আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও বিচারের দাবিতে ফরিদপুরে খাটিয়া মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ৭টার দিকে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে লাশ বহনকারী খাটিয়া নিয়ে মিছিল বের করা হয়। মিছিল থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।

মিছিলটি মুজিব সড়ক হয়ে আলীপুর ইমাম উদ্দিন স্কয়ারে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। সমাবেশ ছাত্র সমন্বয়ক সোহেল রানা, তামান্না বিনতে তাফসির ও সাইফ খান বক্তব্য রাখেন।

আরো পড়ুন:

জাতিসংঘের প্রতিবেদন
আন্দোলনকারী নারীদের ওপর যৌন নিপীড়ন চালায় আওয়ামী লীগ

খাগড়াছড়িতে আ.

লীগের আরো ১৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

বক্তারা বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগ থাকলে এদেশে শান্তি ফিরে আসবে না। যত দ্রুত সম্ভব ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা হবে, তাদের বিচার করা হবে, তত দ্রুত এদেশে শান্তি ফিরে আসবে।’’ 

তারা বলেন, ‘‘গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনে আমাদের উপরে যারা সরাসরি হামলা চালিয়েছে, এখনো তারা আমাদের সামনে দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা তাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি করি। যতক্ষণ না তাদের বিচার হবে ততক্ষণ আন্দোলন চলবে।’’ 

ঢাকা/তামিম/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

ভারী যান চলাচল সেতুধসের শঙ্কা

বালুবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে বেহাল হয়ে পড়েছে একটি সেতু। ভেঙে গেছে রেলিং। দেবে গেছে সেতুর দু’পাশের মাটি। এতে দুই-তিন ফুট উঁচু হয়ে চলাচলের অনুযোগী হয়ে পড়েছে সেতুটি। প্রায় দেড়শ ফুট লম্বা ও ছয় ফুট প্রশস্ত সেতুটি মানিকছড়ি উপজেলার তিনটহরী মধ্যম পাড়া এলাকায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৪ সালের দিকে তৎকালীন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও খাগড়াছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভুঁইয়া একটি সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। যার কাজ শুরু হয় ২০০৬ সালে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দীর্ঘদিন ধীরগতিতে চলে নির্মাণকাজ। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে শেষ হয় সেতুর নির্মাণকাজ। সেতুটি উদ্বোধনের ফলে কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের চলাচলের কষ্ট অনেক কমে যায়। বেড়ে যায় বালু ও কাঠ বোঝাই যানবাহনের চলাচল। অতিরিক্ত ভারী যানবাহনের কারণে সেতুর দুই প্রান্তের মাটি ২-৩ ফুট দেবে যায়। ট্রাকের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেতুর রেলিং।
কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা লাথোই মারমা, মনির হোসেন, মাওলানা আবুল কাশেম, নায়েব আলীর সঙ্গে। তারা জানান, সেতুটির প্রস্থ আনুমানিক ৬ ফুট। বড় ট্রাকের প্রস্থও এর কাছাকাছি। সেতুর ওপর ট্রাক উঠলে তখন পাশে আর জায়গা থাকে না। এর ফলে একটু এদিক-সেদিক হলেই সেতুর বিভিন্ন অংশের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ভেঙে যায় রেলিং। এসব ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে না পারলে যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে সেতুটি।
স্কুল শিক্ষক আইয়ুব আলী ও কৈংক দেওয়ান জানান, এক সময়ে কয়েক গ্রামের মানুষের বাজারে যেতে হলে খাল পার হতে হতো। মধ্যম তিনটহরী খালের ওপর একটি সেতু নির্মাণ করা হলে এখানকার মানুষের দুর্ভোগ কমে। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে এই সেতুর ওপর এক ধরনের নির্যাতন চলছে। কেননা ছোটখাটো যানবাহন চলাচলের কথা থাকলেও প্রতিনিয়ত বালুবাহী ভারী ট্রাকের অবাধ চলাচল বেড়ে গেছে। আর ট্রাকের ধাক্কায় দিন দিন সেতুর বিভিন্ন অংশ ধসে পড়ছে।
সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য নূর জাহান বলেন, ‘স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বালুভর্তি ট্রাক এ পথে আসা-যাওয়া করায় সেতুর আজ দুরবস্থা। ধসে গেছে অনেক জায়গা। তারপরও কে শোনে কার কথা।’
মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিন আফরোজ ভূঁইয়ার ভাষ্য, সেতুর ওপর দিয়ে যাতে বড় যানবাহন চলতে না পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ