সিলেটে জাতীয় নাগরিক কমিটির বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, যারা বিশিষ্ট নাগরিকের নামে শেখ হাসিনার প্রেতাত্মাদের পক্ষে দাঁড়ানোর রাজনীতি করছেন কিংবা তাদের বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছেন তাদের ধ্বংস করার জন্য দেশের ছাত্র-জনগণই যথেষ্ট।

দল হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল ও নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানিয়ে আখতার হোসেন বলেন, অতীতে এদেশের কোনো সম্প্রদায়ের মানুষকে আওয়ামী লীগ শান্তিতে থাকতে দেয়নি। তারা বিভাজনের রাজনীতিকে জিইয়ে রেখেছিল। আমরা বাংলাদেশে একটি মধ্যমপন্থী রাজনীতি চালু করতে চাই।

আখতার হোসেন নতুন রাজনৈতিক দল গঠন প্রসঙ্গে বলেন, আমরা এমন এক রাজনৈতিক দল করবো যেখানে ন্যায় ও ইনসাফের পলিসিই হবে নতুন বন্দোবস্ত। এখানে আর কোনো বাকশাল ও ফ্যাসিবাদকে জায়গা দেওয়া হবে না।

সভায় বক্তব্য দেন নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, সিলেটের আইনজীবী জোসনা ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আসাদুল্লাহ আল গালিব, উইমেন্স মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক হোসাইন আহমদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত কামরান হোসেন, সমাজসেবক আইয়ূব করম আলী, নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও জৈবপ্রযুক্তির সেল সম্পাদক শ্যামা দেব, যুগ্ম সদস্যসচিব আল আমীন, সদস্য শওকত আলী প্রমুখ।

সভার আগে অডিটোরিয়ামে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের বিভিন্ন তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আখত র হ স ন আখত র হ স ন র জন ত কম ট র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

অসুস্থ হওয়ার পরও খালেদা জিয়া স্বৈরাচারের কাছে মাথা নত করেননি: শামা ওবায়েদ

কারাগারে যাওয়ার পর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আওয়ামী লীগ সরকার বিষ প্রয়োগ করেছিল বলে শুনতে পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) শামা ওবায়েদ। বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উনি (খালেদা জিয়া) যখন হাসপাতালে ছিলেন, তখন ওনাকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল বলেও আমরা শুনতে পেয়েছি। সেই অবস্থায় উনি আরও অসুস্থ হয়েছেন। সেই অসুস্থ হওয়ার পরেও উনি স্বৈরাচারের কাছে মাথা নত করেননি।’

ফরিদপুরে ইফতার পার্টি–পূর্ব এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন শামা ওবায়েদ। জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার হোসেনের ব্যক্তিগত উদ্যোগে আজ রোববার ফরিদপুর শহরের অম্বিকা ময়দানে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জুলফিকার হোসেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আফজল হোসেন প্রমুখ।
শামা ওবায়েদ বলেন, ‘আমাদের ১৫ বছর, ১৭ বছরের যে যুদ্ধ, যে কষ্ট, যে অত্যাচার, যে অনাচার, যে ত্যাগ, যে তিতিক্ষা সবচেয়ে বেশি ত্যাগ যাঁরা করেছেন, আমি বলব গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। যিনি অসুস্থ অবস্থায় ছিলেন। ওনাকে একটি মিথ্যা মামলায় সম্পূর্ণ বিনা দোষে ছয় বছর জেল খাটতে হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ওনাকে (খালেদা জিয়া) ও ওনার পরিবারকে বারবার বলা হয়েছিল যে উনি যদি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চান, তাহলে ওনাকে জামিন দেওয়া হবে। কিন্তু তিনি অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি।’

শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি বলে উল্লেখ করে শামা ওবায়েদ বলেন, ‘সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, আমাদের মধ্যে ১৫ বছর যাঁরা ছিলেন না, যাঁদের আমরা দেখিনি, যাঁরা কখনো কোনো আন্দোলন–সংগ্রামে ছিলেন না, তাঁদের ঘাড়ের ওপর সওয়ার হয়ে আওয়ামী লীগ ফিরে আসতে চাচ্ছে। আমাদের সে জন্য সজাগ থাকতে হবে। সব রকম ষড়যন্ত্রের ঊর্ধ্বে থেকে আমাদের দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হবে, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হবে, জনগণের পাশে থাকতে হবে।’

বাংলাদেশ এখন ‘সবচেয়ে বড় বিপদ অতিক্রম করছে’ মন্তব্য করে বিএনপির নেত্রী শামা ওবায়েদ বলেন, ‘সবচেয়ে ক্রান্তিকাল আমরা পার করছি। এখনো আমরা ভোটাধিকার পাইনি। আমরা এখনো একটা ভোট দিতে পারিনি। নির্বাচন ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের যে যুদ্ধ, সেই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।’

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে শামা ওবায়েদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের এই দাবি থাকুক, হাসিনামুক্ত, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে আর কোনো নারী নির্যাতন চাই না। আর কোনো অত্যাচার ও অনাচার চাই না। আর কোনো ডাকাতি চাই না। আর কোনো খুন–গুম দেখতে চাই না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ