লবণ মালিকদের নিয়ে অর্ধবাষিক পর্যালোচনা সভা
Published: 13th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও চাঁদপুর জোনের লবণ মিল মালিক ও তাদের প্রতিনিধিদের নিয়ে অর্ধবার্ষিক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে লবণ মালিকদের নিয়ে অর্ধবাষিক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা সভাপতিত্বে এমময় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এর চেয়ারম্যান এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব মো.
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিসিক ঢাকার আঞ্চলিক পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, বিসিক লবণ সেলের প্রধান প্রকৌশলী সরয়ার হোসেন, প্রকৌশলী আকিব আবরার (ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার, নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ), নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাকিব আল রাব্বি, এনডিসি মোহাম্মদ তামশিদ ইরাম খান, বিসিক নারায়ণগঞ্জের প্রধান জসিম উদ্দিনসহ বিসিকের বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং তিন জেলার লবণ মিল মালিক ও তাদের প্রতিনিধি।
সভার শুরুতে আয়োডিনের গুরুত্ব সম্পর্কে একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সংগৃহীত লবণের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন সভায় উপস্থাপন করা হয়।
এসময় প্রধান অতিথি বক্তব্যে বিসিক এর চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, আপনারা (লবণ মালিক) যারা আছেন চাষিদের কাছ থেকে বেশি করে লবণ নিবেন। আপনারা বিভিন্ন মাধ্যমে থেকে আপনারা লবণ সংগ্রহ করেন আমরা এ বিষয় অবগত। চাষিদের কাছ থেকে কিনলে লবণের দাম পাবে তারা উৎসাহী হবে। তারা প্রান্তিক চাষিরা তাদের জন্য আমাদের সকলের দায়বদ্ধতা আছে।
এসময় নারায়ণগঞ্জের লবণের মান ও উৎপ নিয়ে বলেন, নারায়ণগঞ্জে আয়োডিনের চিত্রটা আমরা সন্তোষজনক পেয়েছি। আমরা চাইবো নারায়ণগঞ্জে যারা বড় বড় মিল মালিক যারা আছেন আয়োডিনের মাত্র বেশি বা কম না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। মাত্রা বেশি হলেও যেমন সমস্যা আছে কম হলে কি সমস্যা হয় আমরা সকলে অবগত আছি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন সভাপতির বক্ত্যবে বলেন, এখনকার যুগে প্লানিং, থাকবো না রির্চাস থাকবো না এটা ঠিক না। এই শতাব্দীর যুগে এটা মানা যায় না। আপনার লক্ষ্যমাত্রা থাকতে হবে আগামী ৫ বছরের কি পরিমান লাগবে তার লক্ষ্য থাকতে হবে।
বর্তমান যুগে পন্যের মান খুবই গুরুত্বপূর্ণ পন্যের মান বিষয় নিশ্চয়তা থাকতে হবে। যাদের পন্যের মান স্ট্যান্ডার্ড না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ লবণ ম ল ল ইসল ম আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা, নালিশা ভূমি দখলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে নালিশা ভূমি দখলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মনির হোসেন (৪২) বাদী হয়ে ৩ জনকে অভিযুক্ত করে ফতুল্লা থানায় একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, ফতুল্লার কুতুবআইল এলাকার মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে ইউনুস আলী (৬৪), ইউনুস আলীর ছেলে জহিরুল ইসলাম হৃদয় (২৫) এবং ফতুল্লার পশ্চিম লামাপাড়া এলাকার আফতাব উদ্দিন মাদবরের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৫৫)।
এরআগে বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় পশ্চিম লামাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ীর টিনের দেওয়াল ভেঙ্গে ৩টি সাইনবোর্ড তুলে নেয় এবং ১নং বিবাদীর নামে দুটি সাইনবোর্ড স্থাপন করে প্রাণনাশের হুমকি ধমকি প্রদান করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম লামাপাড়া এলাকার মৃত শাহাবুদ্দিন ও ছমিরুন নেসার নিকট থেকে তিনি ও তার ভাই মৃত কফিল উদ্দিন মোল্লার একত্রে ৩ শতাংশ, মৃত রাজ্জাক শিকদারের মেয়ে মোসা. সেলিনা বেগম দুই শতাংশ সম্পত্তি ২০১০ সালে কিনে ভোগ দখল করে আসছিল।
উল্লেখিত বিবাদীগণ বিগত ২ বছর পূর্ব থেকে তাদের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করার পায়তারাসহ বিভিন্নসময় তাদের নানা ধরণের ভয়ভীতি ও হুমকি ধমকি প্রদান করে আসছে। অত:পর তারা এ বিষয়ে মৃত শাহাবুদ্দিন ছেলে মো. গোলাম রব্বানী লাবুকে (৫৫) জানালে তিনি বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ আদালতে দেওয়ানী মামলা নং-২২৩/২৪ দায়ের করেন।
ওই মামলা বর্তমানে চলমান আছে। উল্লেখিত বিবাদীগণ আদালতের আইন অমান্য করে গত ১২ মার্চ রাতে অভিযুক্তরাসহ আরও অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জন বিবাদীদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছুড়ি, চাকু ও চাপাতি নিয়ে তাদের বর্ণিত ঠিকানার বসতবাড়ীতে এসে বাসার বসবাসরত মহিলাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
বিবাদীগণ তাদের বাড়ীর সকল সদস্যদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ীর টিনের দেওয়াল ভেঙ্গে ৩টি সাইনবোর্ড তুলে নেয় এবং ১নং বিবাদীর নামে দুটি সাইনবোর্ড স্থাপন করে প্রাণনাশের হুমকি ধমকি প্রদান করে।
ভুক্তভোগী মনির হোসেন বলেন, গত ৫ই আগস্টের পর থেকে অভিযুক্ত ইউনুস আলী এলাকায় বিএনপি নেতা পরিচয় দেন। আর তার ছেলে হৃদয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। আর তাদের বাবা ছেলেকে প্রত্যক্ষভাবে সমর্থন দিচ্ছেন সিরাজুল ইসলাম। তাদের কারণে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম হৃদয়কে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নি।
এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা ফতুল্লা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাইফুল বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। বাদীর সঙ্গে কথা হয়েছে তবে এখনো বিবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় নি। এ ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে।