Samakal:
2025-03-16@21:46:09 GMT

গুচ্ছ গুচ্ছ বই

Published: 13th, February 2025 GMT

গুচ্ছ গুচ্ছ বই

চলছে একুশে গ্রন্থমেলা ২০২৫। মেলায় প্রকাশিত নতুন বই নিয়ে আয়োজনের দ্বিতীয় পর্ব...

প্রবন্ধ
তোমার কথা হেথা কেহ তো বলে না– মফিদুল হক, বিদ্যাপ্রকাশ।। সক্রাতেসের তিন বাগড়া– দেসদিমোনা খান ও সলিমুল্লাহ খান, মিজান পাবলিশার্স।। ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি: অনুসন্ধানী প্রতিবেদন– তরুণ সরকার, বেঙ্গল বুকস।। ব্রাহ্মসমাজে ইসলাম: সাহিত্যের সক্রিয়তাবাদ ও অন্যান্য– মোজাফ্‌ফর হোসেন, বিদ্যাপ্রকাশ।। সহজ কথায় অর্থনীতি– বিরূপাক্ষ পাল, আলোঘর প্রকাশনা।। নোবেল বিজয়ী ড.

মুহাম্মদ ইউনূস– আবুল কাসেম হায়দার, মিজান পাবলিশার্স।। জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও জেলজীবন– সায়ন্থ সাখাওয়াত, বিদ্যাপ্রকাশ।। মুক্তিযুদ্ধ জনযুদ্ধ– সাইফুল ইসলাম, বিদ্যাপ্রকাশ।। বাংলা কাব্যধারায় কবি গোবিন্দচন্দ্র দাস ও তাঁর কবিতা– ড. মো. আলী হোসেন, বিদ্যাপ্রকাশ।। আবদুশ শাকুরের গল্প: স্বর ও স্বরায়ণ– নিঝুম শাহ, বিদ্যাপ্রকাশ।। পূর্ববঙ্গে নীল চাষ ও নীল বিদ্রোহের ইতিহাস– মো. মাহমুদ আলী, দিব্যপ্রকাশ।
কথাসাহিত্য
আবুল হাসানের স্মৃতি– আবিদ আজাদ, ঐতিহ্য প্রকাশন।। শ্রেষ্ঠ গল্প– মোহিত কামাল, বিদ্যাপ্রকাশ।। ডিয়ার ট্রিনিটি– নির্ঝর নৈঃশব্দ, চন্দ্রবিন্দু প্রকাশন।। মানুষরতন– মুম রহমান, বেঙ্গল বুকস।। বখতিয়ারের বানরগুলি– নাসরীন জাহান, বিদ্যাপ্রকাশ।। পুরানা আমলের এই ভেদের কোনো মীমাংসা আসে নাই– আকিমুন রহমান, বেঙ্গল বুকস।। খালাস– আনি আর্নো, অনুবাদ: মুম রহমান, ঐতিহ্য প্রকাশনী।। নির্বাচিত ২০টি গল্প– হামিরউদ্দিন মিদ্যা, বেঙ্গল বুকস।। নয়পৌরে– সুহান রিজওয়ান, চন্দ্রবিন্দু প্রকাশন।। তোড়ায় তেরোটি– সালেহা চৌধুরী, বেঙ্গল বুকস।। ঘোড়াগুলো ঘুমাবে– সুমন মজুমদার, বিদ্যাপ্রকাশ।। দূর পৃথিবীর গন্ধে– মাসউদ আহমাদ, বেঙ্গল বুকস।। রূপকুমার ও হরবোলাসুন্দরীর অসমাপ্ত পালা– প্রশান্ত মৃধা, বেঙ্গল বুকস।। নির্বাসিত দৃশ্যের অরণ্য– স্বরলিপি, বেঙ্গল বুকস।। আঠার বছর পর একদিন– মনি হায়দার, বেঙ্গল বুকস।। উপন্যাসসমগ্র ১– হোসেনউদ্দীন হোসেন, বিদ্যাপ্রকাশ।। নিঃশব্দ জ্যোৎস্না ভেতর– মঈন আহমেদ, বিদ্যাপ্রকাশ।। এক হাজার ছয়শ আঠার নম্বর শহর– দীপেন ভট্টাচার্য, বিদ্যাপ্রকাশ।। ধ্রুব সত্য ধ্রুব মিথ্যা– ধ্রুব এষ, বিদ্যাপ্রকাশ।। প্রাক্তন– রুমানা বৈশাখী, বিদ্যাপ্রকাশ।।  কনফেশন: স্বীকারোক্তি– লিও তলস্তয়, ইমরান খান, বেঙ্গল বুকস। 
কবিতা
পিপাসার বালুচরে– আল মাহমুদ, মিজান পাবলিশার্স।। হরিণ ঠেকানোর তিন– মিনহাজুল হক, বিদ্যাপ্রকাশ।। পণ্যপুঁজি কিছু নেই– হাসান হাফিজ, মিজান পাবলিশার্স।।  জাতীয় পাখি বন্দি শিকে— সিদ্দিকী বাপ্পী, ঐতিহ্য।। তোমার সঙ্গে যাব বলে হয়েছিলাম দলছুট– ফজলুল পলাশ, সংযোগ।।  শব্দের নৈবেদ্য– এ এন এম নূরুল হক, ঐতিহ্য।। কবিতা সংকলন: ছাড়পত্র (১ম পর্ব)– জাকের আদিত্য, ওর্দি পাবলিকেশন্স।। ওপরে ওঠার সিঁড়ি– মাহবুব কবির, বাতিঘর। v

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বইম ল ম জ ন প বল শ র স

এছাড়াও পড়ুন:

চুন–সুরকির শতবর্ষী মসজিদ গরমের সময় ঠান্ডা আর শীতে উষ্ণ থাকে

কক্সবাজার শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিজিবি ক্যাম্প এলাকার সড়কে দাঁড়িয়ে পূর্ব দিকে তাকালে নজরে পড়ে শতবর্ষী দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। এলাকায় মসজিদটি গায়েবি মসজিদ নামে পরিচিত। সম্পূর্ণ চুন-সুরকির এই মসজিদটি গরমের সময় ঠান্ডা আর শীতের সময় গরম থাকে।

সোনালি গম্বুজ ও সাদার মাঝে গোলাপি নকশায় অপরূপ এই মসজিদ দেখতে দূর থেকেও দর্শনার্থী আসেন। আয়তনে ছোট হলেও এর স্থাপত্যশৈলী ও গঠন দৃষ্টিনন্দন। মসজিদের উত্তর পাশে রয়েছে বিশাল এক দিঘি। মসজিদটির উত্তর-দক্ষিণে লম্বা ৩৪ ফুট, পূর্ব-পশ্চিমে ২৬ ফুট। চারটি পিলার বা স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে মসজিদটি। মসজিদের দরজা একটি। এর উচ্চতা পাঁচ ফুট। দুটি জানালার উচ্চতা সাড়ে চার ফুট, প্রস্থ তিন ফুট। মসজিদের দেয়াল পাঁচ ফুট চওড়া। প্রাচীন মসজিদটি সম্পূর্ণ চুন-সুরকি দিয়ে তৈরি। মসজিদের বিশালাকৃতির একটি গম্বুজ তৈরি হয়েছে লোহাবিহীন চুন-সুরকি দিয়ে।

মসজিদটির নির্মাণ কাল নিয়ে নানা মতভেদ রয়েছে। এর মুঘল ধাঁচের নির্মাণ শৈলী দেখে অনেকের ধারণা এটি সুবেদার শাহ সুজার সময়কালে (১৬১৬ -১৬৬১) তৈরি হয়েছিল। মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রবীণ শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রকৃত অর্থে গায়েবি মসজিদটি কে তৈরি করেছিলেন, তার সঠিক তথ্য-প্রমাণ কিংবা ইতিহাস কারও জানা নেই। তবে এটির বয়স ৪০০ বছর হতে পারে।

৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার কিছু মানুষ মনে করেন, মুঘল শৈলীর হলেও সাচী চৌধুরী নামে এলাকার একজন দানশীল মানুষ ১৮৬১ খিষ্টাব্দের দিকে এই মসজিদ তৈরি করেছেন। এ কারণে মসজিদের নামকরণ হয়েছে সাচী চৌধুরী মসজিদ নামে। সাচী চৌধুরীর আদি নিবাস ছিল চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায়।

জানা যায়, ১৮৫৪ খ্রিষ্টাব্দে কক্সবাজার মহকুমায় উন্নীত হওয়ার পরেই সাচী চৌধুরী আনোয়ারা থেকে কক্সবাজারে এসে বসবাস শুরু করেন। তাঁর নামে গ্রামের নামকরণ হয়েছে চৌধুরী পাড়া। কয়েক বছর আগে মসজিদের সংস্কারকাজ করা হয়েছে। নামাজ পড়ার পরিসর বাড়ানো হয়েছে।

জানা যায়, ১৯৬০ ও ১৯৯১ সালের দুটি বড় ঘূর্ণিঝড় ক্ষতি করতে পারেনি মসজিদটির। অথচ, ওই দুই ঝড়ে আশপাশের সবকিছু বিধ্বস্ত হয়েছিল। এ কারণে লোকমুখে মসজিদটি নাম হয়েছে গায়েবি মসজিদ।

মসজিদের দীর্ঘ কয়েক বছর ইমামতি করেন স্থানীয় মাওলানা আবুল হোছাইন। তাঁর ছেলে নুরুল হুদা (৫৫) বলেন, তাঁর বাবার মুখ থেকে মসজিদ নিয়ে অনেক জনশ্রুতি শুনেছেন তাঁরা। গভীর রাত পর্যন্ত মসজিদে মুসল্লিরা আসেন। ইবাদত করেন। এর থেকে অনেকে বিশ্বাস করেন, এখানে জিনেরা নামাজ পড়ে।

কক্সবাজারের ইতিহাস-ঐতিহ্যের জড়িত এই মসজিদের সংরক্ষণ জরুরি বলে উল্লেখ করেন মসজিদের খতিব মাওলানা আমান উল্লাহ। তিনি বলেন, ১৯৬০ ও ৯১ প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসে বিশাল এলাকা লন্ডভন্ড হলেও গায়েবি মসজিদ অক্ষত অবস্থায় ছিল। এ সময় মসজিদের আশপাশের লোকজনের শত শত পাকা ঘরবাড়ি অবকাঠামো বিধ্বস্ত হয়েছিল। মসজিদটি রক্ষা পাওয়ায় লোকজনের কাছে মসজিদটি গায়েবি মসজিদ নামে পরিচিতি পায়। গায়েবি অর্থ অলৌকিক শক্তি। এ মসজিদের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো, প্রচণ্ড গরমেও ভেতরে পরিবেশ থাকে ঠান্ডা-শীতাতপ। আবার শীতকালে গরম অনুভূত হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ