মেট্রোরেলে চাকরি বিধিমালা প্রণয়ন দাবি
Published: 13th, February 2025 GMT
কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার এক যুগেরও বেশি সময় হলেও মেট্রোরেল বা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের চাকরি বিধিমালা প্রণয়ন হয়নি। এতে ডিএমটিসিএলের সরাসরি উন্মুক্ত নিয়োগের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন। সমস্যা সমাধানে জনপ্রিয় এই যোগাযোগ মাধ্যমের চাকরি বিধিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন তারা।
আগামী তিন দিনের মধ্যে দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সংস্থাটির উন্মুক্ত নিয়োগের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানিয়েছে।
আরো পড়ুন:
যান্ত্রিক ত্রুটিতে মেট্রোরেল চলাচলে বিঘ্ন
প্রতি শুক্রবার মেট্রোরেল চলবে নতুন সময়ে
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকার যানজট নিরসনকল্পে ঢাকায় বসবাসরত জনগণের জন্য বহুল আকাঙ্ক্ষিত একটি পরিবহন হচ্ছে ঢাকা মেট্রোরেল। ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬ চালু হয়। মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিন লাখ যাত্রী মেট্রোরেলে ভ্রমণ করছেন।
যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা ও সুষ্ঠু ট্রেন পরিচালনার জন্য রাতদিন ২৪ ঘণ্টা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।২০১৩ সালের ৩ জুন কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এক যুগ পেরিয়ে গেলেও, অদ্যাবধি চাকরি বিধিমালা প্রণীত না হওয়ায় উক্ত প্রতিষ্ঠানে সরাসরি উন্মুক্ত নিয়োগের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বছরের পর বছর চরম বৈষম্য, স্বেচ্ছাচারিতা, অন্যায় ও জুলুমের শিকার হচ্ছেন এবং সেই সাথে পূর্ণাঙ্গ প্রাতিষ্ঠানিক বিধি বিধান না থাকায় যাত্রীসেবার মান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত করা সম্ভব হচ্ছে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী স্মারক নম্বর-২৮.
আরো উল্লেখ্য, ইতঃপূর্বে অসংখ্যবার লিখিত ও মৌখিকভাবে একটি বাস্তবসম্মত ও গ্রহণযোগ্য চাকরি বিধিমালা (অন্যান্য সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানির সাথে সমন্বয় রেখে) প্রণয়নের দাবি জানিয়ে আসলেও, বহুবার আশ্বাস প্রদান করা সত্ত্বেও দুর্ভাগ্যবশত কোনো এক অজানা কারণে ডিএমটিসিএল চাকরি বিধিমালা এখন পর্যন্ত প্রণয়ন করা হয়নি।'
এমতাবস্থায়, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ডিএমটিসিএল এর স্বয়ংসম্পূর্ণ চাকরি বিধিমালা প্রণয়ন করা না হলে ১৭ ফেব্রুয়ারির পর থেকে যেকোন সময় আমরা কঠোর কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবো। এতে করে মেট্রোরেলের সেবা থেকে সম্মানিত যাত্রীসাধারণ বঞ্চিত হলে ডিএমটিসিএল এর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণরূপে দায়ী থাকবে।
ঢাকা/হাসান/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য অন য য়
এছাড়াও পড়ুন:
দুবাই সামিটে বৈশ্বিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরলেন প্রধান বিচারপতি
দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল গভর্মেন্ট সামিটে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ দায়িত্বশীলতার সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার প্রসঙ্গে প্রয়োজনীয় রেগুলেটরি ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট প্রণয়নে বৈশ্বিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সামিটে প্রধান বিচারপতি ড. বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ কি-নোট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন। তিনি তার বক্তব্যে আধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার বিষয়ে এবং বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো তৈরিতে রেগুলেটরি ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট এবং বৈশ্বিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিশদ আলোকপাত করেন।
অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সংযুক্ত আরব আমিরাত মন্ত্রিসভার সদস্য মরিয়াম আল হাম্মাদি। অধিবেশনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা, আইনজ্ঞ ও বুদ্ধিজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান বিচারপতি তার বক্তব্যে দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অভিযোজনসক্ষম আধুনিক আইনি কাঠামো তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি উল্লেখ করেন আধুনিক বিশ্বে এআই স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, অর্থনীতি এবং প্রশাসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও এআই এর ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন নৈতিক ও আইনি চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যা মোকাবিলায় আমাদের নতুন করে প্রস্তুত হতে হবে।
তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালনার ক্ষেত্রে নাগরিকের ব্যক্তিগত অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, যে এআই এর প্রয়োগ বৈশ্বিকভাবে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম বিধায় এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে একটি সম্মিলিত নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি প্রয়োজন। তাই তিনি এ বিষয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নীতিনির্ধারক ও নেতাদের সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি রেগুলেটরি ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট প্রণয়নের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে সময়ের আবর্তে প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যেন তা সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় সে বিষয়ে বিশ্বনেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিশেষভাবে তিনি উল্লেখ করেন যে এআই কিংবা এরূপ অন্য কোনো আধুনিক প্রযুক্তির জটিলতা মোকাবিলায় এককভাবে কোনো নির্দিষ্ট দেশীয় আইনি কাঠামো যথেষ্ট নয়। এ প্রসঙ্গে তিনি সিভিল এবং কমন ল’ ফ্রেমওয়ার্কের সমন্বয়ে অভিযোজনযোগ্য আধুনিক আইনি কাঠামো গঠনের জন্য বিশ্বের আইনজ্ঞ ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এআইয়ের জন্য আধুনিক নিয়ন্ত্রণ কাঠামো শুধুমাত্র বর্তমান প্রজন্মের জন্য প্রয়োজনীয় নয়। বরং এরূপ নিয়ন্ত্রণ কাঠামো ভবিষ্যত প্রজন্মের কল্যাণও নিশ্চিত করবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ডিজিটাল যুগের জটিলতা মোকাবিলা করে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সুবিধা গ্রহণ করতে পারলে ভবিষ্যতের বিচার ব্যবস্থাও আরও সুদৃঢ় হবে। এ লক্ষ্যে প্রধান বিচারপতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার, আইন বিশেষজ্ঞ এবং প্রযুক্তিবিদদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান।