ডিএনএ পরীক্ষায় গণ–অভ্যুত্থানে নিহত একজনের পরিচয় মিলেছে
Published: 13th, February 2025 GMT
ডিএনএ পরীক্ষার (প্রোফাইলিং) মাধ্যমে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁর নাম মো. হাসান (১৯)। তিনি কাপ্তানবাজারে ইলেকট্রনিক পণ্যসামগ্রীর একটি দোকানের কর্মচারী ছিলেন।
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক মোরশেদ আলম বলেন, নিহত তরুণকে নিজেদের সন্তান বলে দাবি করেছিল একটি পরিবার। পরে তাদের কাছ থেকে ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। আজ মরদেহের ডিএনএর সঙ্গে এর মিল পাওয়া যায়। এতে এই তরুণের নাম হাসান বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সময়ে নিহত অজ্ঞাতনামা সাত ব্যক্তির মরদেহ মর্গে রয়েছে। তাঁদের একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাকি এক নারীসহ অন্যদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, জুলাই আন্দোলনের সময় থেকে নিখোঁজ স্বজনের খোঁজে দুই পরিবার এসেছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে। এর মধ্যে হাসানের পরিবার ১২ জানুয়ারি একটি মরদেহ তাদের পরিবারের সদস্যের বলে দাবি করেছিল। পরদিন তাঁর মা–বাবার ডিএনএর নমুনা নেওয়া হয়। সেই নমুনা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) পাঠানো হয়েছিল।
মর্গ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসানের পরিবার মরদেহ নেওয়ার জন্য আইনি প্রক্রিয়া শেষ করেছে। আগামীকাল মরদেহ মর্গ থেকে নেওয়া হবে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালিদ মুনসুর জানান, নিহত হাসানের মরদেহটি যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। বাকি ছয়টি মরদেহের মধ্যে একটি যাত্রাবাড়ী থানা–পুলিশ তদারক করছে, অন্য পাঁচটি মরদেহের পরিচয় শনাক্তে শাহবাগ থানা–পুলিশ কাজ করছে।
পরিচয় শনাক্ত হওয়া মো.
পারিবারিক সূত্র জানায়, ভোলা সদর উপজেলার বাগচির গ্রামের দিনমজুর মনির হোসেন ও মা গোলেনুর বেগমের ছেলে মো. হাসান। তিনি যাত্রাবাড়ীর সুতি খালপাড় বালুর মাঠ এলাকায় থাকতেন। কাজ করতেন কাপ্তানবাজারে ইলেকট্রনিক পণ্যের একটি দোকানে। দুই ভাই, দুই বোনের মধ্যে হাসান ছিলেন সবার বড়।
চাচা নুরে আলম প্রথম আলোকে জানান, আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাসানের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র পর পর ব র ত হওয় মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত একজনের মৃত্যু
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত জসিম উদ্দিন বেপারী মারা গেছেন।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান। এ নিয়ে সংঘর্ষের ওই ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দুইজনে দাঁড়িয়েছে।
জসিম উদ্দিনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন।
আরো পড়ুন:
মাদারীপুরের রাজৈরে ১৪৪ ধারা জারি
মুন্সীগঞ্জে বিএনপির আনন্দ শোভাযাত্রায় সংঘর্ষ
আরো পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে ২ পক্ষের সংঘর্ষে নিহতের জেরে ১৫ বাড়িতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
এর আগে সংঘর্ষের ঘটনায় মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম সাইজ উদ্দিন দেওয়ান। তিনি স্পেন প্রবাসী এবং স্থানীয় বিএনপির কর্মী ছিলেন।
নিহত জসিম উদ্দিন রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড চরবংশী গ্রামের হজল করিমের ছেলে। তিনি পেশায় ঢালাই শ্রমিক ছিলেন। তিনি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী ও রায়পুর উপজেলা বিএনপির সদস্য ফারুক কবিরাজের অনুসারী ছিলেন বলে স্বজনরা জানান।
নিহতের ছোট ভাই কাউছার হোসেন বলেন, “গত ৭ এপ্রিল কৃষকদল নেতা জিএম শামীম ও মোস্তফা গাজীর লোকজন আমার ভাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। পরে তাকে ঢাকার একটি হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। তার পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃত্যুর সঙ্গে লড়তে গিয়ে আমার ভাই পরাজিত হয়েছে। তিনি মারা গেছেন। তার মরদেহ বাড়িতে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।”
আরো পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবক দল ও কৃষক দলের সংঘর্ষে নিহত ১
রায়পুর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন বলেন, “জসিম নামে একজনের মৃত্যুর খবর আমরা শুনেছি। তার বাড়িতে যাব। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে সাইজ উদ্দিন হত্যা মামলায় একজন গ্রেপ্তার আছে।”
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ