ঝগড়া দেখতে গিয়ে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে কিশোরী নিহত
Published: 13th, February 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগরে প্রতিবেশীদের দ্বন্দ্ব দেখতে গিয়ে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে ময়না (১২) নামে এক কিশোরী নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার মনিপুর এলাকার আতকাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ময়না আতকাপাড়ার ফারুক মিয়ার মেয়ে।
নিহতের স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় নিজ এলাকার বাড়ির সামনে প্রতিবেশীদের ঝগড়া দেখতে গিয়ে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ময়না। তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
মাইনুদ্দীন/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাতক্ষীরায় শ্রেণিকক্ষে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে শিশুশিক্ষার্থীর মৃত্যু
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে শ্রেণিকক্ষে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে ছয় বছরের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের জয়নগর প্রি-ক্যাডেট স্কুলে ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত রাফি (৬) ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণিতে পড়ত। সে খুলনার কয়রা উপজেলা সদরের আনিছুর রহমান ও সেলিনা আক্তার দম্পতির ছেলে। তার বাবা আনিসুর পেশায় গ্রামীণ চিকিৎসক; মা সেলিনা এনজিওতে চাকরি করেন। মায়ের চাকরির সুবাদে রাফি শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে থাকত।
জয়নগর প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুল ওহাব জানান, বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হওয়ার আগে রাফি কোচিংয়ের ক্লাস করছিল। সেখানে সে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। শিক্ষক ও সহপাঠীরা তাকে অফিসকক্ষে নিয়ে যায়। স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাফিকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্কুলের শিক্ষক তাজুন নাহার বলেন, ‘কোচিং করার সময় মাথা ব্যথা করছে বলে জানিয়েছিল রাফি। তখন আমরা তাকে আলাদা করে বসিয়ে রাখি এবং মুঠোফোনে রাফির মাকে বিষয়টি জানাই। তার মা একটা ভ্যানে করে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দিতে বলেন। কিছুক্ষণ পর রাফি একবার বমি করে অচেতন হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।’
শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাকির হোসেন বলেন, রাফি নামে এক স্কুলছাত্রকে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল। হাসপাতালে আনার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে, এ বিষয় তিনি কিছু বলতে চাননি।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির মোল্লা বলেন, হাসপাতাল থেকে শিশুশিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পেয়ে ওই বিদ্যালয়ে একজন উপপরিদর্শককে পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।