গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) সাবেক কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক যুগ্ম কমিশনার মো. শহীদুল্লাহকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালত মোল্যা নজরুল ইসলামকে এবং অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো.

ছানাউল্ল্যাহর আদালত শহীদুল্লাহকর কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, এদিন রিমান্ড শেষে গুলশান থানার কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী ফাহিম হোসেন জুবায়েরকে হত্যাচেষ্টা মামলায় নজরুল ইসলামকে এবং যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় শহীদুল্লাহকে রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা। শুনানি শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী জেলা পুলিশের সহায়তায় সারদার পুলিশ একাডেমি থেকে মোল্যা নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের দিন তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ ছাড়া এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানী রমনা থেকে শহীদুল্লাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। ওইদিনই তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

নজরুলের মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ জুলাই গুলশান থানাধীন এলাকায় কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী ফাহিম হোসেন জুবায়ের (২০) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন। এ সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। এ ঘটনায় গত ৫ অক্টোবর তার বাবা মো. হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেন। মামলায় মোল্যা নজরুলসহ ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরো ১৫০/২০০ আসামি রয়েছে।  

শহীদুল্লাহর মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি ঢাকায় মহাসমাবেশ ডাকে। মহাসমাবেশকে পণ্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। হামলায় যুবদল নেতা শামীম নিহত হন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়।

ঢাকা/মামুন/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নজর ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

পয়লা বৈশাখে থাকছে র‌্যাবের বিশেষ নিরাপত্তা 

বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র‌্যাব। এমনকি নববর্ষ উপলক্ষে কেউ যেন অপপ্রচার চালাতে না পারে সেজন্য সাইবার ওয়ার্ল্ডেও মনিটর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে রমনা বটমূলে নববর্ষের নিরাপত্তা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

সারা দেশে ২২৪টি পিকআপ টহল, ১২২টি মোটরসাইকেল টহলসহ সর্বমোট ৩৪৬টি টহল ও সাদা পোশাকে ৪১৩ জন সহ সর্বমোট ২ হাজার ৪৪৯ জন র‌্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে বলেও তিনি জানান।

র‌্যাবের মহাপরিচালক বলেন, “বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানসমূহে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কোনো উগ্রবাদী গোষ্ঠী, অন্যান্য নিষিদ্ধ সংগঠন এবং রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী কুচক্রী মহল যাতে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে না পারে সে লক্ষ্যে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। ”

“বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে টিএসসি, শাহবাগ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, হাতিরঝিল, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, শিশু একাডেমি এবং রমনা বটমূলসহ ঢাকার যেসকল স্থানে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, সে সকল স্থানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চেকপোস্ট, টহল ও অবজারভেশন পোস্ট স্থাপনসহ বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে র‌্যাবের পক্ষ থেকে।”  

বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে র‌্যাবের বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, “বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সুইপিং পরিচালনার পাশাপাশি র‌্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড যেকোনো উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রয়েছে। দেশব্যাপী নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠান চলাকালীন সার্বিক নিরাপত্তার জন্য থাকবে র‌্যাবের কন্ট্রোল রুম, পেট্রোল, মোটরসাইকেল পেট্রোল, চেকপোস্ট ও সিসিটিভি মনিটরিং। এছাড়া, যেকোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফোর্স রিজার্ভ থাকবে।”

গোয়েন্দা নজরদারি ও সাইবার জগতে মনিটরিং বৃদ্ধির মাধ্যমে নাশকতাকারীদের যেকোন ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিতে র‌্যাব প্রস্তুত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ভার্চুয়াল জগতে নববর্ষকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের গুজব, উস্কানিমূলক তথ্য, মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য র‌্যাব সাইবার মনিটরিং টিম অনলাইনে সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত রাখছে।”

বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে আগত নারীদের উত্যক্ত, ইভটিজিং বা যৌন হয়রানি রোধকল্পে মোবাইলকোর্টসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি ‍উল্লেখ করেন।  

র‌্যাবের মহাপরিচালক বলেন, “কেউ কোনো ধরনের হেনস্থার স্বীকার হলে অবশ্যই কর্তব্যরত র‌্যাব সদস্যদেরকে জানাবেন। আমরা কঠোর হস্তে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।”

ঢাকা/এমআর/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ