চট্টগ্রামভিত্তিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রত্যাশী জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি কক্সবাজারে ‘প্রমোটিং শেল্টার আপগ্রেডেশন অ্যান্ড কমিউনিটি বিল্ডিং ফর রোহিঙ্গা রিফিউজিস অন ভাসানচর অ্যান্ড কক্সবাজার ডিস্ট্রিক্ট’ প্রকল্পে ফ্যাশন/ক্র্যাফট ডিজাইনার (প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট) পদে কর্মী নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা ই-মেইল বা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম: ফ্যাশন/ক্র্যাফট ডিজাইনার (প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট

পদসংখ্যা: ১

যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: প্রোডাক্ট ডিজাইন, ক্র্যাফটস, আর্ট অ্যান্ড ডিজাইন বা এ ধরনের বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্টে অন্তত পাঁচ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ক্র্যাফট–বেজড প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্টের প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট টুলস ও মোথোডলজি বিষয়ে দক্ষতা থাকতে হবে। যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে।

চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক (চুক্তির মেয়াদ বাড়ার সম্ভাবনা আছে)

কর্মস্থল: উখিয়া, কক্সবাজার

বেতন ও সুযোগ-সুবিধা: মাসিক বেতন ৬১,৭২৩ টাকা। এ ছাড়া প্রভিডেন্ট ফান্ড, মাসিক বোনাস, যোগাযোগ ও ভ্রমণ ভাতা দেওয়া হবে।

আবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীরা ই-মেইল বা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে এই লিংক থেকে নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জেনে Apply Online বাটনে ক্লিক করে আবেদন করা যাবে। এ ছাড়া [email protected] এই ঠিকানায় কভার লেটার, সদ্য তোলা ছবিসহ সিভি ই-মেইল করা যাবে।

আবেদনের শেষ সময়: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।

আরও পড়ুনজীবন বীমা করপোরেশনে চাকরি, নবম গ্রেডে পদ ৫৯১০ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প র ড ক ট ড ভ লপম ন ট ড জ ইন

এছাড়াও পড়ুন:

‘তিনটে ছেলে-মেয়ে এতিম হয়ে গেছে, স্বামীর হত্যাকারীদের বিচার চাই’

রাজকী বেগমের চোখের সামনে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। তাঁর ছেলেমেয়েদেরও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আহাজারি করতে করতে রাজকী বেগম বলছিলেন, ‘আমার তিনটে ছেলে-মেয়ে এতিম হয়ে গেছে, আমার স্বামী হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই।’

নড়াইলের কালিয়া উপজেলার শিলিমপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত শনিবার সকালে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রাজকী বেগমের স্বামী হাসিম মোল্যা (৩৮)। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল রোববার বিকেলে গ্রামের বাড়িতে হাসিম মোল্যার মরদেহ এসে পৌঁছায়। আসরের নামাজ পর জানাজা শেষে স্থানীয় বাগমারা কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কালিয়ার হামিদপুর ইউনিয়নের শিলিমপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শনিবার সকালে ঠান্ডু মোল্যা ও জনি মোল্যা পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের ১৩ জন ও ২ পুলিশ সদস্য আহত হন৷ স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে গুরুতর আহত জনি মোল্যা ও তাঁর ভাই হাসিম মোল্যাকে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসিম মোল্যা মারা যান। ওই ঘটনায় সিরাজ মোল্যা ও আজিজার শেখ নামের দুজনকে ১টি একনলা বন্দুক, ২০টি গুলিসহ আটক করা হয়।

গতকাল বিকেলে শিলিমপুরে গিয়ে দেখা যায়, এলাকার পরিবেশ থমথমে। নিহত ব্যক্তির প্রতিপক্ষ ঠান্ডু মোল্যা পক্ষের কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর ও পোড়ানো হয়েছে। মরদেহ আসার খবরে আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় লোকজন ভিড় করেছেন হাসিম মোল্যাদের বাড়িতে। অঝোরে কাঁদছেন বৃদ্ধ মা জাহিদা বেগম। তাঁর পাশেই কাঁদছেন হাসিম মোল্যার স্ত্রী রাজকী বেগম।

রাজকী বেগমের অভিযোগ, বাড়ির পাশে তাঁর সামনেই প্রতিপক্ষের লোকজন স্বামী ও সন্তানকে কুপিয়েছিলেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বামী মারা গেছেন। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে রাজকী বেগম বলেন, ‘আমার সামনেই ওরা (প্রতিপক্ষ) স্বামীর মাথায় কোপ দেয়, হাত কেটে ফেলে। আমি কইছি, আর মারিস না, আমার কথা শুনল না। পাশেই আমার সন্তানরেও ওরা কোপাইয়ে ফেলাই থুইছে। ওই সময় আমার কেয়ামত হয়ে যাচ্ছে। আমি স্বামীর কাছে আসব, নাকি সন্তানের কাছে যাব। আমার ছেলের এক পায়ে তিনটে কোপ দেছে। আমি এসবের বিচার চাই।’

নিহত হাসিম মোল্যার বোন নাজনীন আক্তার বলেন, ‘প্রতিপক্ষ আমার এক ভাইয়ের হাত কেটে দেছে, ভাতিজাকে কুপিয়েছে। আমার আরেক ভাইকে খুন করিছে যারা, তাদের ফাঁসি চাই।’

এদিকে হাসিম মোল্যার মৃত্যুর পর প্রতিপক্ষ ঠান্ডু মোল্যা পক্ষের লোকজন এলাকায় না থাকায় তাঁদের সঙ্গে কথা বলা যায়নি।

গতকাল রাত ১০টার দিকে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক। নিহত হাসিমের মরদেহ দাফন সম্পন্ন হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিবার এখনো কোনো মামলা করেনি। তবে পুলিশকে মারধর এবং অস্ত্র, গুলিসহ দুজনকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ