বিএনপি নেতাদের অতিথি না করায় ক্রীড়া অনুষ্ঠান বন্ধ
Published: 13th, February 2025 GMT
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতাদের অতিথি না করায় অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নের জগৎপুরা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত ইউনিয়ন পর্যায়ে ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক, বিষয়ভিত্তিক কুইজ ও কাবিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয় স্থানীয় বিএনপি নেতারা।
স্থানীয়রা জানান, অর্জুনা ইউনিয়ন পর্যায়ের ২৩টি বিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় জগৎপুরা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। উদ্বোধনকালে অর্জুনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নিয়ামত আলী খানের নেতৃত্বে স্থানীয় কিছু বিএনপির নেতাকর্মী ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়। পরে ক্ষোভ প্রকাশ করে অনুষ্ঠান থেকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আসা বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা চলে যায়।
এ ব্যাপারে অর্জুনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নিয়ামত আলী খানের মোবাইলে কল করলে হাকিম ডাক্তার নামে তার এক সহকর্মী জানান, সাবেক মন্ত্রী ও স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের নাম ক্রীড়া প্রতিযোগিতার কার্ডে না থাকায় এবং না জানিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করায় বন্ধ করা হয়েছে।
জগৎপুরা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছারোয়ার জাহান বলেন, ‘‘স্থানীয় বিএনপি নেতাদের দাওয়াত দিয়েছিলাম। কিন্তু উদ্বোধনের সময় মঞ্চে না ডাকায় কিছু লোকজন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বন্ধ করে দেয়।’’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, তিনি ঘটনা শুনেছেন। বিস্তারিত জেনে ইউএনও মহোদয়কে অবগত করা হবে।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিমুজ্জামান তালুকদার সেলু বলেন, ঘটনার ব্যাপারে এখনো কেউ জানায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পপি খাতুন বলেন, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/কাওছার/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন ব এনপ র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
বৈষম্যবিরোধীদের তোপের মুখে কার্যালয় ছেড়েছেন পার্বতীপুরের ইউএনও, বাসায় চলছে দাপ্তরিক কাজ
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা-কর্মীদের তোপের মুখে কার্যালয় ছেড়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা খাতুন। গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে প্রশাসনের সহায়তায় তিনি কার্যালয় ত্যাগ করেন।
বুধবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচির পর আজ বৃহস্পতিবার কার্যালয়ে যাননি ইউএনও ফাতেমা খাতুন। তিনি তাঁর বাসভবন থেকেই দাপ্তরিক কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগে স্বেচ্ছাচারিতা ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে ইউএনও ফাতেমা খাতুনের অপসারণের দাবিতে গতকাল বেলা তিনটায় উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার-সংলগ্ন সড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মানববন্ধন শেষে বিকেল সাড়ে চারটায় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ইউএনও কার্যালয়ে যান আন্দোলনকারীরা। এ সময় তাঁরা ইউএনওকে আওয়ামী লীগের দোসর, দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে স্লোগান দেন। তাঁকে কার্যালয় ত্যাগ করতে দুই ঘণ্টার সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এরপর বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় কার্যালয় ছাড়েন ইউএনও ফাতেমা খাতুন। ঘটনার পরপরই ইউএনও কার্যালয় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়।
আন্দোলনকারী নেতা-কর্মীদের দাবি, ইউএনও ফাতেমা খাতুন দীর্ঘদিন ধরেই পার্বতীপুরে একক স্বেচ্ছাচারিতার রাজত্ব কায়েম করেছেন। নানা অনিয়মের অভিযোগে পরপর দুবার বদলির আদেশ হলেও অজ্ঞাত কারণে তা স্থগিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের লোকজনের সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতা আছে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির পার্বতীপুর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘ইউএনও একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। তিনি ফ্যাসিবাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। আমরা কোনোভাবেই তাঁকে ছাড় দেব না। আমরা এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর অপসারণের দাবি করেছি।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বুধবার ইউএনও ফাতেমা খাতুন বলেছিলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এর কোনো প্রমাণ দিতে পারবে না কেউ।’
আজ দুপুরে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারাই বিষয়টি দেখছেন। এ ছাড়া ইউএনও কার্যালয়ে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টহল দিচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও হঠাৎ করে অস্বাভাবিক হওয়ার আশঙ্কা আছে।