ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যাচেষ্টা মামলার কয়েদির মৃত্যু
Published: 13th, February 2025 GMT
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আব্দুর রাজ্জাক (৫০) নামে হত্যাচেষ্টা মামলায় বন্দি এক আসামি মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কারারক্ষীরা মুমূর্ষু অবস্থায় ওই আসামিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কারা সূত্রে জানা যায়, আব্দুর রাজ্জাকের বাড়ি ঢাকার সাভার মজিদপুর গ্রামে। সাভার থানার হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি ছিলেন তিনি।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো.
ঢাকা/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্ল্যাট প্রতারণার শত অভিযোগ
চট্টগ্রামে দুই শতাধিক আবাসন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে রিহ্যাবের সদস্য হিসেবে আছে শখানেক প্রতিষ্ঠান। ফ্ল্যাট নিয়ে প্রতারণার শতাধিক অভিযোগ জমা হয়েছে রিহ্যাবের কাছে। এর মধ্যে প্রায় ৭০ টি অভিযোগের সমাধানও করেছে তারা। প্রক্রিয়াধীন আছে আরও প্রায় ৩০ টি অভিযোগ। তবে যেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এসেছে তাদের বেশিরভাগই রিহ্যাবের সদস্য নয়। যারা সদস্য নন; তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নানা প্রতিবন্ধকতায় পড়ছে রিহ্যাবের নেতৃবৃন্দ। কিন্তু রিহ্যাবের সদস্যভুক্ত কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তা দ্রুত সমাধান করতে পারছে তারা। রিহ্যাব মনে করছে প্লট ও ফ্ল্যাট কেনার আগে গ্রাহকরা যেন দেখেন প্রতিষ্ঠানটি রিহ্যাবের সদস্য কিনা। তাহলে প্রতারিত হলেও ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ তাকবে তাদের হাতে। কারণ রিহ্যাবের সদস্য হলে একটি আইনি বাধ্যবাধকতার মধ্যে থাকতে হয় তাকে। তার বিরুদ্ধে চাইলে ব্যবস্থাও নিতে পারে
রিহ্যাব চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট হাজী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘দুইভাবে এমন প্রতারণা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এজন্য আন্তরিক হতে হবে সিডিএ এবয় সিটি কর্পোরেশনকে। সরকারি সার্কুলার বলছে, রিহ্যাবের সদস্য হওয়া ছাড়া কেউ আবাসন ব্যবসা করতে পারবে না। কিন্তু নগরীতে মানা হচ্ছে না এ নিয়ম। যেসব প্রতিষ্ঠান রিহ্যাবের সদস্য নয়, তাদেরকেও ট্রেড লাইসেন্স দিচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এটা বন্ধ করতে হবে। আবার চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তাদের নকশা অনুমোদন দেওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে। তাহলে এমন প্রতারণা কমে আসবে। আস্তে আস্তে তা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে।'
সারাজীবনের সঞ্চয় দিয়ে নগরীর ২৫ নম্বর রামপুরা ওয়ার্ডে একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন মোশাররফ হেসেন। তামান্না বিল্ডার্স নামে একটি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান থেকে ফ্ল্যাটটি কিনেছেন তিনি কিস্তিতে। আরও নয় বছর আগে পরিশোধ করেছেন তিনি কিস্তির সব টাকা। কিন্তু তামান্না বিল্ডার্স চুক্তি অনুযায়ী ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দিতে পারেনি তাকে এখনো। শুধু তামান্না বিল্ডার্স নয়; নগরীতে এমন চুক্তি ভঙ্গকারী ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান আছে অনেক। এ জন্য রিহ্যাব চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয় বিভিন্ন অভিযোগ গ্রহণ করতে গঠন করেছে স্বতন্ত্র একটি সেল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে চট্টগ্রামের এই সেলে শতাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। এর মধ্যে ৭০ টি অভিযোগের সমাধান করা হয়েছে। বাকি ৩০ টি প্রক্রিয়াধীন। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে রিহ্যাব একটি প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ বাতিল করেছে।
রিহ্যাব চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির পরিচালন ও কো চেয়ারম্যান-১ মো. মোরশেদুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রামে দুই শতাধিক আবাসন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি রিহ্যাবের সদস্য নন। অথচ তাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ আসছে সবচেয়ে বেশি। এসব অভিযোগের মদ্যে আছে-ঠিক সময়ে ফ্ল্যাট বুঝে না পাওয়া, জমি বুঝে নেওয়ার পরও ঠিক সময়ে কাজ শুরু না করা, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, আবাসন প্রতিষ্ঠানকে চাপে ফেলে অনায্যভাবে টাকা আদায় করা, মাঝপথে কাজ বন্ধ করে রাখা। এমন অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য রিহ্যাবের আছে 'কাস্টমার কেয়ার ও মেডিয়েশন সেল'। যদিও বিরোধ নিষ্পত্তি ও সদস্যপদ বাতিলের ক্ষমতা ছাড়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আর কোনো ক্ষমতা নেই আবাসন ব্যবসায়ীদের এই শীর্ষ সংগঠনটির। অবশ্য রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী, বিভিন্ন অপরাধের দায়ে রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানের সর্বনিম্ন এক বছরের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। এ আইনে প্রকল্প বাস্তবায়নকালে ক্রেতা ও ডেভেলপারের মধ্যকার বিরোধ আপসের মাধ্যমে সমাধানের বিধান করা হয়েছে। সেই বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য রিহ্যাব ওই সেল গঠন করে।