এনসিটিবি ভবনের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় আরও একজন গ্রেপ্তার
Published: 13th, February 2025 GMT
রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ভবনের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম মো. শাহাদাৎ ফরাজী ওরফে সাকিব (৩৫)।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে রাজধানীর শ্যামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ঘটনায় এ নিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
পুলিশ জানায়, শাহাদাৎ ফরাজী এজাহারভুক্ত ৬ নম্বর আসামি। এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আল খবির (৩৮) ও মো.
পাঠ্যপুস্তকে ‘আদিবাসী’ শব্দ প্রবেশ এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানবিরোধী অখণ্ড ভারতের কল্পিত গ্রাফিতি সংযোজনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তিসহ পাঁচ দফা দাবিতে গত ১৫ জানুয়ারি সকালে এনসিটিবি ভবন ঘেরাও করে ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’ নামের একটি সংগঠন। অন্যদিকে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর একদল মানুষ পাঠ্যবইয়ে গ্রাফিতিটি পুনর্বহালের দাবিতে এনসিটিবির সামনে কর্মসূচি পালন করতে যায়।
আরও পড়ুনদুজনকে গ্রেপ্তারের খবর জানালেন সরকারের দুই উপদেষ্টা১৫ জানুয়ারি ২০২৫সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার ব্যানারে সমবেত মানুষেরা এনসিটিবির সামনে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও হামলা হয়। এতে অনেকে আহত হন। ওই ঘটনায় গত ১৭ জানুয়ারি পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ একটি মামলা করে। মামলায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করাসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুনএনসিটিবির সামনে কর্মসূচি চলাকালে হাতাহাতি ও হামলা, অনেকে আহত১৫ জানুয়ারি ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর এনস ট ব র স মন য় আরও ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
‘ভিউ বাণিজ্যে ক্ষতি হয় ক্রিকেটারদের’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতিরিক্ত কনটেন্ট ও নেতিবাচক উপস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় দলের ব্যাটার লিটন কুমার দাস। সম্প্রতি সমকালের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘মাঠে ব্যাটিংটা সুন্দর বলেই সবাই ধরে নেয় আমি নামলেই রান করব। কিন্তু আমি তো মানুষ, সব সময় তো রান করা সম্ভব না।’
২০১৯ সালে লিটনের ব্যাটিং দেখে ভীষণ মুগ্ধ হয়েছিলেন ইয়ান বিশপ। সেবার বিশ্বকাপে এই ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ধারাভাষ্য দেয়ার সময় লিটনের প্রতিটি শটকে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা বিখ্যাত চিত্রকর্ম মোনালিসার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। তার মতে ইতালিয়ান চিত্রকর দ্য ভিঞ্চি তুলির আঁচড়ে মোনালিসার যে চিত্র ফুটিয়ে তুলেছিলেন লিটনের ব্যাট যেন ঠিক তার তুলির মতোই।
এমন ছবির মত ব্যাটিংয়ের কথা জিজ্ঞেস করতেই আপত্তি তুললেন লিটন। জানালেন, এমন প্রশংসা আমার জন্য নেতিবাচক। আমার ব্যাটিং সুন্দর দেখে প্রতিদিন রান করতে হবে, এই জিনিসটি সবার ভেতরে গেঁথে গেছে। সবাই ভাবে আমি মাঠে গেলেই রান করব। কেউ রান করুক বা নাই করুক, আমাকে রান করতে হবে। কিন্তু আমি তো মানুষ, ফেল হতেই পারি। একজন বোলারের একটি ভালো বলে আউট হতেই পারি। একটি ভালো ক্যাচ নিতে পারে বা আমি একটি বাজে শট খেলতে পারি; কারণ আমি মানুষ।
লিটন ক্ষোভ ঝেড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার ভিউ বাণিজ্য নিয়েও। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার খারাপ মুহূর্তগুলো বারবার তুলে ধরা হয় উল্লেখ করে লিটন বলেন, যারা নিউজ পোর্টাল চালায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় রিলস বানায়, তাদের উপস্থাপনায় থাকে আমি কেন রান করছি না। আমাকে নিয়ে দিনের পর দিন তারা কনটেন্ট বানিয়েই যাচ্ছে। এটি শুধু চাপই নয়, বরং মানসিকভাবে ‘হ্যাম্পার’ করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা রিল বানায়, ইউটিউবে কনটেন্ট দেয়, তারা নিজেদের মতো করে উপস্থাপন করে—কিন্তু সেটি নৈতিক জায়গা থেকে না। এতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্রিকেটারদের জন্যও ভুল বার্তা যাচ্ছে। একজন খেলোয়াড়ের খারাপ দিন থাকতেই পারে। কিন্তু একাধিকবার সেই খারাপ মুহূর্ত প্রচার করায় দর্শক বিভ্রান্ত হয়। এই কনটেন্ট কিছু মানুষের জন্য ভালো—ভিউ বাড়ে, লাভ হয়। কিন্তু আমাদের জন্য তা হতাশাজনক।’