বন্দর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন করলেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান। 

বৃহস্পতিবার ( ১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে বন্দরের মা জেনারেল হাসপাতালের উদ্যোগে ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন করা হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বি এম ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আজিজুর রহমান, বন্দর গালস্ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, বন্দর মা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ও বন্দর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সিদ্দিকী, পরিচালক কাজী শাহীন,  ম্যানজার সালমান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। 

এসময়ে প্রায় তিশত শিক্ষার্থী চিকিৎসা সেবা গ্রহন করেন। রোগী দেখেন ডাঃ মাহফুজুর রহমান  ( মেডিসিন), ডাঃ শাকিল আহমেদ( মেডিসিন), শারমি সুলতানা সাথী (গাইনি), নুর জাহান খান মমো ( গাইনি) প্রমুখ।

জানাগেছে, পর্যায়ক্রমে হাজী ইব্রাহিম আলম চান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, খোরশেদুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়, সামসুজ্জোহা স্কুল, পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়, নবীগঞ্জ গালস্ স্কুল, বি এম ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বন্দর শিশুবাগ বিদ্যালয়, বন্দর শিশু নিকেতন,কলাগাছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, মীরকুন্ডি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফ্রী চিকিৎসাসেবা দেয়া হবে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ স ক ল অ য ন ড কল জ র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

এত বড় লোকসানের বোঝা সইবেন কী করে

ছোট্ট একটি ভূখণ্ডে সাড়ে সতেরো কোটি মানুষের খাবারের জোগান নিশ্চিত করা যেকোনো সরকারের জন্যই বিশাল চ্যালেঞ্জের কাজ। রাজনৈতিক সংকট, অর্থনৈতিক টানাপোড়েন, মূল্যস্ফীতি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি—এ সবকিছু ছাপিয়ে বড় কোনো বিপর্যয় ছাড়াই এ দেশের মানুষ এখনো টিকে আছে, তার সবচেয়ে বড় অবদান কৃষকের। অথচ দেশের নীতিনির্ধারকদের কাছে সবচেয়ে অবহেলার শিকার হন তাঁরা। এবার আলুচাষিরা তাঁদের উৎপাদিত আলু নিয়ে যে সীমাহীন দুর্ভোগ ও লোকসানের মুখে পড়েছেন, তাতে মনে হতেই পারে, আলু উৎপাদন করে তাঁরা কি অপরাধ করে ফেলেছেন?

আমনের মৌসুমে দফায় দফায় বন্যা হওয়ায় চালের উৎপাদন কিছুটা কম হওয়ায় বাজারে চালের দাম এখন গত বছরের তুলনায় কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি। এ অবস্থাতেও শীতের সবজির ওপর ভর করে প্রায় দুই বছর পর গত মাসে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি ১০-এর নিচে নেমেছে। এ ক্ষেত্রেও প্রধান অবদান কৃষকের। কিন্তু শীতের সবজি চাষে এ বছর তাঁরা বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছেন। এবার পেঁয়াজ উৎপাদনেও কৃষকেরা চমক দেখিয়েছেন, ফলে ভোক্তারা তুলনামূলক কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারছেন। কিন্তু পেঁয়াজেও কৃষকেরা উৎপাদন খরচ তুলতে পারেননি। আলুর ক্ষেত্রেও কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদন খরচও তুলতে পারছেন না।

এবার যে আলুর উৎপাদনও বেশি হবে, সেই পূর্বাভাস আগে থেকেই পাওয়া যাচ্ছিল। আগাম বুঝতে পেরে হিমাগারের মালিকেরা সিন্ডিকেট করে হিমাগারের ভাড়া বাড়িয়ে দেন। কৃষকেরা মানববন্ধন করে, রাস্তায় আলু ফেলে প্রতিবাদ করে হিমাগারের ভাড়া কমানোর দাবি জানান। সরকার কিছুটা ভাড়াও কমান। কিন্তু প্রথম আলোসহ অন্যান্য গণমাধ্যমের খবর থেকে জানা যাচ্ছে, আলু সংরক্ষণের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে হিমাগারের মালিকেরা কৃষকদের চেয়ে ব্যবসায়ীদের অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। আলু সংরক্ষণের অনুমতিপত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে কৃষকেরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত কতটা আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করতে পারবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অধিকাংশ আলুচাষি।

হিমাগারের ভাড়া বৃদ্ধি এবং হিমাগারে সংরক্ষণের অনুমতিপত্র না পাওয়ায় কৃষকদের মাঠ থেকেই তাঁদের আলু বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। ১ কেজি আলু উৎপাদনে যেখানে কৃষকদের খরচ হয়েছে ২২ থেকে ২৫ টাকা, সেখানে মাঠ থেকে মাত্র ১৪ টাকায় বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। এত বড় লোকসানের বোঝা তাঁরা সইবেন কী করে!

শীতের সবজি, পেঁয়াজ ও আলুর দাম এতটা পড়ে যাওয়ার পেছনে হঠাৎ করেই হিমাগারের ভাড়া বৃদ্ধির প্রসঙ্গটি উঠেছে। সরকার যদি একের পর এক ফসলে কৃষকের এই ক্রমাগত লোকসানের দিকে নজর না দেয়, তাহলে স্বল্প মেয়াদে বাজারে স্বস্তির দেখা মিললেও দীর্ঘ মেয়াদে বড় সংকট তৈরি করবে। হিমাগারের মালিকদের সিন্ডিকেটের কারণে কেন হাজার হাজার কৃষক লোকসানের মুখে পড়বেন? সরকারকে অবশ্যই কৃষকদের প্রতি মনোযোগ দিতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ