কিশোরীদের স্বাস্থ্যসচেতনতায় ‘আগামীর অনন্যা’ আয়োজন
Published: 13th, February 2025 GMT
কিশোরীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে কিশোর আলো ও ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিনের আয়োজনে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর লেক সার্কাস কলাবাগান বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ‘আগামীর অনন্যা’ নামে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রথম আলোর ম্যাগাজিন কিশোর আলো শিশু-কিশোরদের মানসিক বিকাশে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এরই অংশ হিসেবে এ আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে চিকিৎসক পাপিয়া আফরোজ উপস্থিত কিশোরীদের পিরিয়ডবিষয়ক বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন এবং এসব সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন।
এরপর মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিনের পক্ষ থেকে উপস্থিত কিশোরীদের ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন সৌজন্য হিসেবে দেওয়া হয়।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মুর্শেদা খাতুন বলেন, আগামীর প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে পড়াশোনার পাশাপাশি সুস্বাস্থ্য বজায় রেখে ভালো মানুষ হতে হবে এবং সৃজনশীল বই পড়তে হবে।
ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিনের পক্ষ থেকে এমজিআইয়ের হাইজিন প্রোডাক্টের জাতীয় বিক্রয় ব্যবস্থাপক তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘মেয়েরা মায়ের জাতি, মা ভালো থাকলে পরিবার ভালো থাকে, সংসার ভালো থাকে, একটা দেশ ভালো থাকে। তাই প্রতিটি মেয়ের উচিত নিজেদের যত্ন নেওয়া।’ পাশাপাশি তিনি ‘ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন’-এর বিভিন্ন ভালো দিক আলোচনা করেন।
প্রথম আলো ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ও যুব কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক মুনির হাসান কিশোরীদের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হতে জোর দেন। পাশাপাশি সাহিত্যচর্চা ও বিজ্ঞানচর্চা করতে সবাইকে উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, ‘জীবনে টিকে থাকতে হলে যেমন ভালোভাবে পাঠ্যপুস্তক পড়াতে হবে, তেমনি আমাদের আশপাশে কী কী হচ্ছে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।’
অনুষ্ঠানে লেক সার্কাস কলাবাগান বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে একটি ‘সুরক্ষা বক্স’ স্থাপন করা হয়, যেখান থেকে স্কুলের কিশোরীরা সাশ্রয়ী মূল্যে ফ্রেশ অনন্যা স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনতে পারবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ র শ অনন য অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
নালা নির্মাণকাজে নানা অনিয়ম
সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় নালা নির্মাণকাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। দরপত্রে উল্লিখিত নিয়মে কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় গত কয়েক দিন ধরে হাসমত এন্ড ব্রাদার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণকাজ শুরু করে। সেই কাজে অনিয়ম ধরা পড়ে। এতে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে নির্মাণকাজে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় পানি নিষ্কাশনের জন্য ফুট ওভারব্রিজ থেকে শুরু করে শহীদ মজনু পার্ক পর্যন্ত নালা ও গুরুত্বপূর্ণ চারটি স্থানে আরসিসি ঢালাইয়ের জন্য দরপত্র আহ্বান করে। পরে হাসমত এন্ড ব্রাদার্স নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকায় কার্যাদেশ পায়। ২০ দিন আগে তারা নির্মাণকাজ শুরু করে। নির্মাণকাজের শুরু থেকে এ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজে অনিয়ম করে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, কার্যাদেশ মেনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণকাজ করছে না। নালার মাটি সরিয়ে তারা বিক্রি করে দিয়েছে। নালার দু’পাশের দেয়াল ঢালাইয়ের পর ফাঁকা অংশে নালা থেকে তোলা মাটি ব্যবহার করে ভরাট করার কথা থাকলেও তা না করে পাশের খাল থেকে পলিথিন মিশ্রিত কাদা মাটি এনে ভরাট করা হচ্ছে। নালা নির্মাণকাজে ৬ ইঞ্চি স্লাব ও ঢালাই দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে ৫ ইঞ্চি। ১২ মিলিমিটার রডের স্থলে ব্যবহার হচ্ছে ১০ মিলিমিটার রড। নালার সলিংয়ে তিন ইঞ্চি সিসি ঢালাই না দিয়ে দেওয়া হয়েছে মাত্র এক ইঞ্চি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ মেনে যেভাবে কাজ করার কথা, সেভাবে কাজ করছে না। ৭-৮টি গ্রামে পানি নিষ্কাশনের জন্য এ নালা ব্যবহার করা হবে। নিম্নমানের কাজ করা হলে অল্প সময়ের মধ্যে তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ নির্মাণকাজে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঠিক নজরদারি থাকলে অনিয়ম হতো না।
হাবিবপুর গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান রিটন বলেন, নালা ঢালাইয়ে কিউরিং না করেই আবর্জনা দিয়ে ঢালাইয়ের ফাঁকা স্থান ভরাট করা হচ্ছে। অনিয়ম বন্ধে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
বাড়ি মজলিস গ্রামের আশরাফুল আলম বলেন, নির্মাণকাজে অনিয়ম থাকলে নালাটি বেশিদিন স্থায়ী হবে না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম রোধে প্রশাসনের নজরদারি দরকার বলে মন্তব্য তাঁর।
হাসমত এন্ড ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী হাসমত আলী হাসু অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কার্যাদেশ মেনে নালার নির্মাণকাজ করছেন। নির্মাণকাজে অনিয়ম হচ্ছে না। কার্যাদেশে ঢালাইয়ের ফাঁকা অংশে বালুর ব্যবহারের উল্লেখ নেই।
সোনারগাঁর ইউএনও ফারজানা রহমানের মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে খুদে বার্তা পাঠালেও সাড়া মেলেনি।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আল রাজী নিলয় বলেন, ঠিকাদারি কাজে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই। কার্যাদেশ মেনেই কাজ করতে হবে। অনিয়মের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।