গেণ্ডারিয়া কিশলয় কচি-কাঁচার মেলার ২১তম চারুকলা প্রদর্শনী
Published: 13th, February 2025 GMT
বসন্ত ও একুশকে সাথে নিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গেণ্ডারিয়া কিশলয় কচি-কাঁচার মেলা পরিচালিত কিশলয় চারুকলা কেন্দ্রের ২১তম বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী-২০২৫।
প্রদর্শনীতে মেলার চারুকলা বিভাগের ১২টি শ্রেণির ১৭৪ জন শিক্ষার্থীর ১৭৪টি ছবি প্রদর্শিত হবে।
১৪ ফেব্রুয়ারি হতে শুরু হওয়া এই আয়োজনের প্রথম দিন সকাল ৮টায় থাকছে মেলার কিশলয় ললিতকলা কেন্দ্রের শিল্পীদের পরিবেশনায় ‘বসন্ত উৎসব ১৪৩১’।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন গেণ্ডারিয়া কিশলয় কচি-কাঁচার মেলার সভাপতি এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ এম শফিউর রহমান দুলু। বসন্ত উৎসব গ্রন্থনা ও পরিচালনা করবেন কিশলয় ললিতকলা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ গোলাম জিলানী।
একই দিন সকাল ১০টায় ২১তম বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী ২০২৪-এর উদ্বোধন করবেন বরেণ্য চিত্রশিল্পী তাজউদ্দিন আহমেদ ও টি এ কামাল কবির।
১৫ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩টা থেকে অনুষ্ঠিত হবে ‘শিশুর কন্ঠে গল্প শুনি’ শিরোনামে গল্প বলা প্রতিযোগিতা। গেন্ডারিয়া কিশলয় কচি-কাঁচার মেলা প্রতিষ্ঠিত কামাল স্মৃতি পাঠাগার আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় গেণ্ডারিয়ার ১৭টি স্কুলের প্রায় ৪০০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করবে। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করবেন পাঠাগারের সভাপতি আবু তাহের বকুল।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টা থেকে মেলা প্রাঙ্গণে শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। কার্যক্রমটি পরিচালনা করবেন বিজ্ঞাপন নির্মাতা সৈয়দ নাবিল আশরাফ।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় আয়োজন করা হয়েছে ‘শিশুর কন্ঠে গল্প শুনি’ গল্প বলা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের পরিচালক আফসানা বেগম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও গ্রন্থাগার বিষয়ক গবেষক আলীম-উজ-জামান এবং বাংলাদেশ বেসরকারি গ্রন্থাগার সংহতির সদস্য সচিব মো.
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সকাল ৮টায় প্রভাত ফেরি এবং গেণ্ডরিয়ার ধূপখোলা মাঠের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। কার্যক্রমটির নেতৃত্ব দেবেন গেণ্ডারিয়া কিশলয় কচি-কাঁচার মেলা পরিচালিত কচি-কাঁচা বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষিকা ফাহমিদা কুমকুম এবং কিশলয় অবৈতনিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বেগম রাবেয়া মুর্শিদা।
ধূপখোলা শহীদ মিনারে পুষ্প স্তবক অর্পনে গেণ্ডারিয়ার বিভিন্ন শিক্ষা এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সদস্যরা।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় ২১তম বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী ২০২৪-এর পুরস্কার ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে। এই আয়োজনে থাকবে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার সভাপতি খোন্দকার মো. আসাদুজ্জামান, সভাপতিত্ব করবেন কিশলয় চারুকলা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ সাধনা ইসলাম। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের গ্রন্থনা ও পরিচালনা করবেন মেলার প্রচার সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান খান।
প্রদর্শনী উপলক্ষে মেলার সাধারণ সম্পাদক নুসরাত ইয়াসমিন রুম্পা সম্পাদিত একটি স্মরণিকা প্রকাশিত হয়েছে।
গেণ্ডারিয়া কিশলয় কচি-কাঁচার মেলা প্রাঙ্গনে প্রদর্শনীটি ১৪-২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা এবং শুক্র ও শনিবার সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।
ঢাকা/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন প রদর শ চ র কল পর চ ল করব ন
এছাড়াও পড়ুন:
আরএসএসকে ‘বিষ’ বলে উল্লেখ করলেন মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্র তুষার
রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস) সম্পর্কে নিজের মন্তব্য থেকে এক চুলও সরতে নারাজ মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্র তুষার গান্ধী। গতকাল শুক্রবার তিনি বলেছেন, আরএসএসের আচরণ তাঁকে আরও দৃঢ় করে তুলেছে। তারা কত বড় বিশ্বাসঘাতক, তা আরও জোরালোভাবে তিনি প্রমাণ করবেন।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে আরএসএসকে ‘বিষ’ বলে অভিহিত করেছিলেন তুষার। সেই মন্তব্যের জন্য আরএসএস তাঁকে দুঃখ প্রকাশ করতে বলেছিল। বলেছিল ওই মন্তব্য প্রত্যাহার করে নিতে। কিন্তু তুষার বলেছিলেন, ‘আমি তা করি না, করবও না। বরং তাদের আচরণ আমাকে আরও বেশি উদ্বুদ্ধ করেছে বিশ্বাসঘাতকদের চরিত্র উদ্ঘাটনে।’
মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্র বলেছিলেন, ‘এই লড়াই স্বাধীনতা সংগ্রামের চেয়েও বেশি জরুরি। আমাদের শত্রু এখন একটাই। সেই শত্রুর মুখোশ খুলে দেওয়া দরকার।’
এ সপ্তাহে কেরালার তিরুবনন্তপুরম জেলার নেয়াট্টিনকারায় বিশিষ্ট গান্ধীবাদী গোপীনাথন নায়ারের এক আবক্ষ মূর্তির উন্মোচন উপলক্ষে তুষার গান্ধী বলেছিলেন, ‘বিজেপিকে আমরা পরাজিত করতে পারব। কিন্তু আসল বিষ হলো আরএসএস। তারা এই দেশের মন ও আত্মা বিষিয়ে দিতে চাইছে। এটাই আমাদের ভয়। মন ও আত্মা বিষিয়ে গেলে কিছুই আর অবশিষ্ট থাকবে না।’
ওই মন্তব্যের পর আরএসএস ও বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা তুষার গান্ধীর গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন। রাজ্যের শাসক সিপিএম ও বিরোধী দল কংগ্রেস বিজেপি–আরএসএসের ওই আচরণের নিন্দা করেছিল।
সেই বিক্ষোভের পর গতকাল শুক্রবার তুষার গিয়েছিলেন কোচির কাছে আলুভা নামে এক জায়গায়, যেখানে ইউনিয়ন খ্রিষ্টান কলেজে এক শ বছর আগে গান্ধীজি গিয়েছিলেন। সেই ঘটনার শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তুষার গান্ধী তাঁর বলা ‘বিষ’–এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, আরও দৃঢ়ভাবে তিনি আরএসএসের মোকাবিলা করবেন। তাদের চরিত্র উদ্ঘাটন করবেন।
তুষার গান্ধী বলেছিলেন, গান্ধীজির হত্যাকারীর উত্তরসূরিরা এবার হয়তো তাঁর মূর্তি আক্রমণ করবে। তিনি বলেছিলেন, ‘আমার ভয় হয়, এবার হয়তো তারা আমার প্রপিতামহের মূর্তিতে গুলি ছুড়বে। তারা স্বভাবগত অপরাধী।’
তুষার গান্ধীর মন্তব্যের প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের নানা জায়গায় বিজেপি–আরএসএসের কর্মীরা সক্রিয় বিক্ষোভ দেখায়। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছিলেন, ওই বিক্ষোভ দেশের গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে।
বিজেপি–আরএসএসের বিক্ষোভের নিন্দা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ওরা মানুষের বাক্স্বাধীনতা হরণ করতে চায়। গণতান্ত্রিক সমাজে তা হতে দেওয়া যায় না। এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই আরও বলেছিলেন, গান্ধীজির হত্যাকারী ও এখনকার বিক্ষোভকারীদের মনোভাব এক এবং অভিন্ন। এর বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকেই রুখে দাঁড়াতে হবে।
বিরোধী নেতা কংগ্রেসের ভি ডি সতীশন এই প্রসঙ্গে বলেছেন, আরএসএস–বিজেপির বিক্ষোভ মহাত্মা গান্ধীর অবমাননা। রাজ্য সরকারের উচিত এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।
সতীশন বলেন, ‘তুষার গান্ধী ভুল কিছু বলেননি। আরএসএস ক্যানসার। দেশের শরীর ও মনে এই ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ছে। তুষার সত্য কথাই বলেছেন। তাই, তাঁকে আক্রান্ত হতে হচ্ছে।