বিএনপি অফিসে আগুন, দেয়ালে লেখা ‘মরার জন্য অপেক্ষা কর’
Published: 13th, February 2025 GMT
নরসিংদীর রায়পুরায় বিএনপি কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় কার্যালয়ের দেয়ালে ‘মরার জন্য অপেক্ষা করসহ’ নানা দেয়াল লিখন দেখা গেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার চরসুবুদ্দির বাজারে বিএনপি কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, বুধবার রাতে দুর্বৃত্ত কার্যালয়ের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় কার্যালয়ে থাকা টিভি, চেয়ার-টেবিলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। এছাড়াও দেয়ালে ‘জয় বাংলা’, ‘মরার জন্য অপেক্ষা কর’ ইত্যাদি লিখে রাখে। পরে কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। কার্যালয় পুড়ছে দেখে স্থানীয়রা পানি, বালু ছিটিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ বিষয়ে চরসুবুদ্দির ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি দানিছ মিয়া বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত জানি না। তবে, ধারণা করছি ফ্যাসিস্টের দোসররা এ ঘটনা ঘটাতে পারে। যারাই জড়িত থাকুক, তাদের দ্রুত শনাক্ত করে শাস্তির দাবি করছি।
রায়পুরা থানার ওসি তদন্ত প্রবীর কুমার ঘোষ বলেন, ‘বিষয়টি আমরা শুনেছি। প্রাথমিক তদন্তও করেছি। তবে এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ববি উপাচার্যের দপ্তরে তালা এক দল শিক্ষার্থীর
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শারমিনের দপ্তরে তালা দিয়ে জিলাপি বিতরণ করেছেন এক দল শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে ৩০ জনের মতো শিক্ষার্থী ভিসির দপ্তরে তালা দেন। আজ শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা বানচাল করতে ছাত্রশিবির এ কাজ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন কিছু শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের দপ্তরে তালা লাগানোর পর প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেন। তাদের ব্যানারে লেখা ছিল– আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে গোপন সিন্ডিকেট সভা আহ্বানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ। তালা লাগানোর পর বিক্ষোভকারীরা নিজেদের মধ্যে জিলাপি বিতরণ করেন। উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে স্লোগানও দেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন আগে ভিসিবিরোধী একটি আন্দোলন হয়েছিল। সেখানে কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছিল। ভিসি বলেছিলেন, তিনি সেই শর্তগুলো পূরণ করবেন। পরে তিনি কথা রাখেননি। আমরা এর কোনো ব্যাখ্যা চাই না। আমাদের এক দাবি–ভিসির পদত্যাগ।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা করার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থী নাম ব্যবহার করে উপাচার্যের দপ্তরে তালা মেরেছে। শুক্রবার সিন্ডিকেট সভায় কী সিদ্ধান্ত হবে, তা আন্দোলনকারীরা এক দিন আগে কীভাবে জানল? তিনি আরও বলেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে উপাচার্যের প্রকাশ্যে বিরোধ চলছে। উপাচার্যবিরোধী শিক্ষকদের কেউ শিক্ষার্থীদের উস্কে দিয়েছেন। আরেক শিক্ষার্থী মো. আশিকুজ্জামান জানান, উপাচার্যের কক্ষে তালা দেওয়া শিক্ষার্থী বেশির ভাগই শিবিরকর্মী। এর সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক নেই।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসে বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ। ক্যাম্পাসে বিভিন্নভাবে ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। এতে ক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের দপ্তরে তালা দিয়েছেন। এর সঙ্গে শিবিরের সম্পর্ক নেই।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানী বলেন, শুক্রবার সিন্ডিকেট সভায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে– এমন ধারণায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে তালা দিয়েছে বলে শুনেছি। এ বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আমার বিরোধের কোনো সম্পর্ক নেই।
উপাচার্য ড. শুচিতা শারমিন বলেন, যারা পতিত স্বৈরাচারের ভাবনাকে এখনও লালন করে, তারা গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। অবুঝ শিক্ষার্থীরা স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর দ্বারা ব্যবহৃত হচ্ছে।