়—পবিত্র ঈদুল ফিতর, পবিত্র ঈদুল আজহা ও পয়লা বৈশাখ। এর মধ্যে বুটিক হাউস ও ব্র্যান্ডগুলোর জন্য কেনাবেচার দ্বিতীয় প্রধান মৌসুম ছিল পয়লা বৈশাখ। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বৈশাখকে ঘিরে বুটিক হাউস ও ব্যান্ডের পোশাকের দোকানে বিশেষ আয়োজনের প্রচলন শুরু হয় প্রায় দুই দশক আগে। ধীরে ধীরে সেটির পরিধি বাড়তে থাকে।

শুরুতে তৈরি পোশাক, মিষ্টিসহ ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার ইত্যাদি বিক্রি বেশি হতো। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আসবাব, মুঠোফোন, ইলেকট্রনিক সরঞ্জামসহ বিভিন্ন পণ্যের বিক্রিও বেড়েছে।

অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৈশাখকেন্দ্রিক কেনাবেচা বৃদ্ধির কারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। ২০১৬ সাল থেকে সরকারি চাকরিজীবীরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বৈশাখী ভাতা পাচ্ছেন। বেসরকারি খাতের কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানও ভাতা দিচ্ছে। সব মিলিয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৈশাখকেন্দ্রিক অর্থনীতি চাঙা হতে দেখা যায়।

তবে ঈদ ও পয়লা বৈশাখ কাছাকাছি হয়ে যাওয়ায় গত বছর আগের মতো বড় আয়োজনে যাননি ব্যবসায়ীরা। এবারও পরিস্থিতি তেমনই। তবে কম-বেশি আয়োজন সবারই ছিল।

রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের দেশী দশে গত বুধবার দুপুরে গিয়ে দেখা গেল, প্রতিটি বিক্রয়কেন্দ্রেই রয়েছে বৈশাখ সংগ্রহ। কারও সংগ্রহ বেশি; কারও কম। তবে ক্রেতার ভিড় বেশি নয়।

বাংলার মেলা নামের পোশাকের ব্র্যান্ডের একটি বিক্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক শহীদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বৈশাখ উপলক্ষে সব বয়সের নারী, পুরুষ ও বাচ্চার জন্য পাঞ্জাবি, ফতুয়া, থ্রি-পিস, শাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের পোশাক নিয়ে এসেছেন তাঁরা। রোজার মাসের শেষ সপ্তাহে তাঁরা বৈশাখের আয়োজন দোকানে এনেছেন। তখন কিছু কেনাবেচা হয়েছে। ঈদের পরও কিছু কিছু বেচাকেনা হয়েছে।

ভালো বিক্রির আশা মিষ্টির দোকানে

পয়লা বৈশাখের দিন মিষ্টি বিক্রি বেশি হয়। পুরান ঢাকার অনেক ব্যবসায়ী এখনো হালখাতা উৎসব করে বছর শুরু করেন। মিষ্টি-নিমকি দিয়ে ক্রেতা ও বন্ধুবান্ধবকে আপ্যায়ন করার ঐতিহ্য এখনো টিকে আছে। আবার নববর্ষের দিন ছুটি থাকলে পরদিন মিষ্টি খাওয়ার চল তৈরি হয়েছে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোতে। সব মিলিয়ে মিষ্টির ব্যবসা বেশ ভালোই চলে।

প্রাণ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান বঙ্গ বেকারসের মিষ্টির ব্র্যান্ড মিঠাইয়ের সারা দেশে ২০৪টি বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) এস এম হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, শনিবার থেকে পয়লা বৈশাখের মিষ্টি বেচাবিক্রি শুরু হয়েছে। এবার করপোরেট প্রতিষ্ঠান থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছেন তাঁরা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাধারণ দিনের চেয়ে পয়লা বৈশাখে চার গুণ বেশি মিষ্টি বিক্রি হয়।

চৈত্রসংক্রান্তি মেলা ও বৈশাখী মেলা উপলক্ষে গ্রামেগঞ্জে মিঠাইয়ের চাহিদা বাড়ে। বগুড়া সদর উপজেলার ‘মিঠাই পল্লী’ খ্যাত হরিপুর গ্রামের কারখানার মালিক ও কারিগরদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, বেশ কয়েক দিন ধরেই কারিগরদের দম ফেলানোর ফুরসত নেই।

হরিপুর মিঠাই পল্লীর ১৫ জন কারিগর মিলে একটি কারখানায় মিঠাই তৈরি করেন। তাঁদের মধ্যে একজন সুজন চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার চিনির দাম কেজিতে ১০ টাকা কম। তবে পাম তেল ও গুড়ের দাম বেড়েছে। ফলে তাঁদের লাভ কমেছে।

বৈশাখের পান্তা-ইলিশ

পয়লা বৈশাখের দিন সকালে পান্তাভাতের সঙ্গে ইলিশ মাছ খাওয়ার একটি চল রয়েছে। যদিও অনেকেই বলছেন, বর্ষবরণের সঙ্গে ইলিশের সম্পর্ক নেই। কয়েক বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পান্তার সঙ্গে ইলিশ না খাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বক্তব্য দিচ্ছেন। কারণ, ইলিশ রক্ষায় বছরের এ সময়টায় অভয়াশ্রমগুলোতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। অবশ্য ব্যবসায়ীদের অনেকে হিমাগারে রেখে ইলিশ বিক্রি করেন। এ বছরও বাড়তি চাহিদার কারণে ইলিশের দাম বেড়ে গেছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা গত শুক্রবার এক কেজির কিছু বড় একেকটি ইলিশ বিক্রি করেছেন প্রায় দুই হাজার টাকায়। মাঝারি আকারের ইলিশের কেজি চাওয়া হচ্ছিল দেড় হাজার টাকা।

পয়লা বৈশাখকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা হয়। এতে সুফল পান প্রান্তিক জনগোষ্ঠী—এমনটাই বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক মো. আবু ইউসুফ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পয়লা বৈশাখ সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। এই উৎসবে দেশি পণ্যের ব্যবহার বেশি করেন শহরের মানুষ। এতে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা হয়। বিশেষ করে অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) প্রতিষ্ঠানগুলো ভালো ব্যবসা করে। পণ্য বিক্রি, সামগ্রিক লেনদেন, কর্মসংস্থান—সব দিক থেকেই পয়লা বৈশাখ অবদান রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ