আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি, ঢাবিতে ছাত্রদলের দুই কর্মীর আমরণ অনশন
Published: 13th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার জন্য বিচারের চেয়ে আমরণ অনশনে বসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদলের দুই কর্মী।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনে বসেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন।
ছাত্রদলের এই দুই কর্মীর মধ্যে একজন ঢাবির ফজলুল হক মুসলিম হল ছাত্রদলের সদস্য (সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদমর্যাদার) ওমর ফারুক। অন্যজন সূর্যসেন হল ছাত্রদলের কর্মী আবু সাঈদ।
আরো পড়ুন:
উচ্চ শব্দে অতিষ্ঠ, শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ২৬ মাইক বন্ধ
দুই দফা সংঘর্ষ শেষে শান্ত আইডিয়াল ও সিটি কলেজ
সূর্যসেন হল ছাত্রদলের কর্মী আবু সাঈদ বলেন, “স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ বিগত ১৭ বছরে যত অপকর্ম করেছে, তা বলে বোঝানো যাবে না। এমন কী সব কিছু তদন্ত করে বের করাও সম্ভব নয়। তারা যত অপরাধ করেছে, তার কোনো সীমা নেই।”
“চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে তারা প্রায় ২ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। এটা গণহত্যা। আর গণহত্যাকারীদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার থাকে না। কিন্ত বাংলাদেশে এখনো ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। আমরা এজন্যই আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ এবং তাদের সকল অপরাধের বিচার চাই।”
ওমর ফারুক রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হলেও প্রশাসনে ছাত্রলীগ ও তাদের দোসররা রয়েছে। তাদেরকে বহাল রেখে তথাকথিত সংস্কার চলতে পারে না।”
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে ওমর ফারুক বলেন, “আপনারা চাইলেই ছাত্রলীগের মতো আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধ করতে পারেন। আপনারা যতক্ষণ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ না করবেন ততক্ষণ আমরা আমাদের অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাব।”
গাজীপুরে আ ক ম মোজ্জামেল হকের বাড়িতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবুল কাশেম নামে কিশোরের মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জোরদার হয়েছে। বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় কাশেম। তার মরদেহ নিয়ে শহীদ মিনার থেকে কফিন মিছিল করে শাহবাগে আসে বিক্ষোভকারীরা। সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারাসহ সারা দেশে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ছাত্র-জনতা বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে কফিন বা খাটিয়া মিছিল করেছে।
এসব কর্মসূচির মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের দুই কর্মী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অমরণ অনশনে বসেছেন।
ঢাকা/সৌরভ/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ অনশন ছ ত রদল র দ ই কর ম আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
এক মাস গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করবে ইনকিলাব মঞ্চ
জুলাই গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করাসহ দুই দফা দাবিতে আগামী এক মাস গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। এ সময়ে রাজপথে তাঁরা আর কোনো কর্মসূচি দেবে না। তবে আওয়ামী লীগের উসকানিতে নামে-বেনামে কেউ কর্মসূচি দিলে সেটি প্রতিহত করতে তাঁরা রাজপথে নেমে আসবেন।
আজ শনিবার দুপুরে ঢাকার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘প্রতিবাদী জুলাই জমায়েত’ নামের এক কর্মসূচি শেষে এসব কথা বলেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ উসমান হাদী।
বেলা ১১টায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ‘প্রতিবাদী জুলাই জমায়েত’ শুরু হয়। পরে তাঁরা শহীদ মিনার অভিমুখে একটি মিছিল নিয়ে রওনা হন। মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের কাছে যাওয়ার আগেই পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পরে পুলিশের অনুরোধে তাঁরা মিছিলটি নিয়ে আবার জাতীয় জাদুঘরের সামনে ফিরে এসে কর্মসূচি স্থগিত করে।
শরীফ উসমান হাদী বলেন, জুলাই গণহত্যার বিচার, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে চার দিন ধরে শাহবাগে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। এখন এ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। এখন দুই দফা দাবিতে এক মাস গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালনের পর আগামী ২৫ এপ্রিল বিকেল তিনটায় শাহবাগ মোড়ে শহীদি সমাবেশ করা হবে।
আগামী এক মাস দুই দফা দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করা হবে জানিয়ে শরীফ উসমান হাদী বলেন, প্রথম দফা হচ্ছে, জুলাই, শাপলা ও পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার শুরু করতে হবে। দ্বিতীয় দফা হচ্ছে, গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে অতিদ্রুত নিষিদ্ধ করতে হবে। এই দুই দফাকে সামনে রেখে নতুন লড়াই শুরু হচ্ছে।